গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে পোড়াবাড়ি সাবোরিয়া দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট দিতে গিয়ে কয়েকজনকে জটিলতায় পড়তে দেখা গেছে। তাঁরা বুঝতে পারছেন না কীভাবে ভোট দিতে হবে।
তাঁদের মধ্যে একজন হলেন ৩ নম্বর বুথে ভোট দিতে আসা মো. বুলমাজন নামের এক ব্যক্তি। দুজন ব্যক্তিকে গোপনকক্ষে ঢুকে তাঁকে ভোট দিতে সহায়তা করতে দেখা গেছে।
আঙুলের ছাপ দিয়ে পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর বুলমাজন নামের ওই ব্যক্তি গোপনকক্ষে ঢোকেন। কিছুক্ষণ গোপনকক্ষে থাকার পর তিনি বেরিয়ে আসেন।
দায়িত্বশীল নির্বাচনী কর্মকর্তাদের বুলমাজন বলেন, তিনি কিছু বুঝতে পারছেন না। তখন ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তারা তাঁকে আবার বোঝান। তারপরও বুঝতে পারছেন না বলে জানান তিনি।
এরপর ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তারা বুলমাজনের সঙ্গে কেউ আছে কি না জানতে চান। বুলমাজন জানান, যাঁরা ছিলেন তাঁরা চলে গেছেন। তখন এক এজেন্ট এসে বুলমাজনকে গোপনকক্ষে সহযোগিতা করতে চান। ভোট গ্রহণ কর্মকর্তারা বলেন, ওই ব্যক্তিকে ভোট দিতে এজেন্ট সহায়তা করতে পারবেন না।
তখন আরেক ব্যক্তি বাইরে থেকে আসেন। ওই ব্যক্তিকে নিয়ে গোপনকক্ষে যান বুলমাজন। তাঁরা গোপনকক্ষে প্রবেশের পর আরও এক ব্যক্তি সহযোগিতা করার কথা বলে গোপনকক্ষে যান। তাঁরা তিনজন একই সময় গোপনকক্ষে অবস্থান করেন। বুলমাজনের ভোট দেওয়া শেষ হলে তাঁরা সবাই বেরিয়ে আসেন।
বুলমাজন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি কিছু বুঝতে পারছিলাম না। তাই সহযোগিতা করতে লোক নিয়েছিলাম। আমি একটা বোতাম টিপ দিছি। বাকি দুই বোতামে ওরাই টিপ দিয়ে দিয়েছে। তবে আমি যেখানে ভোট দিতে চেয়েছি, ওরা সেখানেই টিপ দিয়েছে।’
বুথটিতে সকাল ৯টা ১৮ মিনিট নাগাদ ভোট পড়ে ২২টি। বুথটির সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার মো. শাহাবুদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘ভোটাররা বুঝতে পারছেন কম। সে জন্য ঝামেলা হচ্ছে। সে জন্য ভোট কম পড়ছে। ইভিএম না হলে এতক্ষণে আরও অনেক বেশি ভোট গ্রহণ করতে পারতাম।’
কেন্দ্রটির ৩ নম্বর বুথে ইভিএমে ভোট দেওয়াকে কেন্দ্র করে বেশি হট্টগোল হতে দেখা যায়। ভোট দিতে দেরি হওয়ায় এই বুথের লাইন সবচেয়ে লম্বা। অনেকক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে অনেকেই অভিযোগ ও হট্টগোল করছিলেন।