নিজেদের স্বাগতিক বলে মনে হয় না মরগানের

এশিয়ানদের ক্রিকেট প্রেম নিয়ে অবাক হয়েছেন এউইন মরগান। ছবি: এএফপি
এশিয়ানদের ক্রিকেট প্রেম নিয়ে অবাক হয়েছেন এউইন মরগান। ছবি: এএফপি
>

বিশ্বকাপ কী ইংল্যান্ডে হচ্ছে নাকি এশিয়ায়? এউইন মরগান মাঠে নেমে হয়তো প্রায়ই নিজেকে এই প্রশ্নটা করেন। এশিয়ানদের বিপক্ষে খেলতে নামলে ইংল্যান্ডের এই অধিনায়কের নাকি কখনোই নিজেদের স্বাগতিক দেশ বলে মনে হয় না।

উপমহাদেশীয়দের ক্রিকেট নিয়ে পাগলামোটা বরাবরই মাত্রা ছাড়ানো। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ ২০১৯ দেখলেই তা বোঝা যায়। বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কার ম্যাচ মানেই দর্শকে টইটম্বুর। ব্যাপারটা এমন ঠেকেছে যে এশিয়ানদের বিপক্ষে ইংল্যান্ড খেলতে নামলে ইংলিশ দর্শকদেরই খুঁজে বের করতে হয়। ইংল্যান্ড অধিনায়ক এউইন মরগানও ব্যাপারটা খেয়াল করেছেন। এশিয়ানদের বিপক্ষে খেলতে নামলে নাকি তাঁর মনে হয় প্রতিপক্ষের মাঠে খেলছেন তিনি।

এশিয়ানদের বিপক্ষে মাঠে নেমে রীতিমতো ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যান ইংলিশ অধিনায়ক—নিজেদের মাঠে খেলা হচ্ছে নাকি প্রতিপক্ষের মাঠে? এত দর্শক অথচ ইংল্যান্ডকে সমর্থন অল্প। এশীয়দের ক্রিকেটের প্রতি উন্মাদনা বরাবরই চোখে পড়ার মতো। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপেও নিজের দেশকে সমর্থন করতে অনেক ভক্তই পাড়ি জমিয়েছে বিলেতে। মাঠে ওড়াচ্ছেন দেশের পতাকা। মরগান সে অভিজ্ঞতাটাই বলেছেন, ‘যখন তুমি এশিয়ান কোনো দলের বিপক্ষে খেলবে তখন তোমার মনে হবে মাঠে অনেক দর্শক এসেছে। এ ব্যাপারটা মেনেই নিয়েছেন ইংলিশ অধিনায়ক, ‘আমরা এটা মেনে নিয়েছি। আমরা যখন বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানের মতো কোনো দেশের বিপক্ষে খেলি তখন আমাদের নিজেদেরই মনে হয় ঘরের বাইরের কোনো মাঠে খেলছি।’

ভারতীয় পেসার ভুবনেশ্বর কুমার তো জোর গলাতে বলেছিলেনই, ভারতের খেলা হলে কোথায় খেলছি এটা কোনো ঘটনাই না। ইংল্যান্ড হোক অথবা অস্ট্রেলিয়া, ‘যে দেশই হোক আমাদের ম্যাচে দর্শক আসবেই। আমরা এটা উপভোগ করি।’
পাকিস্তানি ওপেনার ব্যাটসম্যান ইমাম উল হকও দর্শকদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ‘আমরা গত তিন বছর ধরে এখানে আসছি। আমরা সব সময়ই ভালো সমর্থন পেয়ে এসেছি। ঘরের বাইরেও ইংল্যান্ড আমাদের ঘরের মাঠ। আর আমরা যে সমর্থনটা পাই এখানে সত্যিই অবিশ্বাস্য।’

বাংলাদেশের ম্যাচগুলোতেও বাংলাদেশি দর্শকদের বিপুল উপস্থিতি বাড়তি প্রেরণা দেয় সাকিব-মাশরাফিদের।