মারাকানায় পায়ের ছাপ রেখে আসতে মেসিকে আমন্ত্রণ

মারাকানা স্টেডিয়ামের ‘হল অব ফেমে’ জায়গা হতে পারে মেসিরছবি : সংগৃহীত

২০১৪ বিশ্বকাপের ফাইনালেই ইতিহাস গড়তে পারতেন লিওনেল মেসি। রিও ডি জেনিরোর সেই বিখ্যাত মারাকানা স্টেডিয়ামের ফাইনালেই তো তুলে ধরতে পারতেন বিশ্বকাপ গৌরব, সেই সোনালি ট্রফি। ফিলিপ লাম, টনি ক্রুসদের জার্মানির কাছে ১-০ গোলে হেরে সে যাত্রায় ইতিহাস গড়া হয়নি।
মারাকানা স্টেডিয়ামে ফাইনালের পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিশ্বকাপ ট্রফির পাশ দিয়ে হেঁটে গেছেন বিমর্ষ মেসি। ফুটবলের অন্যতম আইকনিক ছবি হয়ে আছে সেটি। ২০১৪ বিশ্বকাপে হয়নি, ব্যর্থ হয়েছেন রাশিয়ার ২০১৮ বিশ্বকাপেও।

২০১৪ বিশ্বকাপের ফাইনালে মারাকানায় মেসি
ছবি: রয়টার্স

কিন্তু কাতারে এবার ট্রফি হাতে তুলে নিয়েছেন দুর্দান্ত খেলেই। আর্জেন্টিনাকে শেষ পর্যন্ত জেতাতে পেরেছেন বিশ্বকাপ। ফুটবলে সম্ভব-অসম্ভব সব পুরস্কারই পাওয়া হয়ে গেছে। ৭ বার জিতেছেন ব্যালন ডি’অর। এবার বিশ্বকাপ জিতে পাকাপাকিভাবেই ফুটবল ইতিহাসের সর্বকালের সেরাদের তালিকায় ঢুকে গেছেন আর্জেন্টাইন তারকা।

ব্রাজিলের বিখ্যাত মারাকানা স্টেডিয়াম এখন চাচ্ছে কিংবদন্তি মেসির পায়ের ছাপ স্টেডিয়ামে সংরক্ষণ করতে। এ জন্য মেসিকে রিও ডি জেনিরোতে আসার আমন্ত্রণও জানানো হয়েছে।

বিশ্বকাপ ট্রফি নিয়ে দেশে ফিরেছেন মেসি
ছবি : এএফপি

মারাকানা স্টেডিয়ামের ‘হল অব ফেমে’ কিংবদন্তি বেশ কয়েক ফুটবলারেরই পায়ের ছাপ সংরক্ষিত আছে। তাঁদের মধ্যে আছেন পেলে, রিভেলিনো, গারিঞ্চা, ইউসেবিও, ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার, রোনালদো নাজারিও, চিলির এলিয়াস ফিগুয়েরোয়া, সার্বিয়ার দিয়ান পেতকোভিচ প্রমুখ। মেসিকে পায়ের ছাপ দিয়ে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়ে এরই মধ্যে আর্জেন্টাইন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (এএফএ) কাছে চিঠি পাঠিয়েছে মারাকানা স্টেডিয়ামের রক্ষণাবেক্ষণ কাজে নিয়োজিত ব্রাজিলের সরকারি সংস্থা স্পোর্টস সুপারিনটেনডেন্ট।

১৯৫০ ও ২০১৪ বিশ্বকাপ ফাইনাল হয়েছে ঐতিহাসিক মারাকানা স্টেডিয়ামে
ছবি : সংগৃহীত

সংস্থাটির সভাপতি আদ্রিয়ানো সান্তোস বলেছেন, ‘মেসি এরই মধ্যে নিজেকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। সে ফুটবল মাঠে নিজের গুরুত্ব প্রমাণ করে দিয়েছে। সে ফুটবল ইতিহাসেরই অংশ। মারাকানায় তার পায়ের ছাপ রাখার মধ্য দিয়ে সম্মান জানানো হবে। মেসি বল পায়ে অসামান্য প্রতিভাবান একজন ফুটবলার।’

রিওর মারাকানা স্টেডিয়ামে ২০১৪ বিশ্বকাপের ফাইনাল ছাড়াও ১৯৫০ বিশ্বকাপের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেবার উরুগুয়ের কাছে অপ্রত্যাশিতভাবে ব্রাজিল হেরে যায়। সে ম্যাচে ব্রাজিলের জয় এতটাই প্রত্যাশিত ছিল যে উরুগুয়ের কাছে ২-১ গোলে হেরে যাওয়ার ঘটনাটিকে ব্রাজিলিয়ানরা ‘মারাকানাজো’ বা মারাকানার বিপর্যয় বলে থাকে। বিশ্ব ফুটবলের ইতিহাসে সেই ‘মারাকানাজো’ ঠাঁই করে নিয়েছে এর পর থেকেই।

আরও পড়ুন