এনসিপিসহ তিন দলের নতুন জোটের ঘোষণা বিকেলে, কারা থাকছে

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি), বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন ও গণ অধিকার পরিষদ- এই চার দলের সমন্বয়ে নির্বাচনী জোটের আলোচনা চলছিল দুই সপ্তাহ ধরে৷ অবশেষে এই জোট আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে৷ তবে জোটে থাকছে না গণ অধিকার পরিষদ৷

আজ রোববার বিকেল চারটায় রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) সংবাদ সম্মেলন করে এনসিপি, এবি পার্টি ও রাষ্ট্র সংস্কারের এই জোটের ঘোষণা দেওয়া হবে৷ দলগুলোর পক্ষ থেকে এই জোটকে বলা হচ্ছে 'জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অঙ্গীকার রক্ষা ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বিনির্মাণে আগ্রহীদের রাজনৈতিক ও নির্বাচনী ঐক্য'৷

আরও পড়ুন

দুপুর ১২টার দিকে এনসিপির মিডিয়া সেলের সম্পাদক মুশফিক উস সালেহীন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, জুলাই অভ্যুত্থানের অঙ্গীকার রক্ষা ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বিনির্মাণে আগ্রহীদের রাজনৈতিক ও নির্বাচনী ঐক্য ঘোষণা প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে আজ৷ বিকেল চারটায় ডিআরইউতে এই সংবাদ সম্মেলন হবে৷ এনসিপি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন ও এবি পার্টির নেতারা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন৷

এবি পার্টির একটি সূত্রও প্রথম আলোকে এই সংবাদ সম্মেলন ও জোটের বিষয়ে নিশ্চিত করেছে৷ অবশ্য সূত্রটি বলেছে, সংবাদ সম্মেলনে এনসিপি, এবি পার্টি ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনসহ কয়েকটি দলের নেতারা উপস্থিত থাকবেন৷

এর আগে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর বাইরে এনসিপি, এবি পার্টি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন ও গণ অধিকার পরিষদের সমন্বয়ে একটি নির্বাচনী জোটের আলোচনা সামনে আসে গত মাসের শেষ সপ্তাহে৷ ২৭ নভেম্বর রাজধানীর শাহবাগে শহীদ আবু সাঈদ কনভেনশন সেন্টারে এই জোটের আত্মপ্রকাশ হওয়ার কথা ছিল৷ এর আগের দিন গভীর রাত পর্যন্ত এনসিপি, এবি পার্টি, গণ অধিকার পরিষদ ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন-এই চার দলের নেতারা ঢাকার বাংলামোটরে রূপায়ণ ট্রেড সেন্টারে বৈঠকে বসেন৷

আরও পড়ুন

ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতাদের একাংশের উদ্যোগে গঠিত রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম আপ বাংলাদেশকে (ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ) এই জোটে রাখার প্রশ্নে এনসিপির নেতারা তীব্র আপত্তি তোলেন৷ আর গণ অধিকার পরিষদের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে এই জোটে আসা নিয়ে মতভেদ ছিল৷ এসব কারণে কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই ওই দিনের বৈঠকটি শেষ হয়৷ এরপর এই জোট নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়৷

আজ যে জোটের ঘোষণা আসতে যাচ্ছে, সেখানে আপ বাংলাদেশ ও গণ অধিকার পরিষদ থাকছে না বলে ধারণা করা হচ্ছে৷ জনতে চাইলে গণ অধিকারের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, 'যখন বৈঠক হয়েছে, সেখানে জোটের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে আমরা কিছু প্রশ্ন করেছিলাম৷ কিন্তু সেগুলোর উত্তর এখনো পাওয়া যায়নি৷ প্রশ্নের উত্তর না নিয়ে তো আমরা অন্ধকারে ঝাঁপ দিতে পারি না৷ মূলত জোটের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও সক্ষমতা বিষয়ক প্রশ্নগুলোর উত্তর না পাওয়ায় এই জোটে গণ অধিকার পরিষদ থাকছে না৷'