হামলার নেতৃত্বে বাইরের নেতারা

ছাত্রদলের ওপর হামলায় নেতৃত্ব দিয়েছে ছাত্রলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কমিটি। সঙ্গে ঢাকা কলেজ কমিটিতে পদপ্রত্যাশী নেতারাও ছিলেন।

  • ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের প্রবেশ ঠেকাতে গত সোমবার থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ‘পাহারা’ দিচ্ছেন ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা।

  • ছাত্রদলের ওপর হামলায় নেতৃত্ব দেওয়া নেতাদের প্রায় সবাই ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত।

সর্বোচ্চ আদালত চত্বরে বৃহস্পতিবার ছাত্রদলের নেতা–কর্মীদের ওপর হামলার পর নিজের অনুসারীদের নিয়ে সামাদ আজাদের (বাঁ থেকে তৃতীয়) মহড়া। তিনি ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের নতুন কমিটিতে পদপ্রত্যাশী
ছবি: সংগৃহীত

সর্বোচ্চ আদালত চত্বরে গত বৃহস্পতিবার ছাত্রদলের ওপর হামলার সময় সামনের সারিতে ছিলেন ছাত্রলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার নেতা–কর্মীরা। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন সংগঠনের ঢাকা কলেজের আসন্ন কমিটিতে শীর্ষ পদপ্রত্যাশী নেতা ও তাঁদের অনুসারীরা। সেদিনের ঘটনার বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ ও ছবি বিশ্লেষণ করে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার একাধিক নেতাও সেদিনের হামলায় সংগঠনের ওই দুই শাখার নেতা–কর্মীদের অংশ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন।

যদিও বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে ছাত্রদলের ওপর হামলার ঘটনাকে ‘সাধারণ শিক্ষার্থীদের’ প্রতিবাদ হিসেবে দাবি করেছে ছাত্রলীগ। আর গত মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের মিছিলে বেপরোয়া হামলার ঘটনাকে বলছে ‘প্রগতিশীল শিক্ষার্থীদের’ প্রতিবাদ।

বৃহস্পতিবারের হামলায় যাঁরা অংশ নিয়েছেন, তাঁদের একটি অংশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের আহমেদের অনুসারী। হামলার পর হাইকোর্টের মাজার গেটের সামনে তাঁর অনুসারীরা ‘দক্ষিণের মাটি, জুবায়ের ভাইয়ের ঘাঁটি’ বলে স্লোগানও দিয়েছিলেন। জুবায়ের ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খানের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। র‌্যাবের ওপর হামলার অভিযোগে জুবায়ের ১৮ মে গ্রেপ্তার হন। এর দুদিন পরই তিনি জামিনে ছাড়া পান।

আরও পড়ুন
সর্বোচ্চ আদালতের বাইরে (হাইকোর্টের মাজার গেট) লাঠিসোঁটা হাতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা। বৃহস্পতিবার ছাত্রদলের নেতা–কর্মীদের ওপর হামলার পর তাঁরা সেখানে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন
ছবি: প্রথম আলো

হামলার সময় ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের শীর্ষ পদপ্রত্যাশী সামাদ আজাদ ও তাঁর অনুসারীরাও বেশ বেপরোয়া ছিলেন। গত এপ্রিল মাসে নিউমার্কেট এলাকায় দোকানমালিক–কর্মচারী ও হকারদের সঙ্গে সংঘর্ষে যাঁরা নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, তাঁদের একজন সামাদ। তিনিও ছাত্রলীগের সভাপতির ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। নিউমার্কেট এলাকায় সংঘর্ষের কয়েক দিন পর ঢাকা কলেজ এলাকা থেকে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে গিয়েছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পরে অবশ্য তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

জুবায়ের ও সামাদের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেছে প্রথম আলো। এর মধ্যে জুবায়ের ফোন ধরেননি। আর ছাত্রদলের ওপর হামলার বিষয়ে সামাদের বক্তব্য হচ্ছে, সেদিন ছাত্রলীগের মিছিলের সামনের সারিতে ছিলেন তাঁরা। ছাত্রদলের নেতা–কর্মীদের ধাওয়াও দিয়েছেন। কিন্তু কাউকে মারধর করেননি বলে দাবি করেন তিনি।

