আম্পায়ারিং ও দক্ষিণ আফ্রিকার স্লেজিং নিয়ে আইসিসির কাছে যাবে বিসিবি
ডারবান টেস্টে আম্পায়ারিং ও দক্ষিণ আফ্রিকান খেলোয়াড়দের স্লেজিংয়ের বিরুদ্ধে আইসিসির কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানাবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এ টেস্টের চতুর্থ দিনে আম্পায়ারিং নিয়ে সাকিব আল হাসানের টুইটের পর দিনের খেলা শেষে এ নিয়ে কথা বলেছিলেন টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ। আজ ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলেনে আম্পায়ারিং নিয়ে কথা বলেছেন অধিনায়ক মুমিনুল হকও। অভিযোগ করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকানদের ‘সীমা ছাড়িয়ে যাওয়া’ স্লেজিং নিয়েও।
চতুর্থ দিন শেষেই আম্পায়ার ম্যারাইস এরাসমাস ও আড্রিয়ান হোল্ডস্টকের সঙ্গে কথা বলতে দেখা গিয়েছিল পেটের পীড়ার কারণে এ টেস্টে না খেলা তামিম ইকবালকে। জানা গেছে, মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকান খেলোয়াড়দের আচরণ নিয়েই আম্পায়ারদের সঙ্গে কথা বলছিলেন তামিম।
৫৩ রানে গুটিয়ে গিয়ে বড় ব্যবধানে হারের পর এ নিয়ে মুখ খুলেছেন অধিনায়ক মুমিনুলও, ‘ক্রিকেট মাঠে স্লেজিং সব সময় হয়। স্লেজিং হবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু স্লেজিং যখন গালাগালির পর্যায়ে চলে যায়, এটা খুব খারাপ। আমার মনে হয়েছে, মাঝেমধ্যে ওরা গালাগালি করছিল, খুব বাজেভাবে। যেটা আম্পায়ার ওইভাবে খেয়াল করেননি।’
আইসিসির কাছে অভিযোগ জানানোর বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস। দলের সঙ্গে থাকা জালাল বলেছেন, ডারবান টেস্ট নিয়ে আইসিসির ম্যাচ ম্যানেজারের কাছে অভিযোগ জানাবেন তাঁরা। পাশাপাশি অধিনায়কের দেওয়া প্রতিবেদনেও এ বিষয়ে অভিযোগ থাকবে।
অবশ্যই দুই দলের দিক থেকেই স্লেজিং হয়েছে, তবে তারা শুরু করেছিল এটি। আম্পায়ারদের কাছে অভিযোগও করেছি আমরা। এটা গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা এর প্রতিবাদ জানাই। আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত আমাদের মেনে নিতে হবে, কিন্তু অবশ্যই নিরপেক্ষ আম্পায়ার ফিরিয়ে আনা উচিত আইসিসির।জালাল ইউনুস, বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান
মাঠে আম্পায়ারদের অভিযোগ করেও কোনো লাভ হয়নি বলে ক্রিকইনফোকে জানিয়েছেন দলের সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকায় থাকা জালাল, ‘জয় (মাহমুদুল হাসান) যখন ব্যাটিং করতে গেল, ওরা ঘিরে ধরেছিল তাকে। কিছু বলছিল। সে জুনিয়র খেলোয়াড় বলে জবাবে কিছু বলতে পারেনি। এটা নিন্দনীয়। (তবে) স্লেজিং নিয়ে যখনই আম্পায়ারদের কাছে অভিযোগ করেছি আমরা, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার বদলে বরং আমাদের খেলোয়াড়দেরই সতর্ক করেছেন আম্পায়াররা।’
সাকিব তাঁর টুইটে কোভিড পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় আবার নিরপেক্ষ আম্পায়ারে ফিরে যেতে বলেছিলেন। একই দাবি তুলেছেন জালালও, ‘অবশ্যই দুই দলের দিক থেকেই স্লেজিং হয়েছে, তবে তারা শুরু করেছিল এটি। আম্পায়ারদের কাছে অভিযোগও করেছি আমরা। এটা গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা এর প্রতিবাদ জানাই। আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত আমাদের মেনে নিতে হবে, কিন্তু অবশ্যই নিরপেক্ষ আম্পায়ার ফিরিয়ে আনা উচিত আইসিসির।’
আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে নিরপেক্ষ আম্পায়ার ফিরিয়ে আনার দাবি তুলেছেন মুমিনুলও, ‘আমার মনে হয়, আইসিসির উচিত, এটা নিয়ে চিন্তাভাবনা করা। নিরপেক্ষ আম্পায়ারিং আবার ফিরিয়ে আনা উচিত। কোভিডের আগে যেমন ছিল, তেমন। কোভিডের কারণে মাঝে হয়নি। এখন তো কোভিড নিয়ন্ত্রণে আছে। শুধু এই সিরিজে নয়, অনেক সিরিজেই এমন (ভুল আম্পায়ারিং) হয়েছে।’