সড়ক দুর্ঘটনায় আরিফুল, সৌভিকের মৃত্যু হত্যাকাণ্ড কি না, প্রশ্ন জোনায়েদ সাকির
বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সাবেক নেতা আরিফুল ইসলাম ও সৌভিক করিমের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকীতে নিরাপদ সড়ক ও জীবনের নিরাপত্তার দাবিতে মানববন্ধন করেছে সংগঠনটি। সেখানে অংশ নিয়ে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি প্রশ্ন তুলেছেন, আরিফুল ও সৌভিকের দুর্ঘটনাটি নিছক দুর্ঘটনা, নাকি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড ছিল। সরকারকে এ বিষয়টি খতিয়ে দেখার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর নিউ ইস্কাটন সড়কে ছাত্র ফেডারেশনের এই মানববন্ধন হয়। ২০২৩ সালের ৭ নভেম্বর রাতে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে এই সড়কে ট্রাকের ধাক্কায় নিহত হয়েছিলেন ছাত্র ফেডারেশনের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি আরিফুল ইসলাম ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সহসাধারণ সম্পাদক সৌভিক করিম। তাঁদের মৃত্যুর দুই বছর পূর্তি হয়েছে আজ।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ। সংগঠনটির সহসাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস জামানের সঞ্চালনায় এতে জোনায়েদ সাকি ছাড়াও বক্তব্য দেন গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য তাসলিমা আখতার, নিরাপদ সড়ক আন্দোলন (নিসআ) সভাপতি মেহেদী আবদুল্লাহ দীপ্ত প্রমুখ।
জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘আরিফুল ইসলাম গণসংহতি আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ সংগঠক ছিলেন। ফ্যাসিবাদী শাসনের পতনের লক্ষ্যে আমরা যখন যুগপৎ আন্দোলনে যুক্ত হলাম, এর পরই ট্রাকচাপায় আরিফুল ইসলাম ও সৌভিক করিম নিহত হলেন। তাই আমাদের আশঙ্কা রয়েছে, এটা নিছক দুর্ঘটনা, নাকি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড। আমরা সরকারকে তা খতিয়ে দেখার আহ্বান জানাই।’
মানববন্ধনে সভাপতি সৈকত আরিফ বলেন, সারা দেশে সড়কের কাঠামোগত হত্যাকাণ্ড বন্ধে সরকারকে আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। আরিফুল ইসলাম ও সৌভিক করিমের স্মরণে ইস্কাটনে দুর্ঘটনাস্থলে একটি স্থাপনা তৈরির জন্য ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের কাছে দাবি জানান তিনি।
গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য জুলহাসনাইন বাবু, ছাত্র ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি গোলাম মোস্তফা প্রমুখ মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন।