তফসিলের পরদিন ‘প্রার্থী’ গুলিবিদ্ধ
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন ঢাকায় দিনের বেলায় গুলি করা হলো ভোটে সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদিকে (৩৩)। তিনি ঢাকা-৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন এবং বেশ কিছুদিন ধরে প্রচার চালাচ্ছিলেন। হাদি ইনকিলাব মঞ্চ নামের একটি সংগঠনের আহ্বায়ক।
গুলি করার পর আহত হাদিকে রিকশায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গুলি তাঁর মাথায় লেগেছে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। রাতে তাঁকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিনই সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থীর ওপর হামলার ঘটনায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে। বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এই ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি। তবে নির্বাচন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে।
দুর্বৃত্তদের গুলিতে ওসমান হাদির গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দ্রুত ও ব্যাপক তদন্ত চালিয়ে হামলায় জড়িত সবাইকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন বলে গতকাল জানায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
হাদির বাড়ি ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে পড়াশোনা শেষ করার পর বেসরকারি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছিলেন তিনি। পাশাপাশি সক্রিয় ছিলেন বিভিন্ন আন্দোলনে।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ভূমিকা রাখার পর ইনকিলাব মঞ্চ গঠন করে আলোচনায় আসেন হাদি। সাংস্কৃতিক এই প্ল্যাটফর্ম তাদের লক্ষ্য ঠিক করে, ‘সমস্ত আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও ইনসাফভিত্তিক একটি রাষ্ট্র বিনির্মাণ’। এই প্ল্যাটফর্ম থেকে বিভিন্ন কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগ ও ভারতবিরোধী বক্তব্য হাদিকে আলোচনায় আনে। ঢাকার ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়ি ভাঙার সময় হাদি সক্রিয় ছিলেন। তিনি গোপালগঞ্জ জেলা ভেঙে দিতে বলেছিলেন।
ইনকিলাব কালচারাল সেন্টার প্রতিষ্ঠা, নির্বাচনী তহবিলের হিসাব প্রকাশ এবং তাঁর ওপর ময়লা পানি নিক্ষেপের ঘটনায় ‘অসুবিধা নেই’ উল্লেখ করে ফেসবুক পোস্ট দিয়েও আলোচনায় আসেন হাদি।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানায়, গতকাল জুমার নামাজের পর পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে একটি ব্যাটারির রিকশায় ছিলেন হাদি ও তাঁর সঙ্গী এক ব্যক্তি। তাঁদের পেছনে পেছনে আসে একটি মোটরসাইকেল। বেলা ২টা ২৪ মিনিটে চলন্ত অবস্থায় সেই মোটরসাইকেল থেকেই একাধিক গুলি করা হয় হাদিকে।
ছুটির দুপুরে গতকাল রাস্তায় যান চলাচল ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে কম। ফাঁকা রাস্তায় মোটরসাইকেলটি দ্রুতবেগে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত হাদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বিকেলে বলেন, একটি গুলি হাদির কানের ডান পাশ দিয়ে ঢুকে মাথার বাঁ পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়। তাঁকে ‘লাইফ সাপোর্টে’ নেওয়া হয়েছিল। হাসপাতালে নিউরোসার্জারি বিভাগের চিকিৎসকেরা তাঁর প্রাথমিক অস্ত্রোপচার করেন। পরে তাঁকে অ্যাম্বুলেন্সে করে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়।
পুলিশ কর্মকর্তারা বলেন, ঘটনার পর পুলিশ, র্যাব ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান। তাঁদের সঙ্গে যোগ দেয় সেনাবাহিনী। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ডক্টর (ডিআর) টাওয়ারে স্থাপিত সিসি (ক্লোজড সার্কিট) ক্যামেরার ফুটেজ নিয়ে হামলাকারীদের শনাক্তে কাজ শুরু করেন।
সরেজমিনে বক্স কালভার্ট এলাকা
