সাক্ষাৎকারে সিডন্স

‘জাতীয় দলের সঙ্গে বিশ্বভ্রমণ করতে চাই না’

গতকাল সকাল সকালই মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের একাডেমি মাঠে হাজির জেমি সিডন্স ও মুমিনুল হক। টানা দুই ঘণ্টা মুমিনুলের ব্যাটিং নিয়ে কাজ করলেন অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটিং কোচ। দীর্ঘ সেশনটা বেশ উপভোগই করলেন বলে মনে হলো। দ্বিতীয় মেয়াদে বাংলাদেশের ক্রিকেটে ফেরা সিডন্স শুরু থেকেই চাচ্ছিলেন জাতীয় দলের পরিধির বাইরে থেকে কাজ করতে। কিন্তু জাতীয় দলের ব্যস্ততায় সেটা আর হচ্ছিল না।

অবশেষে সে সুযোগ পাচ্ছেন সিডন্স। আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ ‘এ’ দল ও বাংলাদেশ টাইগার্সের ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাঁকে। কিন্তু একসময় যে দলটার প্রধান কোচ ছিলেন, দ্বিতীয় দফায় এসে প্রথমে হলেন সেই দলেরই ব্যাটিং কোচ এবং এখন তো জাতীয় দলেরই বাইরে! সিডন্সের অবশ্য এর সঙ্গে মানিয়ে নিতে সমস্যা হচ্ছে না। কারণ, তাঁরও ইচ্ছা এ রকমই ছিল। গতকাল প্রথম আলোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জেমি সিডন্স কথা বলেছেন তাঁর নতুন দায়িত্ব এবং নতুন ভাবনা নিয়ে।

প্রশ্ন:

প্রশ্ন: আপনার তো সব সময়ই তরুণ ব্যাটসম্যানদের সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছা ছিল। অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে সে সুযোগ পেলেন...

জেমি সিডন্স: আমার জন্য বেশ বড় সিদ্ধান্ত এটি। কারণ, সবাই জাতীয় দলে কোচিং করাতে চায়। কিন্তু আমার নিজেকে জাতীয় দলের পরের ধাপেই বেশি কার্যকর মনে হয়। আমার মূল শক্তি ছেলেদের ব্যাটিং স্কিল শেখানো। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কীভাবে কোন শট খেলা উচিত...বাংলাদেশ ক্রিকেটে এই জায়গায় অনেক সমস্যা দেখি। এখানে আমি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারি। সে জন্যই বিসিবির কাছে এক ধাপ নিচে কাজ করার সুযোগ চেয়েছিলাম। আপনি যে টাকা খরচ করছেন, সে অনুযায়ী প্রতিদান পেতে হলে আমাকে তরুণদের সঙ্গেই কাজ করতে হতো। আমি জাতীয় দলের সঙ্গে বিশ্বভ্রমণ করতে চাই না, যদিও সেটাই একজন কোচের চাকরির রোমাঞ্চকর দিক। বিশ্বের সব কোচই তা চায়। কিন্তু আমার লক্ষ্য বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য দীর্ঘ মেয়াদে কিছু করা।

আরও পড়ুন
প্রশ্ন:

প্রশ্ন: আপনি যেভাবে কাজ করতে চান, জাতীয় দলের সঙ্গে থাকলে তাতে বাধা কোথায়?

সিডন্স: ওরা সব সময়ই ম্যাচের প্রস্তুতির মধ্যে থাকে। ওখানে অনুশীলনের সময় সীমিত। আজ (গতকাল) মুমিনুলের সঙ্গে যে দুই ঘণ্টা কাজ করলাম, সেটা জাতীয় দলে সম্ভব নয়। কারণ, ওরা সব সময় সফরে ব্যস্ত। আর ম্যাচ বা সিরিজের সময় খেলার ধরনে পরিবর্তন আনা প্রায় অসম্ভব। জাতীয় দলের নেটে বল এদিক–ওদিক উড়তে থাকে, এক নেট থেকে আরেক নেটে ছেলেরা আসা–যাওয়া করতে থাকে। এটা আসলে কোচিং নয়। আমি এখানে মুমিনুলকে ব্যাকলিফট শেখাতে পারছি। সুইপ শট, পুল শট নিয়ে কাজ করছি। এই শিক্ষাটা ও টেস্ট ক্রিকেটে কাজে লাগাতে পারলেই আমার ভালো লাগবে। এটাই আসল কোচিং।

প্রশ্ন :

প্রশ্ন: এবার জাতীয় দলের সঙ্গে যে কদিন কাজ করলেন, কেমন অভিজ্ঞতা হলো?

