হলুদ কার্ড থেকেই বাফুফের আয় ২ লাখ টাকা!

ঘরোয়া ফুটবলের একটি ম্যাচে মারামারিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন আবাহনী লিমিটেড ও বসুন্ধরা কিংসের খেলোয়াড়েরা। ফাইল ছবি
ঘরোয়া ফুটবলের একটি ম্যাচে মারামারিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন আবাহনী লিমিটেড ও বসুন্ধরা কিংসের খেলোয়াড়েরা। ফাইল ছবি
>হলুদ কার্ড দেখার জন্য ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা জরিমানা গুনেছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলের দলগুলো।

প্রিমিয়ার লিগ ফুটবল থেকে আয়ের দারুণ এক উৎস পেয়েছে বাফুফে। এক ম্যাচে নির্দিষ্ট পরিমাণ হলুদ কার্ড দেখলেই জরিমানা করা হয়েছে ক্লাবগুলোকে। এ খাত থেকে সদ্য সমাপ্ত লিগ থেকে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) আয় করেছে ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা।

বাফুফের এই অর্জনে সবচেয়ে বেশি ‘সহযোগিতা’ করেছে টিম বিজেএমসি। সর্বোচ্চ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা গুনেছে তারা। এর পরে ধারাবাহিকভাবে সাইফ স্পোর্টিং ৪০ হাজার, রহমতগঞ্জ ও নোফেল স্পোর্টিং ৩০ হাজার এবং মোহামেডান ও শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র দিয়েছে ১০ হাজার টাকা করে।

এবারের প্রিমিয়ার লিগে পয়েন্ট টেবিলে তলানিতে থেকে অবনমন হয়েছে বিজেএমসি ও নোফেলের। কিন্তু হলুদ কার্ড দেখায় সবার ওপরে তারা। লিগে সবচেয়ে বেশি ৪৯টি করে হলুদ কার্ড দেখেছে অবনমিত এই দুই দল। ফেয়ার প্লে ট্রফি জেতা শেখ রাসেলের হলুদ কার্ড ২৩টি। তাদের চেয়ে একটি কম হওয়ায় সর্ব নিম্ন কার্ড দেখেছে ব্রাদার্স ইউনিয়ন (২২)। রহমতগঞ্জের হলুদ কার্ড ৪৫টি, সাইফ স্পোর্টিং পেয়েছে ৪৪টি, মোহামেডান ৩৯টি। ঢাকা আবাহনী, চট্টগ্রাম আবাহনী ও আরামবাগ এ কীর্তিতে সমান-৩৪টি হলুদ কার্ড। শেখ জামালের হলুদ কার্ড ২৮টি, বসুন্ধরা কিংস ২৭ মুক্তিযোদ্ধা ২৫।

হলুদ কার্ডে দুই অবনমিত দল বিজেএমসি ও নোফেল সবার ওপরে থাকলেও লাল কার্ড দেখে তাদের হারিয়ে দিয়েছে সাইফ স্পোর্টিং। সবচেয়ে বেশি ৪টি লাল কার্ড দেখেছে পয়েন্ট টেবিলের চতুর্থ স্থানে থাকা দলটি। বিজেএমসি ২ টি। আবাহনী, শেখ জামাল, ব্রাদার্স, আরামবাগ, রহমতগঞ্জ, মুক্তিযোদ্ধা, বসুন্ধরা কিংস পেয়েছে ১টি করে লাল কার্ড।

এখন প্রশ্নটা হলো এই জরিমানার নিয়ম কী? কোনো দল এক ম্যাচে সর্বনিম্ন চারটি হলুদ কার্ড দেখলে ওই ম্যাচের জন্য ১০ হাজার টাকা জরিমানা গুনতে হবে। অর্থাৎ বিজেএমসির খেলোয়াড়েরা সাতটি ম্যাচে সর্বনিম্ন চারটি হলুদ কার্ড দেখেছে।