বৃহস্পতিবারের হামলায় ঢাকা দক্ষিণ ও ঢাকা কলেজের পদপ্রত্যাশী নেতাদের পেছনে ছিলেন ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতা-কর্মীরা। তাঁদের সঙ্গে আরও ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারাও। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের অনেকের হাতে ছিল লাঠিসোঁটা, রড, হকিস্টিক, লোহার পাইপ, স্টাম্প ও ধারালো অস্ত্র। কারও কারও মাথায় ছিল হেলমেট। অবশ্য বৃহস্পতিবার ছাত্রদলের নেতা–কর্মীদের অনেকের মাথায় ছিল হেলমেট, হাতেও লাঠিসোঁটা ছিল।

এর আগে ২৪ মে দোয়েল চত্বর এলাকায় ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা যখন অবস্থান করছিলেন, তখনো অনেকের হাতে ইটের টুকরা, কাঠ ও লাঠিসোঁটা ছিল। ওই দিন ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের মিছিলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতা–কর্মীদের পাশাপাশি মহানগর কমিটিসহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতা–কর্মীরাও ছিলেন।

আরও পড়ুন
আদালত চত্বরে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে পেটানো হয় ছাত্রদলের নেতাকে। হামলাকারীদের মধ্যে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতার পাশাপাশি সংগঠনের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার নেতা–কর্মীরাও ছিলেন
ছবি: প্রথম আলো

ঘটনার শুরু ২২ মে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদের দেওয়া এক বক্তব্যকে কেন্দ্র করে ২২ মে সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র–শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) এলাকায় ছাত্রদলের নেতা–কর্মীদের ওপর প্রথমে হামলা চালায় ছাত্রলীগ। এর প্রতিবাদ ও সাইফ মাহমুদের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে ২৪ মে টিএসসিতে ছাত্রদল সংবাদ সম্মেলন ডেকেছিল। ২৪ মে সকালে সেখানে যাওয়ার পথে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে ছাত্রদলের মিছিলে বেপরোয়া হামলা করে ছাত্রলীগ।

পিটিয়ে ছাত্রদলের অন্তত ৩০ জন নেতা–কর্মীকে রক্তাক্ত করা হয়। সেদিন দুপুরে দোয়েল চত্বরে দুই পক্ষে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনাও ঘটে। এরপর ২৬ মে (গত বৃহস্পতিবার) দুপুরে ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঢোকার চেষ্টা করলে হাইকোর্ট মোড়ে ছাত্রলীগের সঙ্গে তাদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। একপর্যায়ে ছাত্রলীগের ধাওয়ার মুখে ছাত্রদলের নেতা–কর্মীদের একটি অংশ সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে ঢুকে পড়েন। সেখানে গিয়ে ছাত্রদলের নেতা–কর্মীদের পেটায় ছাত্রলীগ।

বৃহস্পতিবারের হামলার একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, ঢাকা কলেজ শাখা ছাত্রদলের নেতা ইজাবুল্লাহ মল্লিককে আদালত চত্বরে পেটাচ্ছেন ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা। ইজাবুল্লাহকে লোহার পাইপ দিয়ে আঘাত করছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্‌ হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলামের অনুসারী মাহমুদ চৌধুরী। এ হামলায় তাঁর সঙ্গে ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও ঢাকা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরাও। এ ছাড়া ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি তিলোত্তমা শিকদারও সেখানে ছিলেন। তিনিও ছাত্রদল নেতাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করেন।

আরেকটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, আদালত চত্বরে ছাত্রদল নেতা–কর্মীদের পেটানোর জন্য লাঠিসোঁটা হাতে ছোটাছুটি করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তানভীর সিকদারের অনুসারী নাজিম উদ্দিন ওরফে সায়মন। কিছুটা দূরে লোহার পাইপ হাতে দাঁড়িয়ে ছিলেন শহীদুল্লাহ্‌ হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফ আহমেদ।

ছাত্রদলের ওপর হামলার বিষয়ে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য প্রথম আলোকে বলেন, ছাত্রদল শিক্ষার পরিবেশ বিনষ্টের অপচেষ্টা নিয়ে মাঠে নেমেছে। শিক্ষার্থীরা নির্বিঘ্ন শিক্ষাজীবন চায়। তাই নিজেদের দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীরাই ছাত্রদলকে প্রতিহত করেছে। ছাত্রলীগ শুধু তাদের সঙ্গে সংহতি জানিয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

