বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নিম্নমানের দুধ সরবরাহ করে

জাতীয় সংসদ ভবন
ফাইল ছবি

বেসরকারি দুগ্ধ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বাজারে নিম্নমানের দুধ সরবরাহ করে বলে অভিযোগ করেছেন একাধিক সংসদ সদস্য। সংসদীয় কমিটির এক বৈঠকের আলোচনায় এই অভিযোগ করেন তাঁরা।

গত ৩ মে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এই আলোচনা হয়। আজ রোববার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে ওই দিনের আলোচনার কার্যবিবরণী অনুমোদন করা হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আগের বৈঠকে (৩ মে) কমিটির সদস্য শাহে আলম বলেন, বেসরকারি দুগ্ধ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বাজার থেকে কম মূল্যে নিম্নমানের দুধ কেনে। অপর দিকে পাঁচ শতাংশ কর দিয়ে নিম্নমানের গুড়া দুধ বিদেশ থেকে আমদানি করে তা মিশিয়ে বাজারে তুলনামূলক কম মূল্যে বিক্রি করে এসব প্রতিষ্ঠান।

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম ওই বৈঠকে বলেন, বেসরকারি দুগ্ধ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান নিম্নমানের দুধ কম দামে কিনে কন্ট্রামিনেশন (ক্ষতিকর পদার্থ মিশিয়ে) করে বাজারে বিক্রি করছে, যা জনসাধারণকে জানানো দরকার।

গত ৩ মের বৈঠকে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠান মিল্ক ভিটার (বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন লিমিটেড) পণ্য শতভাগ খাঁটি। কিন্তু বেসরকারি দুগ্ধ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান দেশি-বিদেশি নিম্নমানের দুধ কম দামে কিনে তুলনামূলক কম দামে বিক্রি করছে। তিনি আমদানি করা দুধের ওপর ১০–১৫ শতাংশ ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) আরোপের প্রস্তাব করেন।

সংসদীয় কমিটির সূত্র জানায়, আজকের বৈঠকেও মিল্ক ভিটা নিয়ে আলোচনা হয়। মিল্ক ভিটার পক্ষ থেকে খামারি পর্যায়ে দুধের দাম বাড়াতে ১০০ কোটি টাকা ভর্তুকি দেয়ার দাবি করা হয়। তবে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম ভর্তুকি দেওয়ার প্রস্তাব নাকচ করে দেন।

আরও পড়ুন

রোববারের বৈঠক শেষে সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে মিল্ক ভিটার মানোন্নয়ন ও বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে জনগণের কাছে মিল্ক ভিটাকে আরও আকর্ষণীয় করে উপস্থাপনের সুপারিশ করে সংসদীয় কমিটি।

কমিটির সভাপতি নুরুল ইসলাম নাহিদের সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য রাজী মোহাম্মদ ফখরুল ও আবদুস সালাম মুর্শেদী বৈঠকে অংশ নেন।

আরও পড়ুন