'একুশকে আমরা মর্মে নিতে পারিনি'

আহমদ রফিক। ছবি: সাবিনা ইয়াসমিন
আহমদ রফিক। ছবি: সাবিনা ইয়াসমিন
>আহমদ রফিক ভাষাসংগ্রামী। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারির ভাষা আন্দোলনের সময় তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। আন্দোলনে অংশ নেওয়ার কারণে কর্তৃপক্ষ তাঁকে বহিষ্কার করে। সরকার জারি করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। দুই বছর পর আদালতের নির্দেশে ছাত্রত্ব ফিরে পান। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের সহযাত্রী আহমদ রফিকের বয়স এখন ৯১ বছর। এই বয়সেও নিয়মিত লিখছেন। দেশ ও সমাজ সম্পর্কে তাঁর চিন্তাভাবনার কথা দেশবাসীকে জানাচ্ছেন। ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধোত্তর বাংলাদেশ নিয়ে এই ভাষাসংগ্রামী কথা বলেছেন প্রথম আলোর সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সোহরাব হাসান

সোহরাব হাসান: আপনি ভাষা আন্দোলনের সূচনাপর্বে কীভাবে যুক্ত হয়েছিলেন?
আহমদ রফিক: ভাষা আন্দোলনের দীর্ঘ পটভূমি আছে। একুশে ফেব্রুয়ারি পুলিশের গুলিবর্ষণের পরই এ আন্দোলন হয়নি। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার অব্যবহিত পর ভাষার দাবিতে এ দেশের মানুষ আন্দোলন শুরু করে। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট। এর আগে পাঞ্জাবের মুসলিম লীগ নেতা চৌধুরী খালিকুজ্জামান বললেন, পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হবে উর্দু। আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জিয়উদ্দিনও উর্দুর পক্ষে সাফাই গাইলেন। সঙ্গে সঙ্গে এর প্রতিবাদ করলেন বাঙালি লেখক, বুদ্ধিজীবীরা। প্রথমে আবদুল হক লিখলেন। এরপর ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, কাজী মোতাহার হোসেন, ড. মুহম্মদ এনামুল হক, ফররুখ আহমদ প্রমুখ। ১৯৪৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে গণপরিষদে ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার প্রস্তাব পেশ করলেন। এরপর রাষ্ট্রভাষা পরিষদ গঠিত হয়। ১১ মার্চ ছাত্ররা ধর্মঘট পালন করে। আমি তখন মুন্সিগঞ্জ হরগঙ্গা কলেজে আইএসসির ছাত্র। বাংলা ভাষার দাবিতে সেখানে যে মিছিল হয়, তাতে আমিও ছিলাম। আমি স্কুলের ছাত্র থাকতেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হই। ১৯৪৭-৪৮ সালের দিকে মার্ক্সবাদী দর্শনে দীক্ষা নিয়েছিলাম। দেশভাগের আগেই উপলব্ধি করি, ঔপনিবেশিক ব্রিটিশকে তাড়াতে হবে। কিন্তু সামাজিক শোষণের অবসান না হলে জনগণের সত্যিকার স্বাধীনতা আসবে না। 

সোহরাব: কিন্তু ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টি তো পাকিস্তান আন্দোলন সমর্থন করছিল।
রফিক: কমিউনিস্ট পার্টির নীতি ছিল সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানেরা যেহেতু পাকিস্তান চায়, সেহেতু তাকে সমর্থন দেওয়া। কিন্তু ১৯৪২ সালে কমিউনিস্ট পার্টি যুক্তরাষ্ট্রীয় ভারতের দাবি জানিয়েছিল, ভারতের প্রতিটি অঞ্চলই হবে স্বায়ত্তশাসিত। যখন হলো না তখন জিন্নাহর দ্বিজাতিতত্ত্বকে তারা সমর্থন করল। আমি তখনো এটিকে সঠিক মনে করিনি। এখনো করি না। দেশ যদি ভাগ না হতো অবিভক্ত ভারতই পৃথিবীর সবচেয়ে বড় শক্তি হতে পারত।

সোহরাব: ভাষা আন্দোলনে অংশ নেওয়ার জন্য আপনি তো মেডিকেল কলেজ থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন? আরও কেউ?
রফিক: না, আমি একাই বহিষ্কৃত হয়েছিলাম। আমি ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র ছিলাম। গ্রেপ্তারি পরোয়ানার কারণে দুবছর পালিয়ে থাকতে হলো। ৩০ মে ১৯৫৪ সালে কলেজে ফিরে এলাম। 

