রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল বাতেন বলেছেন, ইভিএমকে বিতর্কিত করতে জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান ভোট দিতে না পারার ‘সিনক্রিয়েট’ করেছেন। নির্বাচন নিয়ে অনেকে অনেক ধরনের গেম খেলার চেষ্টা করছেন। নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার সুযোগ কাউকে দেওয়া হবে না।
আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় রংপুর সিটি করপোরেশনের ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের সরকারি বেগম রোকেয়া কলেজ পরিদর্শনে আসেন আবদুল বাতেন। এরপর উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে সকালে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান অভিযোগ করেন, ভোটকক্ষে গেলেও ইভিএম হ্যাং করায় তিনি ভোট দিতে পারেননি তিনি বলেন, ১৫ মিনিট অপেক্ষা করেও তিনি ইভিএমে ভোট দিতে পারেননি। ইভিএমে এমন ত্রুটি হতে পারে—এটা তিনি আগে থেকেই বলেছেন।
এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল বাতেন বলেন, জাতীয় পার্টির প্রার্থী যখন ভোটকক্ষে ঢোকেন, তখন আরেকজন ভোটার গোপন কক্ষে ভোট দিচ্ছিলেন। ওই ভোটার মেয়র পদে ভোট দেন, কাউন্সিলর পদে ভোট দেওয়া বাকি ছিল। স্বাভাবিকভাবেই গোপন কক্ষে থেকে ভোটার বের হলেই মোস্তাফিজার রহমানকে সুযোগ দেওয়া হবে। কিন্তু সে সময়টুকুও দেননি। বাইরে এসে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেছেন।
আবদুল বাতেন আরও বলেন, ‘সংবাদ সম্মেলন শেষে মোস্তাফিজার রহমান ভোটকক্ষে যান। তাঁর আঙুলের ছাপও মিলে যায়। স্বাভাবিকভাবেই তিনি ভোট দেন। তাহলে কেন এমন করলেন? সুন্দর নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই উনি এমন কাজ করেছেন।’
কিছু কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট দিতে সমস্যা হচ্ছে জানিয়ে আবদুল বাতেন বলেন, শীতকাল বলে অনেকের আঙুলের ছাপ মেলাতে সমস্যা হচ্ছে। তবে ১০ আঙুলের ছাপ মেলানোর সুযোগ থাকায় বেশি সমস্যা হচ্ছে না। শীত বেশি হওয়ায় সকাল থেকে ভোটার উপস্থিতি মোটামুটি। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিতি আরও বাড়বে। ভোট কম পরবে বলে মনে হচ্ছে না।
কেন্দ্রগুলোতে সব প্রার্থীর এজেন্ট উপস্থিত রয়েছে জানিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা বা বিশৃঙ্খলার খোঁজ পাওয়া যায়নি।