আন্দোলনের দ্বিতীয় ধাপে বিএনপি

গত দুই মাসে ১০টি বিভাগীয় গণসমাবেশ শেষে এবার বিএনপি যুগপৎ আন্দোলনের সূচনা করতে যাচ্ছে।

বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। গতকাল বিকেলে রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে।
ছবি: সাজিদ হোসেন

নানা অঘটন ও নাটকীয়তার পর অবশেষে শান্তিপূর্ণভাবেই শেষ হয়েছে বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ। এই সমাবেশে জাতীয় সংসদ থেকে বিএনপির সাতজন সংসদ সদস্য পদত্যাগের ঘোষণা দেন। একই সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের আন্দোলনের জন্য ১০টি সুনির্দিষ্ট দাবি এবং এ দাবি আদায়ের লক্ষ্যে যুগপৎ আন্দোলনের নতুন কর্মসূচিরও ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

ঘোষণা অনুযায়ী, ১০ দফা দাবিতে ২৪ ডিসেম্বর সারা দেশে মহানগর ও জেলা সদরে ‘গণমিছিল’ কর্মসূচি পালন করা হবে। সরকারবিরোধী সব রাজনৈতিক দলকে সঙ্গে নিয়ে যুগপৎভাবে এ কর্মসূচি পালন করা হবে। ফলে এত দিন বিএনপি বিভিন্ন কর্মসূচি এককভাবে পালন করে এলেও ওই দিন গণমিছিলের মধ্য দিয়ে যুগপৎ আন্দোলনের সূচনা হবে।

আরও পড়ুন

গতকাল শনিবার বিকেলে রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে ঢাকার বিভাগীয় গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন যুগপৎ কর্মসূচির এই ঘোষণা দেন। বেলা ১১টায় সমাবেশ শুরু হয়ে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে শেষ হয়। গোলাপবাগ মাঠের এই সমাবেশ ঘিরে গতকাল রাজধানীর উত্তর-পূর্ব প্রান্তের এলাকাটি ছিল সরগরম।

জনাকীর্ণ এই সমাবেশে ২৪ ডিসেম্বর গণমিছিলের আগে ১৩ ডিসেম্বর সব মহানগর ও জেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি দেওয়া হয়। গত বুধবার দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার এবং চলমান কর্মসূচিতে নেতা-কর্মীদের গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

ঢাকার এই গণসমাবেশ নিয়ে দুই সপ্তাহ ধরে বেশ উত্তপ্ত ছিল রাজনীতির অঙ্গন। সমাবেশের স্থান নিয়ে বিতর্ক ও আলোচনার মধ্যে গত বুধবার নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক দলের একজন নেতা নিহতসহ অনেকে আহত হওয়া, দলীয় কার্যালয়ে অভিযান, সর্বশেষ দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঢাকার এই গণসমাবেশ ঘিরে এমন নানা অঘটনের পর শেষ মুহূর্তে বিএনপিকে গোলাপবাগ মাঠে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন

অনুমতি পাওয়ার পর টানটান উত্তেজনার মধ্যে শুক্রবার রাতেই সমাবেশস্থলে পৌঁছে যান বিএনপির হাজার হাজার নেতা-কর্মী। অনেকে সেখানেই রাত কাটান। ক্ষমতাসীন দল এই সমাবেশ ঘিরে রাজধানীর পাড়া-মহল্লায় মহড়া, সতর্ক পাহারা বসানোর ঘটনায় নানা আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। অবশেষে অনেকটাই শান্তিপূর্ণভাবে সেখানে বড় জমায়েত করল বিএনপি।

সমাবেশে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আজকের সমাবেশ থেকে জনগণের বার্তা হচ্ছে, যারা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে, তাদের দিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার সম্ভব নয়। যারা অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে, তারা অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধার করতে পারবে না। যারা আইন বিভাগকে ধ্বংস করেছে, আইন বিভাগকে নিরপেক্ষ করতে পারবে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে যারা ব্যবহার করে অনৈতিকতার দিকে নিয়ে গেছে, তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না।

আরও পড়ুন

খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, নয়টি বিভাগীয় সমাবেশে জনগণ রায় দিয়েছে, তারা এ সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। এই সরকারের অনতিবিলম্বে বিদায় চায় দেশের জনগণ। তাই আজকে গায়ের জোরের সরকারকে যত দ্রুত সম্ভব পদত্যাগ করে দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে। ঘোষিত ১০ দফাকে ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবি’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আগামী দিনে এ দেশের জনগণকে স্বৈরাচারী ফ্যাসিবাদী সরকারের হাত থেকে রক্ষার জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে আমরা ১০টি দফা প্রণয়ন করেছি। ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে যারা কথা বলে, এ বিষয়ে আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনা করে সম্মতি নিয়েছি।’