সোহরাব: ভাষা আন্দোলনে ছাত্ররাই নেতৃত্ব দিয়েছিল। কীভাবে এটি সম্ভব হলো?
রফিক: এটা এক আশ্চর্যজনক ঘটনা। ভাষা আন্দোলন শুরু করেছিল ছাত্ররা। কিন্তু বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষ এগিয়ে এসেছিল বলেই আন্দোলনটি সর্বাত্মক রূপ পেয়েছিল। ছড়িয়ে পড়েছিল প্রত্যন্ত অঞ্চলে। বিশেষ করে ২১ ফেব্রুয়ারি ১৪৪ ধারা ভেঙে ছাত্ররা মিছিল করলে পুলিশ গুলি করে। এই খবর ছড়িয়ে পড়লে শ্রমিকসহ সর্বস্তরের মানুষ আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে। আমি প্রথম আলোতে এ নিয়ে ধারাবাহিক লিখেছিও, পরে যা বই আকারে প্রকাশিত হয়েছে। ২২ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় বিরাট মিছিল বের হয়। পুরোনো ঢাকায় মুসলিম লীগের যে জুবিলি প্রেস ছিল, বিক্ষুব্ধ মিছিলকারীরা সেটি পুড়িয়ে দেয়। প্রেসটি পুড়ে ছাই না হওয়া পর্যন্ত তারা ফায়ার ব্রিগেডকেও কাছে আসতে দেয়নি। এতটাই ক্ষুব্ধ ছিল মানুষ। 

সোহরাব: ভাষা আন্দোলনের তাৎক্ষণিক অর্জন কী ছিল?
রফিক: রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলাকে তখনই সরকার স্বীকৃতি দেয়নি। রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি আসে অনেক পরে। কিন্তু শিল্প-সাহিত্যে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসে। পূর্ববঙ্গের বাংলা সাহিত্যে নতুন চেতনার উদ্ভব হলো। ১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৫১ সাল পর্যন্ত যত লেখালেখি হয়েছে, তার প্রায় পুরোটাই ছিল পাকিস্তান–বন্দনা। কিন্তু ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারির পর যেসব প্রবন্ধ-গল্প-কবিতা রচিত হলো, তাতে বাঙালির আত্মানুসন্ধানের চেষ্টা ছিল। একুশে ফেব্রুয়ারির পর ১৯৫২ সালেই কুমিল্লায় সাহিত্য সম্মেলন হলো। সেখানে নবান্ন-এর মতো নাটক মঞ্চস্থ হয়। ১৯৫৪ সালে ঢাকায় সাহিত্য সম্মেলন হলো। ১৯৫৭ সালে কাগমারীতে। এসবই ছিল ভাষা আন্দোলনের তাৎক্ষণিক অর্জন।

সোহরাব: বলা হয়, ভাষা আন্দোলনই আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সূতিকাগার। কিন্তু যে গণতান্ত্রিক চেতনা এই দুই ঘটনার কেন্দ্রে, রাষ্ট্র ও সমাজে আমরা তার বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে পারলাম না কেন?
রফিক: গণতন্ত্র কেমন করে হবে? যেহেতু ব্যবসায়ী শ্রেণি ও সুবিধাবাদী শ্রেণি মুক্তিযুদ্ধের প্রধান চালিকাশক্তি ছিল। তাদের কাছ থেকে জবাবদিহি আশা করেন কী করে? বর্তমানে বাংলাদেশে যে উন্নয়ন হচ্ছে, সেটি ভার্টিকাল গ্রোথ। মাত্র ৫ শতাংশ মানুষ এর সুবিধা পাচ্ছে। বাকি ৯৫ শতাংশ মানুষ বঞ্চিত থাকছে। আমরা ২২ পরিবারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে জয়ী হয়ে ২২ শত পরিবার তৈরি করেছি।

