বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতা থেকে সরে গেলে একটি জাতীয় সরকার গঠন হবে। এই জাতীয় সরকারের নেতৃত্ব দেবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
আজ শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন আমীর খসরু। ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী তাঁতীদল এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু বলেন, বর্তমান সরকারের অধীন মানুষ নির্বাচনে যাবে না। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ভোট হবে। মানুষ এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে। কোনো শক্তি নেই যে তাদের আটকে রাখতে পারে।
আমীর খসরু আরও বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতা থেকে সরে গেলে পরবর্তী সময়ে কী হবে, তা নিয়ে অনেকে চিন্তিত। ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ নিয়ে বিএনপির পরিকল্পনা কী, তা–ও অনেকে জানতে চান। বিএনপির পরিকল্পনা তারেক রহমান পরিষ্কার করেছেন। এখানে কিছু গোপন রাখা হয়নি। যারা বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে থাকবে, তাদের নিয়ে একটি জাতীয় সরকার গঠন হবে। এই জাতীয় সরকার তারেক রহমানের নেতৃত্বে কী ভূমিকা পালন করবে, তা পরিষ্কার করা হবে।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান। লন্ডনে অবস্থানরত তারেক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তারেক। ২০০৮ সালে জামিন নিয়ে চিকিৎসার জন্য লন্ডন যান তিনি। তারপর তিনি আর দেশে ফেরেননি। তিনি একাধিক মামলায় কারাদণ্ড পেয়েছেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, আগামী বাংলাদেশের পরিকল্পনা পরিষ্কার করা হবে। এটা পরিষ্কার থাকতে হবে। সংবিধানে কী কী পরিবর্তন আনতে হবে, বিচার বিভাগে কী পরিবর্তন করা হবে, তা বলতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মান নিয়ে যে প্রশ্ন উঠেছে, তার কী হবে, শিক্ষকদের কী হবে, শিক্ষার্থীদের কী হবে, তা পরিষ্কার করতে হবে।
আমীর খসরু বলেন, যারা এখন গুম-দুর্নীতিতে অংশ নিচ্ছে, তাদের বিচার হবে। যারা মিথ্যা মামলা দিয়ে খালেদা জিয়াকে জেল খাটিয়েছেন, তাঁদের বিচার হবে। আগুন-সন্ত্রাসের দায় বিএনপিকে দেওয়া চলবে না। এসবের আড়ালে কারা ছিল, তাঁদের খুঁজে বিচার করা হবে।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয়তাবাদী তাঁতীদলের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ। সঞ্চালনায় ছিলেন সংগঠনের সদস্যসচিব হাজী মজিবুর রহমান। বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন ফারুক। আলোচনা সভায় বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।