যুদ্ধের দিনে শিল্পের অর্ঘ্য

কোটি মানুষের স্বপ্নে, ত্যাগে, বীরত্বে রচিত হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের মহা ইতিহাস। দুই বাংলার শিল্পীসমাজের সেতুবন্ধময় অবদানের স্মৃতিচারণা করছেন কবি-সম্পাদক আবুল হাসনাত।

আবুল হাসনাত
সংগৃহীত

কলকাতার ১৪৪ লেনিন সরণিতে সহায়ক সমিতির অফিসে বাংলাদেশের আশ্রিত বুদ্ধিজীবী ও সংগীতশিল্পীরা যে মহাকর্ম পরিচালিত করেছিলেন, তা আজ ইতিহাসেরও অন্তর্গত হয়ে গেছে। শরণার্থী ও মুক্তিযোদ্ধাদের মনোবলকে উদ্দীপিত ও বৃহত্তর যুদ্ধে প্রেরণা সঞ্চারের জন্য এই অফিসে গানের মহলা হতো। এই বাড়ি ঐতিহ্যমণ্ডিত। এখানেই একদা ভারতবর্ষের বামপন্থী লেখক-বুদ্ধিজীবীরা অনেক সভা করেছেন। এই ভবন নিয়ে অনেকে স্মৃতিচারণা করেছেন। হীরেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় ও চিন্মোহন সেহানবীশ এই ভবন নিয়ে হৃদয়গ্রাহী ছবিও এঁকেছেন।

কলকাতার নানা অঞ্চল থেকে বাংলাদেশের শিল্পীরা সমবেত হতেন প্রগতি লেখক সংঘ ও গণনাট্য সংঘখ্যাত এই অফিসে। মুক্তিযুদ্ধকালে এই অফিস হয়ে উঠেছিল আরেক সংযোগেরও কেন্দ্র। আমরা নানা কাজে অনেকের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও কুশল জানার জন্য ছুটে যেতাম এই অফিসে। দীপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদার সহায়তা বাংলাদেশের শিল্পীরা কোনো দিন ভোলেননি। এই পথচলার মধ্য দিয়ে দীপেন্দ্রনাথ অনেকের সুহৃদ হয়ে ওঠেন। বিশেষত ওয়াহিদুল হক ও সন্‌জীদা খাতুনের সঙ্গে তাঁর সখ্য এক উচ্চতর পর্যায়ে পৌঁছেছিল।

নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী এক সাক্ষাৎকারে পশ্চিমবঙ্গের বুদ্ধিজীবী, লেখক ও শিল্পীসমাজ বাংলাদেশের সংগীতশিল্পী ও বুদ্ধিজীবীদের জন্য যে সাহায্যের হস্ত প্রসারিত করেছিলেন, সে সম্পর্কে বলেন, ‘আমরা নিয়মিত ধর্মতলা স্ট্রিটের অফিসে যেতাম। সেখানে বাংলাদেশ থেকে আসা লেখক-শিল্পীদের একত্র করে নানা রকম অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা ও তালিম দেওয়ার কাজ হতো। অনুষ্ঠান করে কেবল অর্থ সংগ্রহ করা নয়, মানুষকে এই মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে অবহিত করাও হতো। যাঁরা কলকাতায় এসেছিলেন, তাঁদের জন্য সাধ্যমতো থাকার ব্যবস্থাও আমরা করেছিলাম। অনেকেরই ছোটখাটো কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা আমরা করতে পেরেছিলাম। মোট কথা, বিপদের দিনে বিপন্ন মানুষের পাশে যেমন সম্পন্ন মানুষেরা এসে দাঁড়ায়, আমরাও তেমনি যতটা পেরেছি করেছি। সীমান্ত পেরিয়ে যেসব শিল্পী, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী এপারে এসেছিলেন, তাঁদের যথাসাধ্য সাহায্য করাই ছিল আমাদের প্রধান নৈতিক কর্তব্য। বস্তুত, লড়াইয়ের ময়দানে অস্ত্র হাতে শত্রুর মোকাবিলা করার চেয়েও এই সাংস্কৃতিক জোট বাঁধাও কম গুরুত্বপূর্ণ ছিল না। বিশ্ববিবেক জাগ্রত করার মূলে আমাদের এই সাংস্কৃতিক অভিযাত্রা এক বিরাট ভূমিকা পালন করেছিল।’