সোহরাব: কিন্তু তারাই তো পশ্চিম পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে সফল হয়েছিল।
রফিক: পশ্চিম পাকিস্তান ও পূর্ব পাকিস্তানের মধ্যে বিরাট বৈষম্য ছিল। আমাদের এখানে বড় শিল্পপতি ছিল না। সামরিক বাহিনীতে লে. কর্নেলের ওপরে কেউ উঠতে পারেনি। স্বাধীনতার পর বাঙালি সুবিধাবাদী শ্রেণীর হাতেই সব ক্ষমতা চলে এল। তারা মনে করল গণতন্ত্রের প্রয়োজন নেই। যেনতেনভাবে নির্বাচন করে ক্ষমতায় আসাটাই লক্ষ্য হয়ে দাঁড়াল। আর সামরিক শাসন তো ছিলই।

সোহরাব: ভাষা আন্দোলনের উদ্দেশ্য ছিল সর্বস্তরে বাংলা ভাষার প্রবর্তন। সেটি কতটা সফল হলো?
রফিক: সর্বস্তরে বাংলা ভাষা চালুর যে দাবি তার মূল কথা ছিল রাজভাষা ও রাজসংস্কৃতির স্থলে জনগণের ভাষা ও সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা। কিন্তু বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরও সেই রাজভাষা ও সংস্কৃতি আমরা লালন করে যাচ্ছি। এখনো আমাদের আদালতে ‘মাই লর্ড’ বলে সম্বোধন করতে হয়। ভাষা আন্দোলনের আরেকটি লক্ষ্য ছিল মাতৃভাষায় উচ্চশিক্ষা গ্রহণ। 

সোহরাব: সেটি তো হলো না। এর জন্য কাকে দায়ী করবেন?
রফিক: দায়িত্ব ছিল সরকার ও সমাজের। স্বাধীনতার পর শেখ সাহেব উদ্যোগও নিয়েছিলেন। কিন্তু যে বৌদ্ধিক সমাজ কাজটি করবে, তারা এগিয়ে এল না। তারা নিজেদের সুবিধার জন্য সেটি করেনি। শিক্ষার সঙ্গে জড়িত অনেকের মধ্যে ঔপনিবেশিক মানসিকতা ছিল। একটি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা বলি। স্বাধীনতার পর আমরা মেডিকেল কলেজের ছাত্রদের দুটি পাঠ্যবই অনুবাদ করেছিলাম। বাংলা একাডেমি অনেক টাকা খরচ করে সেটি ছেপেওছিল। আমি ও সাঈদ হায়দার বই দুটি নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজের তৎকালীন অধ্যক্ষের সঙ্গে দেখা করে বললাম, বাংলা বই চালু করুন। তিনি বললেন, আপনারা রোমান্টিক, ভাববাদী বলে মেডিকেলের বই বাংলায় করেছেন। কিন্তু এটি বাস্তবায়নযোগ্য নয়। মেডিকেলে বাংলা চালু করতে চিকিৎসকদের যে সময় ব্যয় হবে, সেই সময়ে তাঁরা রোগী দেখলে অনেক টাকা পাওয়া যাবে। আসলে রাজভাষা ও রাজসংস্কৃতি আমাদের মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছে। 

সোহরাব: বাংলাদেশকে আমরা বাঙালির জাতিরাষ্ট্র বলি। কিন্তু স্বাধীনতার ৪৯ বছর পরও বাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করতে পারলাম না।
রফিক: আমরা জাতিরাষ্ট্রের ধারণা নিয়েছি ইউরোপ থেকে। তারা জাতীয় ভাষাকে জীবিকার ভাষা হিসেবে নিয়েছে। আমরা যখন স্বাধীন হলাম, আমরা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করলাম। সংবিধানে আছে, ‘প্রজাতন্ত্রের ভাষা বাংলা।’ প্রজাতন্ত্রের ভাষা মানে উচ্চশিক্ষাও বাংলায় হতে হবে। সেটি আমরা করতে পারিনি। ফলে যে বাংলা ভাষার জন্য আমরা জীবন দিলাম, সেই ভাষা জীবিকার ভাষা হলো না। জাতিরাষ্ট্র হিসেবে বাংলা জাতীয় ভাষা হওয়া উচিত ছিল। কেউ বলেনি, ইংরেজি ভাষা শেখা যাবে না। তৃতীয় ভাষাও থাকতে পারে। প্রয়োজনে ইংরেজিকে দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু বাংলা ভাষার দাবি তো সবার আগে। 

