৫৫১ কোটি ৭০ লাখ রুপির আইপিএল নিলাম শেষ

গতকাল প্রথম দফায় বিক্রি হননি। আজ দ্বিতীয় দফায় আবার নিলামে তোলা হয়েছিল তাঁকে। এবারও কোনো দল আগ্রহ দেখায়নি বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডারকে নিতে। ২০১১ সালের পর এই প্রথম আইপিএলে দুই দফা নিলাম শেষেও দলহীন সাকিব। ২০২০ আইপিএলে নিষেধাজ্ঞার কারণে বিবেচনায় ছিলেন না সাকিব। ২০১৩ সালে খেলেননি চোটের কারণে।

আইপিএল নিলামের ঘণ্টা আবারও বাজবে আজ। বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে শুরু হচ্ছে নিলামের দ্বিতীয় ও শেষ দিনের কার্যক্রম। বেঙ্গালুরুর হোটেল আইটিসি গার্ডেনিয়া থেকে সরাসরি সম্প্রচার করবে স্টার স্পোর্টস ১ এইচডি চ্যানেল। নিলামে কী হচ্ছে না হচ্ছে, সেটা সরাসরি জানার জন্য প্রথম আলো-তে!

গতকাল জানা গিয়েছিল, হুট করে অসুস্থ হয়ে যাওয়া নিলাম সঞ্চালক হিউ এডমিডস দ্বিতীয় দিনে ঠিকই ফিরবেন উপস্থাপনা করার জন্য। কিন্তু আজ জানা গেল, হিউ নিজেই দায়িত্ব থেকে সরে এসেছেন। ভিডিওবার্তায় জানিয়েছেন, কাজে নিজের ১০০% হয়তো দিতে পারবেন না, যে কারণে আজও চারুর ওপরেই বর্তেছে সঞ্চালনার দায়িত্ব।

প্রথম দিন ৯৭ জন খেলোয়াড়ের নাম নিলামের টেবিলে উঠলেও আজ আরও বেশি খেলোয়াড় পাবেন নিজেদের নতুন ঠিকানা। মধ্যাহ্নভোজের আগপর্যন্ত তালিকার ৯৮ থেকে ১৬১ নম্বর খেলোয়াড়দের নিয়ে নিলাম হবে।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের স্বাদ পেয়েছেন, এমন বিদেশি ব্যাটসম্যানদের দিয়েই শুরু হলো নিলাম। প্রথমেই উঠেছে দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যান এইডেন মার্করামের নাম। মুম্বাই ইন্ডিয়ানস, পাঞ্জাব কিংস আর সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে ২ কোটি ৬০ লাখ রুপিতে মার্করাম পাড়ি জমিয়েছেন সানরাইজার্সে।

এক কোটি রুপি ভিত্তিমূল্যে কলকাতা নাইট রাইডার্স কিনে নিয়েছে ব্যাটসম্যান অজিঙ্কা রাহানাকে।

দেড় কোটি রুপি ভিত্তিমূল্যের ইংলিশ ব্যাটসম্যান ডেভিড মালানের প্রতি কেউ আগ্রহ দেখায়নি, অবিক্রিত রইলেন তিনি। একই ভাগ্য বরণ করেছেন অস্ট্রেলিয়ার মারনাস লাবুশেন, অ্যারন ফিঞ্চ, নিউজিল্যান্ডের জিমি নিশাম, ইংল্যান্ডের এউইন মরগান ও ভারতের সৌরভ তিওয়ারি

এক কোটি ১০ লাখে দিল্লিতে গেলেন মানদীপ সিং

ইংলিশ অলরাউন্ডার লিয়াম লিভিংস্টোনকে পাওয়ার লড়াইয়ে আছে গুজরাট টাইটানস, পাঞ্জাব কিংস, সানরাইজার্স হায়দরাবাদ চেন্নাই সুপার কিংস ও কলকাতা নাইট রাইডার্স। চার কোটি পর্যন্ত কলকাতা আর চেন্নাই থাকলেও শেষ পর্যন্ত লড়ছে গুজরাট, হায়দরাবাদ ও পাঞ্জাব

ইংলিশ অলরাউন্ডার লিয়াম লিভিংস্টোনকে নিয়ে দলগুলোর আগ্রহ থাকবে, আগেই জানা গিয়েছিল। তাই বলে এত, সেটা কেউ বোঝেনি। সাড়ে ১১ কোটিতে লিভিংস্টোনকে কিনে নিয়েছে পাঞ্জাব কিংস। এবার আইপিএলে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে দামি বিদেশি ক্রিকেটার লিভিংস্টোন

ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার ডমিনিক ড্রেকসকে ১ কোটি ১০ লাখে, ভারতীয় অলরাউন্ডার জয়ন্ত যাদবকে ১ কোটি ৭০ লাখ ও বিজয় শঙ্করকে ১ কোটি ৪০ লাখে কিনল গুজরাট

পাঞ্জাব কিংসের সাবেক খেলোয়াড়, ইংলিশ অলরাউন্ডার ক্রিস জর্ডানের প্রতি কেউ আগ্রহ দেখায়নি