এই বাড়িতে মহলা হতো। উদ্দেশ্য ছিল এই সব গান দিয়ে শরণার্থীশিবির, মুক্তিযোদ্ধা ও পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ মানুষকে প্রাণিত করা। বিশেষত, মুক্তিযোদ্ধাদের মনোবলকে প্রত্যয়ে দীপ্ত, দেশচেতনায় উদ্দীপিত করাও অভিপ্রায় ছিল। এই সব মহলায় রবীন্দ্রনাথের গানের প্রাধান্য ছিল এবং কাজী নজরুল ইসলামের গানও। সঙ্গে সলিল চৌধুরীর গানও বাদ যায়নি। বরং মর্যাদার সঙ্গে ভিন্ন আবেগ নিয়ে সঙ্গী হয়েছিলেন সলিল চৌধুরী। আবুবকর সিদ্দিক ও গুরুসদয় দত্ত রচিত গানও গাওয়া হতো উজ্জীবনী মন্ত্রে; সত্যেন সেন ও শহীদ সাবের লিখিত দুটি গানও লোকপ্রিয় হয়েছিল। সুভাষ মুখোপাধ্যায় রচিত একটি কবিতার সুরারোপ ষাটের দশকের শেষ দিকে করেছিলেন সংগীতশিল্পী শেখ লুতফর রহমান। এই গান সে সময় যুক্ত হয়েছিল।

গান শেখাতেন সন্‌জীদা খাতুন। ব্যক্তিগত জীবনে তাঁর তখন মহা সংকট। তবু তিনি দেশচেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সাংস্কৃতিক যুদ্ধের প্রধান সৈনিক হয়ে ওঠেন। দলে কী গাওয়া হবে, তা নির্বাচন করতেন তিনি এবং অনুজ শিল্পীদের রবীন্দ্রগান শেখাতেন; সম্মিলিত গণসংগীতেও সাধ্যমতো তালিম দিতেন, গলাও মেলাতেন। বাংলাদেশের শিল্পীরা নির্ভরতা পেয়েছিল সন্‌জীদার সাংস্কৃতিক রুচি ও অঙ্গীকারে। তিনি বলেন, ১৪৪ লেনিন সরণির প্রায় ভেঙে পড়া দোতলা বাড়িতে এই সমাবেশের আয়োজন করা হলো। রাজশাহীর সারওয়ার জাহান, রফিকুল আলম, মুক্তি মজুমদার; চট্টগ্রামের শীলা দাস, শর্মিলা দাস, কল্যাণী ঘোষ, প্রবাল ঘোষ, উমা ঘোষ; খুলনার দীপা বন্দ্যোপাধ্যায়, কালীপদ রায়; ময়মনসিংহের আলোকময় নাহা; সিলেটের রাখী চক্রবর্তী; ঢাকার ডালিয়া নওশিন, নায়লা জামান, সুকুমার বিশ্বাস—এই রকম অনেক মানুষ আমরা সেদিন মিলিত হলাম। ঢাকার ‘ছায়ানটে’ শেখ লুতফর রহমান যেসব সংগ্রামের গান শিখিয়েছেন—খুলনার আবুবকর সিদ্দিকের লেখা সাধন সরকারের সুরের গান—এসব ছাড়াও রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, গুরুসদয় দত্ত ও সলিল চৌধুরীর গান বাছাই করে নিয়ে মহড়া করার সিদ্ধান্ত হলো। সকাল ১০টা-১১টায় একত্র হয়ে গানের চর্চা হতো ঘণ্টা কয়েক। দীপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, সিদ্ধেশ্বর সেন, নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, অমিতাভ দাশগুপ্ত, তরুণ সান্যাল, দেবেশ রায়, প্রসূন বসু, শঙ্খ ঘোষ, সন্তোষকুমার ঘোষ, কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়সহ বহু জ্ঞানী-গুণী ১৪৪ লেনিন সরণিতে আমাদের মহড়ার সময়ে এসেছেন, উৎসাহ দিয়েছেন। কিছুদিন মহড়া চলার পর ঢাকা থেকে মাহমুদুর রহমান বেনু, শাহীন মাহমুদ, ফ্লোরা আহমদসহ আরও কজন এসে যোগ দেন ওই আয়োজনে।

গান শেখাতেন সন্‌জীদা খাতুন। ব্যক্তিগত জীবনে তাঁর তখন মহা সংকট। তবু তিনি দেশচেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সাংস্কৃতিক যুদ্ধের প্রধান সৈনিক হয়ে ওঠেন। দলে কী গাওয়া হবে, তা নির্বাচন করতেন তিনি এবং অনুজ শিল্পীদের রবীন্দ্রগান শেখাতেন; সম্মিলিত গণসংগীতেও সাধ্যমতো তালিম দিতেন, গলাও মেলাতেন।

