ঢাকা-১৮ আসনের উপনির্বাচনের দিন রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বাস পোড়ানোর ঘটনায় করা পৃথক মামলায় বিএনপি ও যুবদলের ১৭৮ নেতা-কর্মী আগাম জামিন পেয়েছেন। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাঁদের জামিন দেওয়া হয়েছে।
আগাম জামিন চেয়ে নেতা-কর্মীদের করা পৃথক আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ বুধবার বিচারপতি হাবিবুল গনি ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই জামিন দেন।
গত বছরের ১২ নভেম্বর ঢাকা-১৮ আসনের উপনির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, সেদিন দুপুরের পর থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মোট ১১টি বাস পোড়ানো হয়। ওই ঘটনায় রাজধানীর বিভিন্ন থানায় করা পৃথক মামলায় আগাম জামিন চেয়ে বিএনপি ও যুবদলের নেতা-কর্মীরা হাইকোর্টে পৃথক আবেদন করেন, যা আজ শুনানির জন্য ওঠে।
আদালতে জামিন আবেদনকারীদের পক্ষে আইনজীবী কায়সার কামাল, গাজী কামরুল ইসলাম প্রমুখ শুনানিতে ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহফুজুর রহমান লিখন। শুনানি থাকায় জামিন আবেদনকারী নেতা-কর্মীরা আজ আদালতে হাজির হন।
পরে কায়সার কামাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘উত্তরা, শাহবাগ, পল্টন, কলাবাগান, ভাটারাসহ রাজধানীর বিভিন্ন থানায় করা পৃথক মামলায় বিএনপি ও যুবদলের ১৭৮ নেতা-কর্মী আগাম জামিন চেয়ে পৃথক ৩৬টি আবেদন করেন। শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট বিএনপি নেতা (ঢাকা-১০ আসনের প্রার্থী) শেখ রবিউল আলম, যুবদলের সহসভাপতি রবিউল আউয়াল লাভলু, আবদুল বাতেন শামীমসহ ১৭৮ নেতা-কর্মীকে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আগাম জামিন দেন। এর মধ্যে আবেদনকারীদের (নেতা-কর্মী) ঢাকার মেট্রোপলিটন সেশন জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে।’