ওয়েস্ট ইন্ডিজের অলরাউন্ডার ওডিন স্মিথের জন্য হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে হারিয়ে ছয় কোটি রুপিতে বিজয়ী পাঞ্জাব

দক্ষিণ আফ্রিকান পেসার মার্কো ইয়ানসেনকে ৪ কোটি ২০ লাখে কিনেছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। গতবার মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের হয়ে খেলেছিলেন তিনি

ভারতীয় অলরাউন্ডার শিভাম দুবেকে পাওয়ার লড়াইকে নেমেছিল চেন্নাই সুয়ার কিংস, পাঞ্জাব কিংস, লক্ষ্ণৌ সুপার কিংস। শেষমেশ ৪ কোটিতে চেন্নাইতে ঠাঁই হয়েছে তাঁর

গতবার ৯ কোটি ২৫ লাখ পেয়েছিলেন চেন্নাইয়ের কাছ থেকে, এবার এক কোটিও জুটল না। ভারতের স্পিনিং অলরাউন্ডার কৃষ্ণপ্পা গৌতমকে ৯০ লাখে কিনে নিয়েছে নতুন দল লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস

কলকাতা নাইট রাইডার্স, দিল্লি ক্যাপিটালস, সানরাউজার্স হায়দরাবাদ, রাইজিং পুনে সুপারজায়ান্টসের হয়ে খেলা পেসার ইশান্ত শর্মার প্রতি এবার কেউ আগ্রহ দেখায়নি। নিলাম চলছে আরেক পেসার খলিল আহমেদকে নিয়ে

সানরাইজার্স হায়দরাবাদের সাবেক পেসার সৈয়দ খলিল আহমেদের জন্য সোয়া ৫ কোটি খরচ করেছে দিল্লি ক্যাপিটালস।

লঙ্কান পেসার দুষ্মন্ত চামিরাকে ২ কোটিতে দলে ভিড়িয়েছে লক্ষ্ণৌ, ওদিকে দল পাননি চেন্নাই সুপার কিংসের সাবেক দক্ষিণ আফ্রিকান পেসার লুঙ্গি এনগিদি

গতবার রাজস্থানে একসঙ্গে খেলেছিলেন দুজন। এবারও একই দলে খেলবেন, তবে দিল্লিতে। ভারতীয় বাঁহাতি পেসার চেতন সাকারিয়াকে ৪ কোটি ২০ লাখে কিনেছে দিল্লি ক্যাপিটালস। ৫০ লাখে সন্দ্বীপ শর্মাকে কিনেছে পাঞ্জাব কিংস

ভারতীয় পেসার নবদীপ সাইনি গত মৌসুমে খেলেছিলেন কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুতে, এবার ২ কোটি ৬০ লাখে গিয়েছেন রাজস্থানে। কেউ কেনেনি ক্যারিবীয় পেসার শেলডন কটরেলকে

দুই কোটি রুপির ভিত্তিমূল্যে অস্ট্রেলিয়ান পেসার নাথান কোল্টার-নাইলকে কেনার ব্যাপারে আগ্রহ দেখায়নি কেউ। পেসার জয়দেব উনাদকাট ১ কোটি ৩০ লাখে গিয়েছেন মুম্বাইতে

নিজেদের সাবেক লেগ স্পিনার ময়ঙ্ক মারখাণ্ডেকে ৬৫ লাখে দলে ফিরিয়েছে মুম্বাই ইন্ডিয়ানস। ওদিকে দক্ষিণ আফ্রিকান লেগ স্পিনার তাবরাইজ শামসি ও আফগান স্পিনার কায়েস আহমেদ দল পাননি। লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস ৫০ লাখে কিনেছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের সাবেক স্পিনার শাহবাজ নাদিমকে

৫০ লাখে লঙ্কান স্পিনার মহিশ থিকসানাকে দলে নিয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস, যিনি রহস্য স্পিনার বলে খ্যাত। চেন্নাইয়ের সাবেক স্পিনার করণ শর্মা দল পাননি

নিউজিল্যান্ডের স্পিনার ইশ সোধি ও ভারতের পীযুষ চাওলাকে দলে নেয়নি কেউ, একই ভাগ্য বরণ করেছেন ব্যাটসম্যান বিরাট সিং, শচীন বেবি ও হিম্মত সিং

৫৫ লাখে নিজেদের সাবেক ব্যাটসম্যান রিঙ্কু সিংকে দলে ফিরিয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। ২০ লাখে লক্ষ্ণৌতে গিয়েছেন মনন ভোহরা

ললিত যাদব - দিল্লি ক্যাপিটালস (৫০ লাখ রুপি)

রিপাল প্যাটেল - দিল্লি ক্যাপিটালস (২০ লাখ রুপি)

যশ ধুল - দিল্লি ক্যাপিটালস (৬৫ লাখ রুপি)

এন তিলক ভার্মা - মুম্বাই ইন্ডিয়ানস (১ কোটি ৭০ লাখ রুপি)