সিডন্স: চুক্তি অনুযায়ী আমার পদ ব্যাটিং পরামর্শক। কিন্তু গত বছর যখন আমি আসি, তখন জাতীয় দলে ব্যাটিং কোচ ছিল না। আমাকে তাই দায়িত্বটা পালন করতে হয়। কাজটা উপভোগ করেছি। আবারও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কাজ করা, সফরে যাওয়া, এসব ভালো লেগেছে। ছয় মাস পর দলও ভালো করতে শুরু করল। আমি মনে করি, দলের এই ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে আমারও ভূমিকা ছিল। এখন ছেলেরা ভালো করছে। সব মিলিয়ে সময়টা সঠিক মনে হয়েছে। চান্ডি (চন্ডিকা হাথুরুসিংহে) খুব ভালো ব্যাটিং কোচ। তিনি অনেকটা আমার মতোই। আমি যেভাবে খেলা নিয়ে ভাবি, তিনিও সেভাবেই ভাবেন। এখন তো আরেকজন কোচও যোগ দিয়েছেন।

আরও পড়ুন
বিসিবিতে যত কোচ আছেন, সবাইকে বুঝতে হবে আমরা তাঁদের পথের বাধা হতে নয়, সাহায্য করতে এসেছি।
জেমি সিডন্স, ব্যাটিং কোচ
প্রশ্ন:

প্রশ্ন: বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা কয়েকজন ক্রিকেটার উঠে এসেছিল আপনার হাত ধরেই। নতুন দায়িত্বেও নিশ্চয়ই একই প্রত্যাশা থাকবে...

সিডন্স: সময় লাগবে। আজ আমরা একটা শট নিয়ে কাজ করেছি। এটা ম্যাচে কাজে লাগাতে ৬-৭ মাস লেগে যেতে পারে। মাত্র একটা শটের কথা বলছি কিন্তু। মুমিনুলের হাতে কিন্তু পুল শট নেই। আমরা এখনো পুল শটে যাইনি। এসব দক্ষতা ম্যাচে কাজে লাগাতে হয়তো ১২ মাসের মতো সময় লেগে যাবে। ধীরে ধীরে ছেলেদের সব দুর্বলতা কমিয়ে আনতে পারলেই ওরা ভালো ক্রিকেটারে পরিণত হবে। মুশি (মুশফিক) সব শট খেলতে পারে। এ কারণে সে ছন্দে থাকলে তাকে থামিয়ে রাখা কঠিন। অন্যদেরও ওই মানে পৌঁছে দিতে হবে। সব শট খেলতে পারতে হবে। আর সে জন্য সময় দিতে হবে। আমি যদি দুই বছর এই দায়িত্বে থাকি, তাহলে হয়তো সাকিব বা মুশির মানের ক্রিকেটার পেয়ে যাবেন।

সাকিব বা মুশফিকের মানের খেলোয়াড় তৈরি করতে চান সিডন্স
ছবি : প্রথম আলো

প্রশ্ন :

প্রশ্ন: যাঁদের কথা বললেন, তাঁরা বাংলাদেশের হয়ে দীর্ঘদিন তিন সংস্করণে খেলেছেন। সাকিব তো এখনো খেলছেন। নতুন করে তিন সংস্করণের ব্যাটসম্যান তৈরি করাই কি আপনার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হবে?

সিডন্স: আমি এটাই চাই। আমি শুধু টেস্ট ক্রিকেটার তৈরি করতে চাই না। মুমিনুল সুইপ, রিভার্স সুইপ অনুশীলন করছে, যা টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতেও কাজে লাগবে। পুল শট সব সংস্করণেই দরকার। পিক আপ শট আপনাকে টেস্টেও খেলতে হবে, টি-টোয়েন্টিতেও। মুমিনুল শুধু টেস্ট ব্যাটসম্যান হতে চায় না, বিপিএলেও খেলতে চায়। আমিও তাই চাই। আমি তাকে নিশ্চয়তা দিয়েছি, ১২ মাসের মধ্যে সে বিপিএল–প্লেয়ারে পরিণত হবে।

আরও পড়ুন
প্রশ্ন:

প্রশ্ন: ‘এ’ দলে নাঈম, আফিফদের সুযোগ দেওয়ার পেছনের ভাবনা কি এটাই? কারণ, আফিফদের তো সবাই সাদা বলের ক্রিকেটার হিসেবে জানি। এই প্রথম তাদের চার দিনের ক্রিকেটের জন্য বিবেচনা করা হলো...

সিডন্স: আফিফ শুধু সাদা বলের ক্রিকেটার হতে চায় না। সে–ও চার দিনের ক্রিকেট খেলতে চায়। অনুশীলন, কিছুটা ধৈর্য, ছেড়ে খেলা, ডিফেন্স নিয়ে কাজ করতে পারলে সে–ও টেস্ট মানের ব্যাটসম্যান হয়ে উঠবে। তার হাতে সব শট আছে। তাকে শুধু বুঝতে হবে কখন শটগুলো খেলতে হবে।

প্রশ্ন :

প্রশ্ন: নতুন দায়িত্বে জাতীয় দলের কোচ হাথুরুসিংহের সঙ্গে আপনার সমন্বয় কতটা জরুরি?