এই আয়োজন শুধু মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্প ও উদ্বাস্তু শিবিরে গান পরিবেশনে সীমিত থাকেনি। কিছুদিন পর লিবারেশন কাউন্সিলের প্রতিনিধি জহির রায়হান ও ওয়াহিদুল হকের অনুমোদনক্রমে একটি সংঘ তৈরি করেছিলেন বাংলাদেশের শিল্পীরা। নাম রেখেছেন মুক্তি সংগ্রামী শিল্পী সংস্থা। সন্‌জীদা খাতুন হন সভাপতি, মাহমুদুর রহমান বেনু সাধারণ সম্পাদক।

এই সংস্থা দুই দিনব্যাপী এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল রবীন্দ্রসদনে। এই অনুষ্ঠান আমার জীবনে অম্লান হয়ে আছে। উদ্বাস্তু জীবনে মনোগ্রাহী ও পরিশীলিত অনুষ্ঠানটি হৃদয় ও মনে দাগ কেটেছিল খ্যাতনামা শিল্পীদের পরিবেশনার জন্য নয় বা কিংবদন্তিতুল্য শিল্পীদের চোখে দেখেছিলাম সে অনুষ্ঠানে, সে জন্যও নয়; আমি ভুলতে পারিনি সন্‌জীদা খাতুনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রনাথের গান ‘আনন্দধ্বনি জাগাও গগনে’ গানটির পরিবেশনা আর সুচিত্রা মিত্রের কণ্ঠে ‘আমার সোনার বাংলা’ গানটি। শুধু দেশাত্মচেতনা নয়, মুক্তিযুদ্ধের মহান শক্তিরও অনুপ্রেরণায় দীপ্ত হয়ে উঠেছিল। সন্‌জীদা খাতুন যে গানটি গেয়েছিলেন, সে গানটি আজও গাওয়া হয়। কিন্তু সেদিন অনুষ্ঠানের উদ্বোধনে সন্‌জীদার গানটির পরিবেশনা আমার হৃদয়কে প্রসারিত চেতনায় স্নাত করেছিল। এই গানের ব্যাপক অর্থ, প্রাণশক্তি ও বোধ সমগ্র অনুষ্ঠানেই ছড়িয়ে পড়েছিল।

কথাসাহিত্যিক দেবেশ রায় এ প্রসঙ্গে লিখেছেন। পরদিন তিনি ও দীপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ১১০ প্রিন্স গোলাম মোহাম্মদ রোডে বিষ্ণু দের বাড়িতে গিয়েছিলেন সাক্ষাৎ করতে। তিনি বলছেন, ‘তিনি আমাদের জন্য দরজা খুলে দিলেন, কিন্তু আমরা সবাই বসার আগেই নিজেই দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বলতে লাগলেন, “কাল সন্‌জীদা কী গান গেয়ে উদ্বোধন করলেন, আনন্দধ্বনি জাগাও গগনে।” বলে হাসিমুখে হাতটা ঘুরিয়ে দিয়ে আবার বললেন, “আনন্দধ্বনি জাগাও গগনে।” বিষ্ণুবাবু অনুষ্ঠানে যাননি। তাঁর বাড়ির সবাই গিয়েছিলেন। তাঁদের কাছেই গানটার কথা শুনেছিলেন। সেদিন আমরা যতক্ষণ ছিলাম, প্রায়ই হাত ঘুরিয়ে বলছিলেন, “আনন্দধ্বনি জাগাও গগনে।”’ কোথাও একটা কবিতা তৈরি হয়ে উঠছিল হয়তো।

সুচিত্রা মিত্র সেদিনের অনুষ্ঠানে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন। রবীন্দ্রনাথের ‘আমার সোনার বাংলা’ গানটি গাইতে গাইতে তিনি কাঁদছিলেন। পরিবেশনের সময় বিষাদে কণ্ঠ যেন আরও গভীর হয়ে উঠেছিল। অন্যদিকে প্রত্যয়েও দীপ্ত। অনেক শ্রোতা সেদিন অশ্রু সংবরণ করতে পারেননি। সেই দৃশ্য আমি চোখ বন্ধ করলে আজও দেখতে পাই।

কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, দেবব্রত বিশ্বাসসহ অনেকেই আগ্রহে এই অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেছিলেন।

