কীভাবে কাটাবেন কদরের রাত

কদর রাতের ইবাদতের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষে কোনও তারতম্য নেই। রাসুল (সা.) এ-রাতের ইবাদতে পরিবার-পরিজনকে সঙ্গে রেখেছেন। (বাইহাকি, সুনানে কুবরা, ২/৪৯৪)

আফজা থেকে বর্ণিত, আলী (রা.) সবাইকে রমজানে রাত্রি জাগরণের আদেশ দিতেন। পুরুষ ও নারীদের জন্য তিনি পৃথক-পৃথক ইমাম নির্ধারণ করতেন। তিনি বলেন, আমাকে আদেশ করলে আমি নারীদের নামাজে ইমামতি করলাম। (মুসান্নাফে আব্দির রাজ্জাক, ২৫/৫)

রমজানে রাসুল (সা.) ও সাহাবিদের জীবন যাপন পদ্ধতি অনুসরণ করলে কদর রাতের ইবাদতের সম্পর্কে যা জানা যায়, তা হলো:

দোয়া করা

কদর রাতে আমাদের কর্তব্য হলো বেশি বেশি দোয়া করা। নবীজির কাছে আয়েশা (রা.) জানতে চান, ‘কদর রাতে আমি কী করতে পারি?’ তিনি বলেন, ‘ক্ষমা প্রার্থনা করবে। বলবে, হে আল্লাহ, আপনি ক্ষমাশীল, ক্ষমাকে ভালোবাসেন, অতএব আমাকে ক্ষমা করুন।’ (তিরমিজি, হাদিস: ৩৫১৩)

আরও পড়ুন

রাতজাগার প্রস্তুতি

 রাত জাগার জন্য সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করা উচিত। এ জন্য দিনের বেলা বিশ্রাম নেওয়া, অনর্থক ঝামেলা এড়িয়ে নীরবে সময় কাটানোর উদ্যোগ নেওয়া, দ্রুত মসজিদে যাওয়া, অল্প খাওয়া এবং শেষ দশক আসার আগে ঈদের যাবতীয় কেনাকাটা সম্পন্ন করে নেওয়া যায়।

 আত্মিক পরিচ্ছন্নতা অর্জন

 এ-রাত উপলক্ষ করে পাপ থেকে আত্মাকে পরিপূর্ণ পরিচ্ছন্ন হওয়ার সাধনা করা উচিত। এ জন্য যাবতীয় কবিরা গুনাহ বা মহাপাপ থেকে আন্তরিক তাওবা করার বিকল্প নেই।

আরও পড়ুন

সাজসজ্জা গ্রহণ

 পূর্বসূরি আলেমগণ গোসল করতেন, পরিপাটি থাকতেন এবং সুগন্ধি ব্যবহার করতেন। ইবনে জাওযি (রাহ.) বলেন, তামিম দারি যে-রাতকে কদর মনে করতেন, সে রাতে এক দামি পোশাক পরিধান করতেন। অন্যান্য মনীষীগণও এ রাতে গোসল করতেন, সুগন্ধি ব্যবহার করতেন ও উত্তম পোশাক পরিধান করতেন বলে বর্ণনা পাওয়া যায়।

সর্বোত্তম আমল নির্বাচন

 নিজের জন্য এ রাতে সর্বোত্তম আমল নির্বাচন করা উচিত, যে আমল বান্দাকে ক্রমান্বয়ে বান্দাকে আল্লাহর নিকটবর্তী করে তোলে। যেমন, কোরআন তিলাওয়াত করা যেতে পারে। এ ছাড়া ভীতি, বিনয় বিনম্র আচরণ, আল্লাহর জন্য নিজেকে বিলীনরূপে হাজির করা উচিত।

আরও পড়ুন

রাতের ফরজ নামাজে গুরুত্ব দেওয়া

 বিশেষভাবে পালনীয় হলো, মাগরিব ও এশার নামাজ জামাতের সঙ্গে মসজিদে আদায় করা। কারণ, ফরজ আমলের তুলনায় ভিন্ন কোনো ইবাদত মানুষকে আল্লাহর এতটা নিকটবর্তী করতে পারে না। ইমাম জাহ্হাক (রহ.) বলেন, ‘রমজানে যে ব্যক্তি মাগরিব ও ইশার নামাজ নিয়মিত আদায় করে যাবে, সে নিশ্চয় কদর রাতের সওয়াবের অংশীদার হবে। (মাওয়াজি, কিয়ামে রমাদান, ৯২)

আরও পড়ুন