সোহরাব: বাংলা জাতীয় ভাষা না হওয়ার জন্য কাকে দায়ী করবেন?
রফিক: আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাটি অত্যন্ত গোলমেলে। কথা ছিল একমুখী শিক্ষা হবে। কুদরাত–এ–খুদা শিক্ষা কমিশনের সে রকম সুপারিশ ছিল। এখানে শিক্ষাক্ষেত্রে দুটো শ্রেণি তৈরি হয়েছে। ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার সুযোগ তো সাধারণ মানুষ পায় না। বাংলা মাধ্যমের শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়ছে। ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার্থীরা এগিয়ে যাচ্ছে। আর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলার কোনো জায়গাই নেই। সুবিধাপ্রাপ্ত শ্রেণি। ফলে উচ্চশিক্ষায়ও ইংরেজি মাধ্যমের ছেলেমেয়েরা প্রাধান্য পেয়েছে। চাকরি-বাকরির ক্ষেত্রেও। স্বাধীনতার মর্ম দুর্নীতির কাছে পরাস্ত হয়েছে। বাংলা জীবিকার ভাষা কীভাবে হবে?

সোহরাব: একুশে ফেব্রুয়ারিকে কি তাহলে আমরা মর্মে নিতে পারলাম?
রফিক: একুশকে আমরা মর্মে নিতে পারিনি। ভাষা আন্দোলনকে যেহেতু স্বাধীনতার সূতিকাগার বলা হয়, সেহেতু এটি রাষ্ট্রীয়ভাবে উদ্‌যাপিত হচ্ছে। কিন্তু মহান একুশের মাসে বাংলা একাডেমিতে যে মাসব্যাপী অনুষ্ঠান হয়, তাতে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ নেই। সাধারণ মানুষ বলতে আমি শ্রমজীবী মানুষের কথা বলেছি।

সোহরাব: একুশকে আমরা তাদের কাছে নিয়ে যেতে পারলাম না কেন?
রফিক: কারণ রাষ্ট্রের যাঁরা চালক, তাঁরা সাধারণ মানুষকে নিয়ে ভাবেন না। আরেকটি কারণ হতে পারে, সবকিছু সহজে পাওয়া। আমার মনে হয়, নয় মাসের বদলে মুক্তিযুদ্ধ আরও দীর্ঘস্থায়ী হলে আমরা স্বাধীনতার মর্ম বুঝতাম। সেই অর্থে সাধারণ মানুষ স্বাধীনতার সুফল পায়নি। পেয়েছে সুবিধাবাদী একটি গোষ্ঠী। 

সোহরাব: কেন এমন হলো?
রফিক: আমরা রাষ্ট্র বদল করলাম, কিন্তু সমাজ বদলের কথা ভাবলাম না। যাঁদের হাতে রাষ্ট্রক্ষমতা, তাঁরা তা করেননি। এখন যাঁরা রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন, তাঁরাও বাংলা ভাষাভাষী। পাকিস্তান আমলে কেন্দ্রীয় শাসকগোষ্ঠী বাংলার বিরোধিতা করেছিল বলেই আমরা আন্দোলন করেছিলাম। মধ্যশ্রেণি দোদুল্যমান। নিজেরা সব সুযোগ কুক্ষিগত করে অন্যদের কথা তারা ভুলে গেছে। 

সোহরাব: বাংলা ভাষার লেখক হিসেবে আপনার গৌরব ও বেদনাবোধ কী?
রফিক: বাংলা ভাষার লেখক হিসেবে গৌরববোধ হলো ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে আমার কথাগুলো বলে যেতে পারছি। আর বেদনাবোধ হচ্ছে দেশটি যেভাবে চলার কথা ছিল, সেভাবে চলছে না। সর্বত্র অন্যায়–অবিচার চলছে। আজকের পত্রিকায় দেখলাম একদিনে পাঁচটি নারী ধর্ষণের ঘটনা। অর্থাৎ আমরা অর্থনৈতিক উন্নয়নের ওপর জোর দিলেও সামাজিক ন্যায়ের কথা ভাবিনি। সুস্থ ও সুন্দর সমাজ গড়ার স্বপ্ন অপূর্ণই থেকে গেছে। সমাজ বদলের দিকে কেউ দৃষ্টি দেয়নি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিল অন্যায়ের প্রতিবাদ। সেটি এখন কোথাও দেখছি না। মুক্তবুদ্ধি ও যুক্তিবাদী চিন্তার চর্চা দেখছি না। বাক, ব্যক্তি ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব হচ্ছে। যুক্তিসংগত প্রতিবাদও সরকার মানতে রাজি নয়।