দ্বিতীয় দিনে সম্মিলিত গানে বাংলাদেশের অনেক শিল্পীই অংশ নিয়েছিলেন। অনুষ্ঠানটির নাম হয়েছিল ‘রূপান্তরের গান’। অনুষ্ঠানের চেতনা ধরে রেখে মনোগ্রাহী ও উপযোগী ধারাবিবরণী লিখেছিলেন শাহরিয়ার কবির। এই ধারাবিবরণী পাঠ করেছিলেন সৈয়দ হাসান ইমাম। যদিও পরে জেনেছিলাম, এই অনুষ্ঠানের স্ক্রিপ্ট লেখার কথা ছিল জহির রায়হানের। তিনি স্টপ জেনোসাইড নিয়ে ব্যস্ত ও অবরুদ্ধ দেশে তাঁর অগ্রজ শহীদুল্লা কায়সারের অবস্থান নিয়ে চিন্তিত এবং কিছুটা অস্থির ছিলেন বলে তাঁর পক্ষে এ স্ক্রিপ্ট লেখা সম্ভব হয়নি। মঞ্চস্থাপত্য ও অলোকসম্পাতে মুস্তাফা মনোয়ার যে এক অসামান্য শিল্পী, সে কথা আমরা সবাই জানি। এই দুই দিনের মঞ্চসজ্জায় তিনি প্রতিভার স্বাক্ষর রাখেন। কলকাতার নাগরিক সমাজ চমৎকৃত ও উদ্বুদ্ধ হয়েছিল তাঁর উদ্ভাবনী ভাবনায়।

কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, দেবব্রত বিশ্বাসসহ অনেকেই আগ্রহে এই অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেছিলেন। দ্বিতীয় দিনে সম্মিলিত গানে বাংলাদেশের অনেক শিল্পীই অংশ নিয়েছিলেন। অনুষ্ঠানটির নাম হয়েছিল ‘রূপান্তরের গান’। অনুষ্ঠানের চেতনা ধরে রেখে মনোগ্রাহী ও উপযোগী ধারাবিবরণী লিখেছিলেন শাহরিয়ার কবির।

এই অনুষ্ঠানের আগে বা পরে গঠিত হলো মুক্তির গানের দলটি। যুক্ত হয়েছিলেন অনেক গায়ক ও শিল্পী। ট্রাকে করে ঘুরে বেড়িয়েছেন এক ক্যাম্প থেকে আরেক ক্যাম্পে। এক শরণার্থীশিবির থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চলের শরণার্থীশিবিরে। মার্কিন আলোকচিত্রশিল্পী লেয়ার লেভিন মুক্তির গানের কয়েক হাজার ফুট ছবি তুলেছিলেন।

সেই বিরল ফুটেজ থেকে নির্বাচিত অংশ নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদ যে বিরল চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেছেন, তা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের আরেক দলিল হয়ে আছে। এ গানের দলে যুক্ত হয়েছিলেন যাঁরা, তাঁদের মধ্যে অনেকেই ছিলেন উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তান। দেশচেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে তাঁরা এক শরণার্থীশিবির থেকে আরেক শরণার্থীশিবিরে, মুক্তিযোদ্ধাদের এক ক্যাম্প থেকে প্রত্যন্ত ও সীমান্তবর্তী অঞ্চলে এবং পশ্চিমবঙ্গের বহু গ্রামে ও জনপদে সেই সব উজ্জীবনী গান পরিবেশন করে মুক্তিযুদ্ধের অবিনাশী চেতনাকে তুলে ধরেছেন; রাত্রিযাপনের অনেক সময় কোনো ব্যবস্থা থাকত না; তবু দেশচেতনার প্রেরণায় নতুন দেশ নির্মাণের আকাঙ্ক্ষা ও স্বপ্ন নিয়ে দুঃসময়ে আশার বাণী শুনিয়েছেন। লোকগানও উপেক্ষিত হয়নি সে সময়ে।

রাজশাহীর মোশাদ আলী উচ্চ কণ্ঠে লোকগান গেয়ে দেশচেতনায় সঞ্চারিত করেছিলেন আরেক মাত্রা। মুক্তির গানের এই দলে বিপুল ভট্টাচার্য, নায়লা জামান, লতা চৌধুরী, লুবনা মরিয়ম, শাহীন, তপন বৈদ্য, স্বপন চৌধুরী, মিলিয়া গনি, তারেক আলী যে অবদান রেখেছিলেন, তা শ্রদ্ধার সঙ্গে আজও মনে পড়ে।

জার্নিম্যান বুকস প্রকাশিত হারানো সিঁড়ির চাবির খোঁজে (২০২০) থেকে সংক্ষেপিত

আবুল হাসনাত: কবি ও সাংবাদিক