গতকাল বিকেলে ঘটনাস্থল বক্স কালভার্ট রোডে ডক্টর টাওয়ারের সামনে সরেজমিনে দেখা যায়, গণমাধ্যমকর্মী ও উৎসুক মানুষের ভিড়। ঘটনাস্থলে রাস্তায় ছোপ ছাপ রক্তের দাগ। সিআইডির অপরাধ শনাক্তকরণ দল হলুদ ফিতা দিয়ে ঘটনাস্থলটি ঘিরে রেখেছে। সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর কর্মকর্তাসহ গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা কাজ করছেন। পাশেই সতর্ক অবস্থান নিয়েছে সেনাবাহিনী।
হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার সময় রাস্তার পাশে ফুটপাতে প্রত্যক্ষদর্শী সাজ্জাদ খান দাঁড়িয়ে ছিলেন। তিনি দাবি করেন, তাঁর সামনেই হাদিকে গুলি করা হয়। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, তিনি ঘটনাস্থলের পাশের একটি ভবনে চাকরি করেন। পুরান পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে বাইতুস সালাহ জামে মসজিদে জুমার নামাজ শেষে বেরিয়ে তিনি মসজিদের উল্টো দিকের ডক্টর টাওয়ার নামের একটি বহুতল ভবনের সামনের ফুটপাতে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় তাঁর পরিচিত ও অপরিচিত অনেক লোকই ফুটপাতে ছিলেন। ফকিরাপুলের দিক (পূর্ব) থেকে একটি ব্যাটারিচালিত রিকশায় চড়ে ওসমান হাদি পশ্চিম দিকে বিজয়নগরের দিকে যাচ্ছিলেন। তাঁর পাশের আসনে ছিলেন আরেক ব্যক্তি। এ সময় একটি মোটরসাইকেলে দুই ব্যক্তি তাঁকে অনুসরণ করছিলেন। মোটরসাইকেলে পেছনে বসা ব্যক্তিটির গায়ে কালো রঙের একটি চাদর ছিল। ওই চাদর দিয়ে তাঁর হাত দুটি ঢাকা ছিল। একপর্যায়ে ওই ব্যক্তি একটি আগ্নেয়াস্ত্র বের করে খুব কাছ থেকে চলন্ত রিকশায় থাকা হাদিকে লক্ষ্য করে গুলি করে মোটরসাইকেলে করে বিজয়নগরের দিকে চলে যান।
সাজ্জাদ খান আরও বলেন, গুলির শব্দে রাস্তায় থাকা মানুষ কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে যান এবং তাঁদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তখন হাদি ‘বাঁচাও’ ‘বাঁচাও’ বলে চিৎকার করেন। একপর্যায়ে রিকশাটি থামানো হলে সবাই এসে ভিড় করেন। এ সময় হাদির মাথা ও কান থেকে রক্ত গড়িয়ে রাস্তায় পড়ছিল। রিকশায় থাকা অপর লোকটি তাঁকে ধরে রাখেন। এরপর তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
সিআইডি অপরাধ শনাক্ত করণ দলের পরিদর্শক আবদুর রশীদ উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, তাঁরা ঘটনাস্থলের তিন জায়গা থেকে রক্তের আলামত সংগ্রহ করেছেন। এখানকার আলামত যাতে নষ্ট না হয়, সে জন্য ঘটনাস্থলটি হলুদ ফিতা দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে।
সিসি ক্যামেরার ফুটেজেও দেখা যায়, রিকশায় থাকা হাদিকে মোটরসাইকেলে আসা দুই ব্যক্তি গুলি করেন। পুলিশ সেসব ফুটেজ সংগ্রহ করেছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশের মতিঝিল অঞ্চলের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার হোসাইন মোহাম্মদ ফারাবী প্রথম আলোকে বলেন, হামলাকারীরা গ্রেপ্তার হলে হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ বেরিয়ে আসবে। তবে কারা কেন হামলা করেছে, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভিড়
হাদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের নেতা-কর্মী, অনুসারী ও স্বজনেরা ভিড় করেন।
হাসপাতালে হাদির একজন অনুসারী বলেন, জুমার নামাজের পর মসজিদে তাঁদের লিফলেট বিলি কর্মসূচি ছিল। কথা ছিল লিফলেট বিলি শেষে সবাই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জড়ো হয়ে দুপুরের খাবার খাবেন, আলোচনা করবেন। এর মধ্যেই হাদির ওপর হামলার খবর আসে।
হাসপাতালে হাদির প্রচার দলের আরেক সদস্য উসামা প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা হামলাকারী হিসেবে দুজনকে সন্দেহ করছেন। তাঁরা নির্বাচনী প্রচারণা দলে কাজ করেছেন। কয়েক দিন ধরে তাঁদের নিয়মিত যাতায়াত ছিল। কিন্তু তাঁদের চেনেন না তাঁরা। তাঁরা সব সময় মুখে মাস্ক পরা থাকতেন। শুক্রবারে মতিঝিলের একটা মসজিদের সামনের প্রচারণায়ও ওই দুজন ছিলেন। জুমার নামাজ শেষে অটোরিকশা করে হাইকোর্ট মোড়ে আসার পথে ওই দুই ব্যক্তি মোটরসাইকেলে করে পেছন পেছন আসছিলেন।
