পদত্যাগের খবরে স্পিকারের বিস্ময়, বললেন বিএনপির রুমিন ফারহানা

রুমিন ফারহানা
ফাইল ছবি

জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন বিএনপির সংসদ সদস্যরা। আজ রোববার জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে স্পিকারের কাছে গিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন বিএনপি–দলীয় পাঁচ সংসদ সদস্য। এ সময় স্পিকার কিছুটা বিস্ময় প্রকাশ করেছেন বলে জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসন থেকে সদ্য পদত্যাগ করা রুমিন ফারহানা।

পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে স্পিকার কক্ষ থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের রুমিন ফারহানা বলেন, ‘স্পিকার কিছুটা বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। সবকিছু সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে হয়েছে।’

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন

রুমিন ফারহানা পদত্যাগপত্র সাংবাদিকদের পড়ে শোনান। পদত্যাগপত্রে বলা হয়েছে, ‘বর্তমানে বাংলাদেশে চরম স্বৈরশাসন চলছে। বর্তমান সরকারের গণতন্ত্র ও গণবিরোধী কার্যকলাপে গণতন্ত্রহীনতা, বিরোধী রাজনৈতিক ব্যক্তিদের ওপর দমনপীড়ন, গণগ্রেপ্তার, গুম, হত্যা এবং মতপ্রকাশ, বাক্‌স্বাধীনতা হরণ, ভোটাধিকার ও মানবাধিকার হরণ সর্বোপরি মহান জাতীয় সংসদকে অকার্যকর করার প্রতিবাদে। জনস্বার্থের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণকারী এই সংসদের সদস্যের পদ থেকে পদত্যাগ করে এই সংসদ বাতিলের গণদাবির সঙ্গে একমত পোষণ করছি এবং দলীয় সিদ্ধান্তের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে স্বেচ্ছায়, সুস্থ শরীরে, স্থির মস্তিষ্কে, অন্যের বিনা প্ররোচণায় গভীরভাবে চিন্তা ও বিবেচনার পর অদ্য ১০ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে সংসদ থেকে যার যার আসন থেকে পদত্যাগ করলাম।’

আরও পড়ুন

স্পিকারের কাছে সশরীর পদত্যাগপত্র দেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের মো. আমিনুল ইসলাম, বগুড়া-৪ আসনের মো. মোশাররফ হোসেন, বগুড়া-৬ আসনের জি এম সিরাজ, ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের জাহিদুর রহমান এবং সংরক্ষিত আসনের রুমিন ফারহানা। চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের মো. হারুনুর রশীদ বিদেশে থাকায় এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের আবদুস সাত্তার অসুস্থ থাকায় সশরীর পদত্যাগপত্র দেননি। এই সংসদের মেয়াদ এক বছরের বেশি সময় বাকি।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন

গতকাল শনিবার রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে বিএনপি ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ করে। সেখানে বিএনপি ১০ দফা দাবি তুলে ধরে। তার মধ্যে ছিল জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করে সরকারের পদত্যাগ ও দলনিরপেক্ষ একটি অন্তর্বর্তীকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন। ওই গণসমাবেশে জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন বিএনপির সাত সংসদ সদস্য। এরপরই আজ সকালে সশরীর স্পিকারের কাছে নিজেদের পদত্যাগপত্র জমা দেন বিএনপির পাঁচ সংসদ সদস্য।

একাদশ জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনসহ ৩৫০টি আসনের মধ্যে বিএনপির সংসদ সদস্য রয়েছেন ৭ জন।

আরও পড়ুন

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ছয়জন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে দলটির সংসদ সদস্যদের শপথ গ্রহণ নিয়ে টানাপোড়েন দেখা দেয়। বগুড়া–৬ আসন থেকে নির্বাচিত মির্জা ফখরুল ছাড়া বাকি পাঁচজন তখন শপথ নেন। নির্ধারিত সময় শপথ না নেওয়ায় মির্জা ফখরুলের আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। সেখানে নির্বাচনে জয়ী হন বিএনপির প্রার্থী জি এম সিরাজ।