গত দুই মাসে নয়টি বিভাগীয় গণসমাবেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলে আসছিলেন, ঢাকার সমাবেশ থেকে তাঁদের আন্দোলনের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, দলের নেতা-কর্মীদের হত্যার প্রতিবাদে এবং খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নির্দলীয় সরকারের অধীন নির্বাচনের দাবিতে বিএনপি গত ১২ অক্টোবর থেকে ধারাবাহিকভাবে গণসমাবেশ করছে। সর্বশেষ গতকাল ঢাকার সমাবেশে দ্বিতীয় ধাপের আন্দোলনের ঘোষণা এল।

আরও পড়ুন

‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের ১০ দফা’

সমাবেশে ১০ দফা দাবি পড়ে শোনান খন্দকার মোশাররফ হোসেন। দাবিগুলো হলো:

১. বর্তমান অনির্বাচিত, অবৈধ জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করে ভোটবিহীন, গণতন্ত্র হরণকারী, লুটেরা ক্ষমতাসীন সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। ২. ১৯৯৬ সালে সংবিধানে সংযোজিত ধারা ৫৮খ, গ ও ঘ-এর আলোকে দলনিরপেক্ষ একটি অন্তর্বর্তীকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করতে হবে। ৩. এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বর্তমান অবৈধ নির্বাচন কমিশন বাতিল করে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করবে। এই কমিশন অবাধ নির্বাচনের পূর্বশর্ত হিসেবে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আরপিও সংশোধন, ইভিএম পদ্ধতি বাতিল ও পেপার ব্যালটের মাধ্যমে ভোটের ব্যবস্থা নিশ্চিত করবে। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ব্যবহার বাতিল করতে হবে। ৪. খালেদা জিয়াসহ সব বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মী, পেশাদারির সঙ্গে দায়িত্ব পালনকারী সব মানবাধিকারকর্মী ও সাংবাদিক এবং আলেমদের সাজা বাতিল, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও রাজনৈতিক কারাবন্দীদের অনতিবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। দেশে সভা-সমাবেশ ও মতপ্রকাশে কোনো বাধা সৃষ্টি না করা। স্বৈরাচারী কায়দায় বিরোধী কণ্ঠস্বরকে স্তব্ধ করার লক্ষ্যে নতুন কোনো মামলা ও বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা যাবে না। ৫. ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮, সন্ত্রাস দমন আইন ২০০৯ এবং বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪-সহ মৌলিক মানবাধিকার হরণকারী সব কালাকানুন বাতিল করতে হবে। ৬. বিদ্যুৎ, জ্বালানি, গ্যাস, সার, পানিসহ জনসেবা খাতগুলোয় মূল্যবৃদ্ধির গণবিরোধী সরকারি সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনতে হবে। ৭. নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারকে সিন্ডিকেটমুক্ত করতে হবে। মুদ্রাস্ফীতির আলোকে শ্রমজীবী মানুষের ন্যায্য মজুরি নিশ্চিত করা, শিশুশ্রম বন্ধ করা ও কৃষিপণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে হবে। ৮. গত ১৫ বছরে বিদেশে অর্থ পাচার, ব্যাংকিং ও আর্থিক খাত, বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাত, শেয়ারবাজারসহ রাষ্ট্রীয় সব ক্ষেত্রে সংঘটিত দুর্নীতি চিহ্নিত করার লক্ষ্যে একটি কমিশন গঠন করতে হবে। ৯. গত ১৫ বছরে গুম এবং বিচারবহির্ভূত হত্যা ও রাষ্ট্রীয় নির্যাতনের প্রতিটি ঘটনার আইনানুগ বিচারের ব্যবস্থা করে যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর, উপাসনালয় ভাঙচুর ও সম্পত্তি দখলের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বিচারিক প্রক্রিয়ায় শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। ১০. আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রশাসন ও বিচার বিভাগকে প্রাতিষ্ঠানিক শৃঙ্খলা ও পেশাদারির সঙ্গে দায়িত্ব পালনের উপযোগী করার লক্ষ্যে সরকারি হস্তক্ষেপ পরিহার করে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে।