এদিকে ঘটনার পর গতকাল হাদিকে দেখতে হাসপাতালে যান বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি, ইনকিলাব মঞ্চসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের নেতা–কর্মীরা। এ সময় হাসপাতালের সামনে উৎসুক জনতাও ভিড় করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তাৎক্ষণিকভাবে সেনাবাহিনী, পুলিশ, আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়।
বিকেল চারটার দিকে ওসমান হাদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দেখতে যান ঢাকা–৮ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মির্জা আব্বাস। প্রবেশের সময় হাসপাতালের সামনে মির্জা আব্বাসের উদ্দেশে ভুয়া ভুয়া স্লোগান দিতে দেখা যায়। এ সময় সেখানে হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। পরে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সহায়তায় মির্জা আব্বাস হাসপাতালে প্রবেশ করে জরুরি বিভাগের অপারেশন থিয়েটারের সামনে গিয়ে হাদির স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন। সেখানেও তাঁর উদ্দেশে ডাকসুর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক ফাতেমা তাসনিম জুমা বলেন, ‘আপনি এখানে কেন?’
হাসপাতাল থেকে বের হওয়ার সময়ও মির্জা আব্বাসের উদ্দেশে ‘আব্বাস ভুয়া, চাঁদাবাজ ভুয়া, সন্ত্রাসী আব্বাস’ স্লোগান দেওয়া হয়। তাঁকে বেশ কিছুক্ষণ অবরুদ্ধও করে রাখা হয়। পরে সেনা ও পুলিশ সদস্যরা বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিলে হাসপাতাল চত্বর থেকে বের হন মির্জা আব্বাস।
এর কিছুক্ষণ পর বেলা পৌনে পাঁচটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসেন জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান। ইনকিলাব মঞ্চের নেতা–কর্মীরা জামায়াতের আমিরের উদ্দেশেও ‘ভুয়া ভুয়া’ বলে স্লোগান দেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান, অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া, এনসিপির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম, জেষ্ঠ্য যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনীম জারা, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু, আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা ওসমান হাদিকে দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান।
রাত ১০টার দিকে ওসমান হাদিকে দেখতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে যান অন্তর্বর্তী সরকারের তিন উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ও আদিলুর রহমান খান। তাঁরা হাদির অবস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। এর আগে রাত ৯টার দিকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ওসমান হাদির পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সহধর্মিণী জুবাইদা রহমান।
এদিকে গতকাল ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পল্টন থানা পুলিশের পাশাপাশি ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে সন্দেহভাজন ব্যক্তি ও বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে। ওই ঘটনায় নগরবাসীকে আতঙ্কিত না হয়ে ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের সম্পর্কে কোনো তথ্য থাকলে তা নিকটস্থ থানা বা জাতীয় জরুরি সেবা ‘৯৯৯’–এর মাধ্যমে পুলিশকে অবহিত করতে অনুরোধ করা হচ্ছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখা এবং নগরবাসীর জানমালের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ আন্তরিকভাবে কাজ করছে।
রাত সাড়ে ১১টার দিকে যোগাযোগ করা হলে ডিবির যুগ্ম কমিশনার মো. নাসিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটনে এখন পর্যন্ত বলার মতো কোনো অগ্রগতি হয়নি।