গণফোরামের 'ভাঙন রোধে' ড. কামালের উদ্যোগ দাবি

প্রবীণ আইনজীবী ও রাজনীতিক ড. কামাল হোসেন। ফাইল ছবি
প্রবীণ আইনজীবী ও রাজনীতিক ড. কামাল হোসেন। ফাইল ছবি

‘ভাঙনের হাত থেকে’ গণফোরামকে রক্ষা করতে দলীয় প্রধান ড. কামাল হোসেনের সহায়তা চাইলেন দলটির একদল নেতা। তাঁরা বলেছেন, গণফোরাম আজ এক অস্তিত্বের সংকটে নিপতিত।

আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীতে গণফোরাম কার্যালয়ে এসব নেতা বৈঠক করেন। কিছুদিন ধরেই পাল্টাপাল্টি বহিষ্কার ও কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্তির ঘটনা ঘটে গণফোরামে

এর জের ধরে গত বৃহস্পতিবার গণফোরামের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। তবে এতে জায়গা হয়নি মোস্তফা মহসিন মন্টু, সুব্রত চৌধুরীসহ অনেক জ্যেষ্ঠ নেতার। ওই দিন গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক রেজা কিবরিয়া স্বাক্ষরে ৭২ জনের একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠনের বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়। সেখানে ড. কামাল হোসেনকে সভাপতি ও রেজা কিবরিয়াকে সাধারণ সম্পাদক করে এ কমিটি গঠনের কথা বলা হয়।

আজ সেই মোস্তফা মহসিন, সুব্রত চৌধুরীসহ কয়েক নেতা সভা ডাকেন। এ দুজন ছাড়াও সভায় ছিলেন রতন ব্যানার্জি, মো. আবদুল আউয়াল, আবদুস সাত্তার পাঠান, রায়হান উদ্দিন, কাজী রফিকুল ইসলাম, মো. নাসির হোসেন, নিলুফার ইয়াসমিন, মো. মাহমুদুল্লাহ, সানজিদ রহমান, মো. সুমন প্রমুখ। গণফোরামের দপ্তর সম্পাদক মো. আজাদ হোসেনের স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ সভা আয়োজনের তথ্য জানানো হয়।

সভায় নেতারা বলেন, গণফোরাম প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে অনেক চড়াই–উতরাই পেরিয়ে এসেছে। কার্যকর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াই অব্যাহতভাবে চালিয়েছে। কোনো রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করেনি। আজ অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে, দলটির প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি ড. কামাল হোসেন, যিনি বাংলাদেশের সংবিধানের প্রণেতা, তাঁকে সামনে রেখে কিছু উচ্চাভিলাষী, কুচক্রী মহল দলে তাদের ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থের অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

গণফোরামের সভায় বলা হয়, বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করে দীর্ঘ ১০ মাস কেন্দ্রীয় কমিটির সভা আহ্বান করেনি। ফলে দলের ভেতরে উপদল, পাল্টাপাল্টি বহিষ্কারের মাধ্যমে মাঠপর্যায়ের নেতা–কর্মীদের বিভ্রান্ত ও হতাশাগ্রস্ত করার অপচেষ্টা করছে। একই সঙ্গে দলটির সাংগঠনিক ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ধ্বংস করছে।

নেতারা বলেন, ‘আমরা গণফোরামের দীর্ঘদিনের মাঠপর্যায়ের নেতা–কর্মী হিসেবে জাতীয় শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেনকে আহ্বান জানাচ্ছি, অনতিবিলম্বে দলের সব প্রবীণ নেতার সঙ্গে পরামর্শ করে দলকে ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা ও দলীয় ঐক্য রক্ষার উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।’

আজকের সভায় ‘দলীয় ঐক্যরক্ষা’ ও ‘সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার’ জন্য মুখপাত্র হিসেবে সুব্রত চৌধুরীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।