আনন্দ নিয়ে খেলতে বললেন সাকিব

>পরশু থেকে শুরু হচ্ছে বিসিবি একাডেমি কাপ। ঢাকা শহরের ৩২টি প্রাইভেট ক্রিকেট একাডেমি অংশ নিচ্ছে এ টুর্নামেন্টে। খুদে ক্রিকেটারদের উদ্দেশে সাকিবের পরামর্শ, উপভোগ করো খেলাটা।

বিসিবি একাডেমি ভবনের সিঁড়ির একেকটা ধাপে দাঁড়িয়ে খুদে ক্রিকেটাররা। সবার ওপরে সাকিব আল হাসান। ছবিটা নিঃসন্দেহে অর্থবহ। সাকিব একটা সময় এ খুদে ক্রিকেটারদের মতোই বয়সভিত্তিক ক্রিকেট খেলেছেন। এরপর সাফল্যের একেকটা সিঁড়ি পেরিয়ে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার হয়েছেন। এ ছবিটা বলে দেয়, সাকিবের মতো সেরা হতে হলে পেরোতে হবে একেকটা সিঁড়ি। রাজধানীর এক ঝাঁক খুদে ক্রিকেটার সাকিবের সঙ্গে ছবি তোলার সুযোগ পেয়েছে বিসিবি একাডেমি কাপ সামনে রেখে।

ঢাকার প্রাইভেট ক্রিকেট একাডেমিগুলো নিয়ে বিসিবি নিয়মিত আয়োজন করে থাকে এ টুর্নামেন্টের। এবার একাডেমি কাপে অংশ নিচ্ছে ৩২ দল। ১৮ মার্চ থেকে শুরু টুর্নামেন্টের ফাইনাল ৭ এপ্রিল। ৩২টি দল খেলবে ৮টি গ্রুপে ভাগ হয়ে। গ্রুপের সেরা দুটি দল খেলবে কোয়ার্টার ফাইনালে। খেলা হবে চার মাঠে—ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ হল, সিটি ক্লাব ও ফতুল্লা আউটার স্টেডিয়ামে। একাডেমি কাপের ট্রফি উন্মোচন অনুষ্ঠানে আজ খুদে ক্রিকেটারদের উৎসাহ দিলেন সাকিব আর সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ।

আজ খুদে ক্রিকেটারদের সঙ্গে ট্রফি উন্মোচন অনুষ্ঠানে সাকিব। ছবি: বিসিবি
আজ খুদে ক্রিকেটারদের সঙ্গে ট্রফি উন্মোচন অনুষ্ঠানে সাকিব। ছবি: বিসিবি

এ ধরনের টুর্নামেন্টকে খুদে ক্রিকেটারদের বড় প্ল্যাটফর্ম বললেন সাকিব, ‘যদ্দুর জানি, ঢাকা শহরে অনেক একাডেমি আছে। এসব একাডেমিতে যত খেলোয়াড় আছে তাদের একটা প্ল্যাটফর্ম থাকা দরকার। ওই প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে বিসিবি খুব ভালো একটা উদ্যোগ নিয়েছে। এটির মাধ্যমে অনেকে নজর কাড়তে পারে। কীভাবে আরও ওপরে উঠবে, সেটির একটা প্ল্যাটফর্ম হতে পারে এই টুর্নামেন্ট। বিসিবিকে ধন্যবাদ জানাই এমন একটা টুর্নামেন্ট আয়োজন করায়। এখানে যারা অংশ নেবে তাদেরও একটা দায়িত্ব থাকবে যেন ভালো কিছু করতে পারে। এটির মাধ্যমে চোখে পড়তে পারবে খেলোয়াড়েরা। যেহেতু একাডেমির খেলোয়াড়েরা খেলবে, সবাই অনূর্ধ্ব-১৯ বা এর নিচে। এখান থেকে যেন অনেক খেলোয়াড় উঠে আসতে পারে, সে প্রত্যাশাই করব।’

বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্ট বলেই সাকিব খুদে ক্রিকেটারদের চাপ নিতে মানা করলেন। বললেন, খেলাটা মন ভরে উপভোগ করতে, ‘খেলার আনন্দ নিয়েই ওদের খেলতে বলব। এখনই অনেক বড় লক্ষ্য ঠিক করা মনে হয় না ভালো কিছু হবে। যদি খেলাটা উপভোগ করে, ভালো করতে পারে, এটাই ওদের বড় পাওয়া হবে। মনোযোগ দিয়ে অবশ্যই খেলবে। তবে এ টুর্নামেন্টকে সবকিছু মনে না করে। এখানে যারা ব্যর্থ হবে, তাদের জন্য যেমন সব শেষ হবে না, আবার সফল হলে সব পাওয়া হয়ে যাবে, সেটিও নয়। এটা একটা শুরু মাত্র। ওরা যেন এসব ভেবেই খেলে। এ টুর্নামেন্টের মজাটা যেন ওরা নিতে পারে।’