সিডন্স: চান্ডি আসার আগে থেকেই আমি এই দায়িত্ব নিতে চাচ্ছিলাম। শুধু চান্ডি নয়, বিসিবিতে যত কোচ আছেন, সবাইকে বুঝতে হবে আমরা তাঁদের পথের বাধা হতে নয়, সাহায্য করতে এসেছি।

প্রশ্ন :

প্রশ্ন: ঘরোয়া কোচদের প্রশিক্ষণ নিয়েও আপনার কাজ করার কথা শোনা যাচ্ছে...

সিডন্স: ব্যস্ততার কারণে এখন পর্যন্ত খুব বেশি কোচের সঙ্গে কথা হয়নি। এখন সুযোগ হবে। এখন যারা কোচ, অনেকেই আমার অধীনে খেলেছে। এটা আমার কাজটা সহজ করে দেবে। নাজমুল, রাজিনরা কীভাবে কোচ হিসেবে ভালো করতে পারে, সেটা নিয়ে তাদের সঙ্গে কাজ করা যাবে। আমি তো এটাই করতে এসেছি।

প্রশ্ন :

প্রশ্ন: মুমিনুলের সঙ্গে ‘আইবি ক্রিকেট’ প্রযুক্তি নিয়ে কথা বলছিলেন। কোচিংয়ের ক্ষেত্রে এই প্রযুক্তি কতটা সাহায্য করে?

সিডন্স: আমি অস্ট্রেলিয়ার এই প্রযুক্তি ব্যবহার করি। মুমিনুলকে জিজ্ঞেস করেছিলাম সে এটা ব্যবহার করতে চায় কি না। সে–ও নিজের ব্যাটিংয়ের খুঁটিনাটি দেখতে চায়, জানতে চায়। এই প্রযুক্তিতে কাজ করলে ব্যাট স্পিড, ব্যাট সুইং—এসবের তথ্য জানা যাবে। অনুশীলন শেষ করলেই সব তথ্য তার ই-মেইলে পৌঁছে যাবে। সবাই নিজের ব্যাটিং দেখতে পছন্দ করে। ওরা দেখার পর বুঝতে পারে আমি কী বলতে চাইছি। এরপর সেটা নিয়ে কাজ করলে উন্নতি করার সুযোগ থাকে। পরের দিন থেকেই উন্নতিটা চোখে পড়বে।

আরও পড়ুন
জেমি সিডন্স
ছবি : প্রথম আলো
প্রশ্ন:

প্রশ্ন: ব্যাটিংয়ে উন্নতির জন্য ভালো উইকেটে খেলার কথা অনেকবারই বলেছেন। গত এক বছরে উইকেট নিয়ে আপনার অভিজ্ঞতা কেমন?

সিডন্স: উইকেট এখনো আমাদের ভাবনার একটা বিষয়। আমাদের উইকেট ছেলেদের শট খেলতে সাহায্য করে না। আমরা কংক্রিটের উইকেটে কাজ করতে পারি। চট্টগ্রামে উইকেট খুবই ভালো। সিলেটে একটু বাউন্স থাকে। ছেলেরা দেশের বাইরে গিয়ে অনুশীলনের সুযোগ–সুবিধা দেখে অবাক হয়। অথচ আমাদের এখানে আরও ভালো করার উপায় আছে। আমরা ভালো উইকেটে অনুশীলন করলে শট খেলার ভয়ভীতিটা কাটাতে পারব। এখন অবশ্য বেশির ভাগ সময় ভালো উইকেটেই খেলি। ছেলেরা দেশের বাইরে অনেক সফর করে। সেখানে উইকেটও ভালো থাকে। এবার যেমন বিশ্বকাপ হবে ভারতে, যেখানে উইকেট ভালো থাকবে। ছেলেদের সামর্থ্য আছে, এমন উইকেটে ভালো করার। সিলেটে ওরা সেটা করে দেখিয়েছে।

রাসেল ডমিঙ্গো যথেষ্ট ভালো কাজ করেছেন। তিনি ছেলেদের লম্বা সময় সুযোগ দিতেন।
জেমি সিডন্স, ব্যাটিং কোচ
প্রশ্ন:

প্রশ্ন: টেস্টের আক্রমণাত্মক ক্রিকেট নিয়ে আপনার চিন্তা কী?

