কখন দরুদ পাঠ করতে হয়
সাধারণভাবে দরুদ পাঠ করা পুণ্যের কাজ। তবে ৪টি স্থানে দরুদ পাঠ করা ইসলামে বিধিবিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
১. নামাজের শেষ বৈঠকে আত্তাহিয়্যাতু পাঠের পরে। ফুজালা ইবনে ওবাইদ (রা.) হাদিস বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) শুনলেন, এক ব্যক্তি নামাজে এমনভাবে দোয়া করছে, যাতে আল্লাহর প্রশংসাও করে নি এবং নবীজির(সা.) প্রতি দুরুদও না। তিনি বললেন, ‘সে তাড়াহুড়া করেছে।’ তিনি তাকে ডাকলেন। এরপর তাঁকে বা অন্যদের বললেন, ‘আমাদের কেউ যখন নামাজ পড়ে, তখন সে যেন তার প্রতিপালকের প্রশংসা এবং স্তুতি বাক্য দিয়ে শুরু করে, তারপর নবীজির প্রতি দরুদ পড়ে। এবং শেষে তার খুশিমতো প্রার্থনা করে।’ (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ১,৪৮১)
২. মসজিদে প্রবেশের সময়। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যখন তোমাদের কেউ মসজিদে প্রবেশ করবে, তখন সে যেন নবীজির (সা.) প্রতি সালাম পাঠায় আর বলে, ‘আল্লাহুম্মা-ফ্তাহ্লী আবওয়াবা রহমাতিক’ (আল্লাহ, আমার জন্যে আপনার রহমতের দুয়ার খুলে দিন)।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৭৭২)
৩. আজানের পরে। আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) নবীজিকে(সা.) বলতে শুনেছেন, ‘যখন তোমরা মুয়াজ্জিনের আহ্বান শোনো, তখন তোমরাও তা বলো, যা সে বলে। তারপর আমার ওপর দরুদ পড়ো। নিশ্চয় যে আমার প্রতি একবার দরুদ পড়ে, বিনিময়ে আল্লাহ তাআলা তাকে দশবার আশীর্বাদ করবেন। তারপর আমার জন্যে ‘ওসিলা’ প্রার্থনা করো। কেননা, তা জান্নাতের একটি অধিষ্ঠান, আল্লাহর বান্দাদের প্রত্যেকের তা কামনা এবং আশা করছি, আমি সেখানেই থাকব। সুতরাং যে ব্যক্তি আমার জন্য ওসিলা প্রার্থনা করবে, তার জন্য আমার সাফায়াত থাকবে।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৩৮৩)
৪. এমন প্রতিটি সময় যখন নবীজির (সা.) নাম স্মরণ করা হয়। আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘ধ্বংস হোক সেই ব্যক্তির, যার সামনে আমার নাম উচ্চারিত হয়, অথচ সে আমার ওপর দরুদ পাঠ করে না।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস: ৩,৫৪৫)