সকালই বলে দেবে দিনটা কেমন হবে

পঞ্চম দিনের সকালের সেশনটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। ছবি: প্রথম আলো
পঞ্চম দিনের সকালের সেশনটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। ছবি: প্রথম আলো
>মর্নিং শোজ দ্য ডে। আগামীকাল সকালের সেশনটা বলে দেবে কী হতে যাচ্ছে এই ম্যাচের ভাগ্যে। বাংলাদেশ আশাবাদী, জিম্বাবুয়েকে অলআউট করে দিতে পারবে তারা। আর জিম্বাবুয়ে আশাবাদী, ঠিকভাবে সামলে নিতে পারবে বাংলাদেশকে।

৫৬/৩, ৬২/২, ১০০/৩, ৭৮/৪— ভাগ করার অঙ্ক নয়; এগুলো মিরপুর টেস্টের প্রথম চার দিনে সকালের সেশনের হিসাব। চার দিনে সকালে উইকেট পড়েছে ১২টি। এ সময় ব্যাটসম্যানরা ওভারে আড়াইয়ের নিচে রান করেছেন। গড়ে ২৪.৬৭ রানে একটি করে উইকেট পড়েছে সকালের সেশনে। এই টেস্ট কোন পথে যাচ্ছে তা নিয়ে বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ে ভিন্ন ভিন্ন অবস্থানে থাকলেও এক বিষয়ে একমত। সকালের সেশনটাই ঠিক করে দেবে ম্যাচের গতিপথ।

শুধু সংবাদ সম্মেলনে আগে এসেছেন বলে নয়, জিম্বাবুয়ে কোচ লালচাঁদ রাজপুতের অভিজ্ঞতারও একটা মূল্য আছে। তাই তাঁর বিশ্লেষণটা শোনা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলছেন, ‘দিনের প্রথম ঘণ্টাটা হবে মূল চাবি। ব্রেন্ডন আর শন উইলিয়ামস যদি সেটা পার করে দিতে পারে, তাহলে চাপটা বাংলাদেশের ওপরে চলে যাবে।’

তাঁর পরে সংবাদ সম্মেলনে আসা মেহেদী মিরাজও সকালের সেশনের কথা বললেন জোর দিয়ে, ‘এখনো পর্যন্ত ম্যাচটা আমাদের দিকেই আছে। আমরা সাড়ে চার শর মতো লক্ষ্য দিয়েছি। ওদের দুই উইকেট শিকার করেছি। কাল একটা দিন আছে, তিনটা সেশন আছে। আমাদের বোলাররা যদি ভালো লেংথে বল করতে পারে, তাহলে ম্যাচটা আমাদের দিকেই আছে।’

কিন্তু এখন পর্যন্ত মিরপুরের উইকেটকে দেখে মনে হচ্ছে না সেই অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের জন্য বানানো উইকেটের রেসিপিতে বানানো। চতুর্থ দিনেও স্পিনাররা পর্যাপ্ত টার্ন পাচ্ছে না। একটা-দুটো বল হঠাৎ উঁচু-নিচু হচ্ছে, কিন্তু তা বিপদ জাগানিয়া নয়। সতর্ক থাকলেই হলো।
মিরাজ বলছেন, ‘উইকেটে কিন্তু তেমন অপ্রত্যাশিত কিছু ঘটছে না। দুই-একটা ডেলিভারিতে একটু আন-ইভেন (উঁচু-নিচু) কিছু হয়। আমাদের বোলারদের ভালো জায়গায় বল করতে হবে। কারণ উইকেট চার দিন শেষেও সে রকম নিচু বল আসছে না। দুই-একটা ছাড়া। ফলে আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। বোলারদের কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। কষ্ট করতে হবে কালকের দিনটা। আশা করছি বোলাররা যারা আছে তারা শতভাগ চেষ্টা করবে উইকেটের জন্য।’
রাজপুত তাঁর খেলোয়াড়ি জীবনে ছিলেন ওপেনার। স্পিনটা করতেন হঠাৎ। তবে ৫৬ বছর বয়সে কম অভিজ্ঞতা তো আর হলো না। রাজপুত বলছেন, ‘তাইজুল হয়তো অনেক উইকেট পাচ্ছে, কিন্তু ওর উইকেটগুলোও যদি দেখেন, এমন নয় সেগুলো সে খুব বেশি বল টার্ন করিয়ে পেয়েছে। বেশির ভাগই ছিল আর্ম বল। এটা নিয়ে আমাদের মধ্যে কথা হয়েছে। আমাদের প্রতিটা বল ধরে ধরে খেলতে হবে। কোন বলটা লাফাবে, কোনটা নিচে আসবে এটা ভেবে খেলার দরকার নেই। যে বলটা আসবে, চেষ্টা করতে হবে ব্যাট যেন বলের কাছাকাছি থাকে। যত কাছে থাকবে, বলের টার্ন আপনি তত কমিয়ে ফেলতে পারবেন। এতে করে তাইজুলের ভেতরে ঢোকা বলগুলোও সামলানো যাবে। প্রথম ইনিংসে ওকে আমরা ভুলভাবে খেলে উইকেট দিয়ে এসেছি। দ্বিতীয় ইনিংসে ভুলগুলো শোধরাতে হবে।’