আরও পড়ুন

১০ দফার প্রতি দুই হাত তুলে সমর্থন

এই দাবিগুলোর প্রতি সমর্থন আছে কি না, সমাবেশে উপস্থিত নেতা-কর্মীদের দুহাত তুলে দেখাতে বলেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন। সবাই দুই হাত তুলে সমর্থন জানালে তিনি বলেন, জনগণ এ দাবি সমর্থন করেছে। এরপর তিনি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে বলেন, ‘আগামী দিনে এই ১০ দফা আদায়ের লক্ষ্যে প্রতিটি আন্দোলন কর্মসূচি আমরা যুগপৎভাবে পালন করব। এই সরকারকে বিদায় দেওয়ার জন্য ধৈর্যসহকারে আপনারা আমাদের এই আন্দোলন-কর্মসূচিকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এটা পরিষ্কার যে নিরপেক্ষ সরকার ব্যতীত বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। বর্তমান দখলদার সরকার বলে, সংবিধানে বাধা। যারা জনগণকে বাইরে রেখে ভোট চুরি করে, তাদের মুখে সংবিধানের কথা মানায়? তিনি বলেন, দেশের ১৮ কোটি মানুষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষে। তারা বুকের রক্ত দিয়ে হলেও এ দাবি প্রতিষ্ঠা করবে।

জনদুর্ভোগের কথা বলে গত পাঁচ দিন নয়াপল্টনের রাস্তা বন্ধ করে দুর্ভোগ কে সৃষ্টি করেছে, সে প্রশ্ন তোলেন দলের স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে পল্টনের রাস্তা দিয়ে পাঁচ দিন ধরে কোনো মানুষ চলাচল করতে পারছে না। কোনো গাড়ি চলে না। দোকানপাট-মার্কেট বন্ধ। এই দুর্ভোগ কে সৃষ্টি করল?

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য জমিরউদ্দিন সরকার, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, বরকতউল্লা, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন, মাহবুবউদ্দিন, সংসদ সদস্য জি এম সিরাজ, রুমিন ফারহানা প্রমুখ।

রাস্তায় লোকারণ্য

শুক্রবার গোলাপবাগ মাঠে সমাবেশের অনুমতি পাওয়ার পরপরই বিএনপির নেতা-কর্মীরা সেখানে জড়ো হতে থাকেন। সমবেত নেতা-কর্মীরা মুহুর্মুহু স্লোগানে মাতিয়ে রেখেছিলেন সমাবেশস্থল। তাঁদের হাতে ছিল নানা প্ল্যাকার্ড। সমাবেশ মাঠে বেশ কিছু বেলুনও ওড়ানো হয়। গতকাল বেলা ১১টায় গণসমাবেশ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হওয়ার আগেই মাঠ ভরে যায়। এরপর নেতা-কর্মীরা সায়েদাবাদ-মুগদা বিশ্বরোডে জড়ো হতে থাকেন।

সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গোলাপবাগ মাঠের পশ্চিম পাশের সড়ক ধরে মানিকনগর বিশ্বরোড হয়ে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনের সড়ক অতিক্রম করে খিলগাঁও উড়ালসড়ক পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তার দুই পাশে বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মীকে স্লোগান দিতে দেখা যায়। একপর্যায়ে সায়েদাবাদ জনপথ মোড় থেকে উত্তর দিকে গোলাপবাগ, মানিকনগর, কমলাপুর স্টেডিয়ামের সামনে দিয়ে মুগদা পর্যন্ত তাঁদের উপস্থিতি ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় গোলাপবাগ মাঠ-সংলগ্ন ধলপুর, পাশের মানিকনগর, গোপীবাগ এলাকা, কমলাপুর স্টেডিয়ামের পশ্চিম দিকে মতিঝিলের সড়কেও নেতা-কর্মীদের অবস্থান নিতে দেখা যায়।

সমাবেশ ঘিরে সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ডসহ বিভিন্ন স্থানে পুলিশ, র‌্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুল সদস্য মোতায়েন ছিলেন। সাঁজোয়া যান, জলকামান, প্রিজন ভ্যানসহ বিভিন্ন যান রাখা ছিল বিভিন্ন মোড়ে। দুপুরের দিকে র‍্যাবের একটি হেলিকপ্টার সমাবেশস্থলের ওপর দিয়ে চক্কর দেয়।

ঢাকার আশপাশের জেলাসহ সারা দেশের বিভিন্ন জেলা থেকেও নেতা-কর্মীরা সমাবেশে অংশ নেন। তিন দিন আগে ঢাকায় আসেন টাঙ্গাইলের গোপালপুরের মির্জাপুর ইউনিয়নের মো. জাহাঙ্গীর আলম। তিনি জানান, অনুমতি পাওয়ার পর শুক্রবার বিকেলে গোলাপবাগ মাঠে আসেন। রাতে মাঠেই ছিলেন। আগের দুই দিন তিনি একটি রিকশা গ্যারেজে ছিলেন।