সিডন্স: মুশি আর সাকিব তো তাই খেলে। উইকেট ও প্রতিপক্ষ যদি পক্ষে থাকে, তাহলে ওরা টেস্টে দ্রুত রান করে। ওরা ভালো উইকেটে দ্রুত রান করতে পারে। মাঝেমধ্যে আমাদের বোলারদের কথা চিন্তা করেও উইকেট বানাতে হয়। এখন আমাদের ভালো ফাস্ট বোলার আছে। আমরা ভালো উইকেটেও টেস্ট জিততে পারি। চান্ডিও ভালো উইকেটে খেলতে আগ্রহী। দ্রুত রান করা মানেই যে উল্টাপাল্টা ব্যাটিং করা, তা কিন্তু নয়। আমি শট খেলার সাহসের কথা বলছি। শান্ত (নাজমুল), হৃদয়রা (তৌহিদ) যদি টেস্ট খেলে, তাহলে ওরা কিন্তু শট খেলবে।

ব্যাটিং অনুশীলনে মিরাজের সঙ্গে সিডন্স
ছবি : প্রথম আলো
প্রশ্ন:

প্রশ্ন: নাজমুল এখন ধারাবাহিকভাবে রান করছেন। তাঁর ব্যাটিংয়ে কী ধরনের পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছেন?

সিডন্স: সাকিব তাকে অনেক সাহায্য করে। সে যেন তার সহজাত খেলাটা খেলতে পারে, সে সাহসটা দেয়। চান্ডিও তা-ই। আর ড্রেসিংরুমে সে কিন্তু একজন সিনিয়র ক্রিকেটারের মতোই। ও জানে সে দলে তার জায়গা পাকা। বাদ পড়ার ভয়টা আর নেই। আমি দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম ছয় মাসে সবাই তাকে দল থেকে বাদ দিতে চাচ্ছিল। কিন্তু যারা তাকে সমর্থন দিয়েছে, তারাই ঠিক প্রমাণিত হয়েছে।

আরও পড়ুন

প্রশ্ন :

প্রশ্ন: নাজমুলকে তো অনেকটা সময় সুযোগ দেওয়া হয়েছে...

সিডন্স: রাসেল ডমিঙ্গো এ ক্ষেত্রে যথেষ্ট ভালো কাজ করেছেন। তিনি ছেলেদের লম্বা সময় সুযোগ দিতেন। কিছু ক্ষেত্রে হয়তো বেশিই সুযোগ দিতেন (হাসি)। কিন্তু এখন যেটা ভালো হবে, কেউ জাতীয় দল থেকে বাদ পড়লে আমার কাছে আসবে। আমার সঙ্গে কাজ করে আরও ভালো ক্রিকেটার হয়ে ওরা জাতীয় দলে ফিরবে। আমি ওদের ‘সেফটি নেট’।

জেমি সিডন্স
ছবি : প্রথম আলো
প্রশ্ন:

প্রশ্ন: এ বছরই তো ওয়ানডে বিশ্বকাপ। বাংলাদেশের কেমন সম্ভাবনা দেখছেন?

সিডন্স: নিজেদের দিনে আমরা অন্য যেকোনো দলের চেয়ে ভালো। ভারত ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেটা আমরা করে দেখিয়েছি। আমাদের বেশ কিছু তরুণ প্রতিভা আছে। আর অভিজ্ঞ ক্রিকেটার তো আছেই। মুশি ও সাকিবকে আমি তাদের সেরা ব্যাটিং করতে দেখেছি। তামিমও তার সেরা ফর্মের কাছাকাছিই আছে। সে ফর্মে ফিরলে আমাদের ওয়ানডে দলটা সব মিলিয়ে খুবই ভালো অবস্থানে থাকবে। আমার মনে হয় বিশ্বকাপে ওরা ভালো করবে।

আরও পড়ুন

প্রশ্ন :

প্রশ্ন: মুশফিক ওয়ানডেতে ছয় নম্বরে খেলে ভালো করছেন। ফিনিশার হিসেবে তাঁকে কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?

সিডন্স: নতুন দায়িত্ব ওর জন্য। চান্ডি তাকে ছয়ে খেলিয়েছে, আত্মবিশ্বাস দিয়েছে। এখন সে ভালো করছে। পাওয়ার আর ব্যাক লিফট তো তার সব সময়ই ভালো ছিল। আমি জানি, এই ব্যাট সুইংয়ে কেমন হতে পারে। আমরা ৬ ফুট ২ ইঞ্চি লম্বা নই। আমাদের শটে শক্তি পেতে হলে ব্যাট ঠিকমতো সুইং করতে হবে। সে ভালো ফিনিশার হতে পারবে। তার রান করার ফর্মুলাটা হবে ভিন্ন, সে হয়তো অনেক চার মারবে, ছক্কা নয়। সে মাঠে ফাঁকা জায়গা খুঁজে বের করতে পারে।