ঢাকায় আন্তর্জাতিক ব্যাডমিন্টন
দুই বছর আগে ঢাকাতেই হয়েছিল ১৩ দেশের খেলোয়াড়দের অংশগ্রহণে একটি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা। এবার ১০ দেশের অংশগ্রহণে কাল থেকে শুরু হচ্ছে ইউনেক্স-সানরাইজ বাংলাদেশ ওপেন ব্যাডমিন্টন চ্যালেঞ্জ টুর্নামেন্ট। পল্টন উডেনফ্লোর জিমনেসিয়ামের বদলে খেলাগুলো হবে মিরপুর শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে। খেলবে ভারত, মালয়েশিয়া, শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া, নেপাল, চীনা তাইপে, মালদ্বীপ, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও স্বাগতিক বাংলাদেশের ৯২ জন শাটলার। খেলা হবে পুরুষ ও মহিলা একক, দ্বৈত ও মিশ্র দ্বৈতে।
বিশ্ব ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের অধীনে এশিয়ার বিভিন্ন দেশে নিয়মিতই হয়ে থাকে এমন প্রতিযোগিতা। বছরে গড়ে ১৬টি টুর্নামেন্ট হয়। অলিম্পিকের আগে সেটা বেড়ে গিয়ে এমনকি ২০-২৪টাতে পৌঁছে। খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত র্যাঙ্কিং বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ দেবে এই টুর্নামেন্ট। এই র্যাঙ্কিংয়ের ওপর ভিত্তি করেই অলিম্পিকে বা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে সুযোগ দেওয়া হয়। র্যাঙ্কিং নিয়ে অন্য দেশের খেলোয়াড়দের আগ্রহ থাকলেও বাংলাদেশের জন্য যেন অংশ নেওয়াই বড় কথা। এই আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের সূচি অনেক আগেই চূড়ান্ত হলেও এর জন্য খেলোয়াড়দের অনুশীলন শুরু হয়েছে মাস খানেক আগে। ১২ জন পুরুষ ও ৪ জন মহিলা নিয়ে গড়া দলে উপেক্ষিত থেকে গেছেন সাবেক জাতীয় চ্যাম্পিয়ন ও সর্বশেষ সামার ওপেনের পুরুষ এককের সেমিফাইনালিস্ট এনায়েত উল্লাহ খান এবং মহিলা দ্বৈতের শিরোপাজয়ী এলিনা সুলতানা।
ব্যাডমিন্টনের বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ড ইয়োনেক্স প্রতিযোগিতার প্রধান পৃষ্ঠপোষক। এশিয়ান ব্যাডমিন্টন কনফেডারেশনের সহায়তায় বাংলাদেশের ব্যাডমিন্টনকে এগিয়ে নেওয়ার মহৎ চিন্তা এদের মাথায়। এ জন্য বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের সঙ্গে চার বছরের চুক্তিও করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এই চার বছরে প্রতিষ্ঠানটি উদীয়মান খেলোয়াড়দের বিভিন্ন সরঞ্জাম ও পৃষ্ঠপোষণা দিয়ে সহায়তা করবে। কাল বিওএ ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ফেডারেশন সভাপতি রুবাবা দৌলা বলেন, ‘সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেও আশা করি সফলভাবে টুর্নামেন্ট শেষ করতে পারব। খেলোয়াড়দের নিরাপত্তার জন্য আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠক করেছি আমরা।’ উপস্থিত ছিলেন ইয়োনেক্সের প্রতিনিধি সিসিলিয়া ক্যাথরিন, এশিয়ান ব্যাডমিন্টন কনফেডারেশনের কর্মকর্তা ক্রিস্টিন ক্রিস্টিগোসহ অন্যরা।