তবে বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ ও ছবি বিশ্লেষণ এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের দেওয়া তথ্য পর্যালোচনা করে হামলায় অংশ নেওয়া আরও ১১ জনের পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাঁরা হলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি রাকিব হোসেন, কর্মসূচি ও পরিকল্পনাবিষয়ক সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, গণশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক আবদুল্লাহ হীল বারী, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়বিষয়ক সম্পাদক আল-আমিন রহমান, গ্রন্থনা ও প্রকাশনাবিষয়ক উপসম্পাদক আমানুল্লাহ আমান, উপদপ্তর সম্পাদক নাজির আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শহিদুল হক ওরফে শিশির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারদা সূর্য সেন হল শাখার নেতা সৈয়দ শরিফুল আলম, স্যার এ এফ রহমান হল শাখার নেতা আবদুর রাহিম সরকার, সালাহউদ্দিন আহমেদ ওরফে সাজু ও আবসার হাসান ওরফে রানা। তাঁরা প্রায় সবাই ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত।

ছাত্রলীগের ‘পাহারা’ অব্যাহত

এদিকে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশ ঠেকাতে গত সোমবার থেকে নিয়মিত ক্যাম্পাস ‘পাহারা’ দিচ্ছে ছাত্রলীগ। গতকালও এর ব্যতিক্রম ছিল না। ক্যাম্পাসের মধুর ক্যানটিন, টিএসসি, কার্জন হল ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় গতকাল সকাল থেকেই অবস্থান নেয় ছাত্রলীগ। ছিল মোটরসাইকেলের ‘শোডাউনও’। যদিও কোনো কর্মসূচি না থাকায় ছাত্রদল গতকাল ক্যাম্পাসে ঢোকার চেষ্টা করেনি।

এদিকে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের ওপর বহিরাগত ছাত্রদল ক্যাডারদের সশস্ত্র হামলার প্রতিবাদ এবং সব শিক্ষার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিতে রোববার সকালে (আজ) রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে মানববন্ধন কর্মসূচি দিয়েছে ছাত্রলীগ।

হামলায় ছাত্রলীগ, আসামি ছাত্রদল

২৪ মে সকালে ও দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে হামলা ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার পর রাতেই রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সরকারি কাজে বাধা, সরকারি কর্মচারীকে মারধর, বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়ি ভাঙচুর ও ক্যাম্পাসে বিশৃঙ্খলার অভিযোগে করা মামলায় ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। মামলায় এখন পর্যন্ত ছাত্রদলের চারজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ।

ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আকতার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ধারালো ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করেছেন, তাঁরাই জানমালের ক্ষতিসাধন করেছেন। এর সুস্পষ্ট দালিলিক প্রমাণ সামনে থাকার পরও অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে শুধু ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের হয়রানি করার জন্য।

২৪ মের ঘটনায় গত শুক্রবার রাতে (২৭ মে) কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদসহ ১৮ নেতা এবং অজ্ঞাতনামা ৫০ থেকে ৬০ জনের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় পৃথক মামলা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্‌ হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম।

ঘটনার তিন দিন পর করা এ মামলায় অভিযোগ করা হয়, ছাত্রদলের হামলায় শহীদুল্লাহ্‌ হলের আটজন সাধারণ শিক্ষার্থীসহ ফজলুল হক মুসলিম হল ও জগন্নাথ হলের আরও অনেকের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গুরুতর আঘাত লেগেছে।

এতে ছাত্রদল নেতাদের বিরুদ্ধে ‘বেআইনি জনতাবদ্ধে লাঠিসোঁটা, লোহার রডসহ হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করে সাধারণ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের লক্ষ্যে স্বেচ্ছায় মারাত্মক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে এলোপাতাড়িভাবে মারপিট করে গুরুতর জখম ও দুষ্কর্মে সহায়তার’ অভিযোগ আনা হয়েছে।

তবে দেশের সর্বোচ্চ আদালত প্রাঙ্গণে ছাত্রদলের ওপর ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীদের হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা বা আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।