মহীপাল লমরোর - রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (৯৫ লাখ)

অনুকূল রায় - কলকাতা নাইট রাইডার্স (২০ লাখ)

ভিকি ওটসওয়াল - অবিক্রিত

সঞ্জয় যাদব - মুম্বাই ইন্ডিয়ানস (৫০ লাখ)

রাজ বাওয়া - পাঞ্জাব কিংস (২ কোটি)

রাজবর্ধন হাঙ্গারগেকার - চেন্নাই সুপার কিংস (১.৫ কোটি)

বসু বৎস - অবিক্রিত

যশ ঠাকুর - অবিক্রিত

অর্জন নাগওয়াসওয়ালা - অবিক্রিত

ভারতীয় বাঁহাতি পেসার যশ দয়ালকে ৩ কোটি ২০ লাখ রুপি দিয়ে কিনেছে গুজরাট টাইটানস

ফিন অ্যালেন - রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (৮০ লাখ)

ডেভন কনওয়ে - চেন্নাই সুপার কিংস (১ কোটি)

এভিন লুইস - অবিক্রিত

অ্যালেক্স হেলস - অবিক্রিত

করুন নায়ার - অবিক্রিত

রভম্যান পাওয়েল - দিল্লি ক্যাপিটালস (২.৮ কোটি)

আর্চারের জন্য আট কোটি রুপি খরচ করেছে মুম্বাই ইন্ডিয়ানস

চারিথ আসালাঙ্কা - অবিক্রিত

জর্জ গারটন - অবিক্রিত

রিশি ধাওয়ান - পাঞ্জাব কিংস (৫৫ লাখ)

ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস - চেন্নাই সুপার কিংস (৫০ লাখ)

শেরফানে রাদারফোর্ড - রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (১ কোটি)

ড্যানিয়েল স্যামস - মুম্বাই ইন্ডিয়ানস (২ কোটি ৬০ লাখ)

মিচেল স্যান্টনার - চেন্নাই সুপার কিংস (১ কোটি ৯০ লাখ)

ওয়েস্ট ইন্ডিজের অলরাউন্ডার রোমারিও শেফার্ডের জন্য পৌনে আট কোটি রুপি খরচ করেছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।

এবার বিগ ব্যাশ লিগের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক অস্ট্রেলিয়ার ম্যাকডারমটকে কিনল না কেউ। ৭৫ লাখ রুপিতে জেসন বেহরেনডর্ফকে কিনল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু

বাংলাদেশের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করা সেই অস্ট্রেলিয়ান পেসার নাথান এলিসকে কেউ কিনল না। অবিক্রিত থেকেছেন সিদ্ধার্থ কল ও ফজলহক ফারুকি

টাইমাল মিলসকে ১.৫ কোটিতে দলে নিয়েছে মুম্বাই ইন্ডিয়ানস। অ্যাডাম মিলনে কে ১ কোটি ৯০ লাখে কিনেছে চেন্নাই সুপার কিংস

সিঙ্গাপুরের অলরাউন্ডার টিম ডেভিডকে সোয়া আট কোটি রুপিতে কিনে নিয়েছে মুম্বাই ইন্ডিয়ানস।

একজন করে খেলোয়াড়ের নাম উঠছে, কেউ আগ্রহ দেখাছে না, অবিক্রিত থেকে যাচ্ছেন। টানা ৬ জন খেলোয়াড় অবিক্রিত থাকলেন।

হিমাচল প্রদেশের সুইং বোলারের ভিত্তিমূল্য ছিল ২০ লাখ। কলকাতা নাইট রাইডার্স নিজেদের সাবেক খেলোয়াড়কে পেতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে। কিন্তু ২ কোটি রুপি দিয়ে পাঞ্জাব কিংসই পেলেন তাঁকে।

২০ লাখের ভিত্তিমূল্যের লেগ স্পিনার পেতে চাইছে রাজস্থান ও চেন্নাই। দ্রুত ৫০ লাখ ছাপিয়ে ১ কোটির দিকে চলে গেছে দাম।

চেন্নাই সুপার কিংস ১ কোটি ২০ লাখ রুপিতে পেয়ে গেছে তাঁকে।

ঝড়ের বেগেই খেলোয়াড়দের নাম বলা হচ্ছে। অবিক্রিত হয়ে চলে যাচ্ছেন। ভানুকা রাজাপক্ষে, মার্টিন গাপটিল, বেন কাটিং, রোস্টন চেজ—সবাই অবিক্রিত।

পবন নেগিও বিক্রি হলেন না।

অস্ট্রেলিয়ান পেসার অ্যাবট ব্যাট হাতেও মন্দ নন। তাঁকে পেতে তাই দিল্লি, পাঞ্জাব ও হায়দরাবাদ চেষ্টা করেছে। নিজেদের ভাণ্ডার প্রায় শূন্যের কোটায় থাকায় দাম বাড়তে শুরু করার পর সরে গেছে দিল্লি। দিল্লির আর মাত্র ১ কোটি ৩০ লাখ রুপি বাকি আছে। ৭৫ লাখ ভিত্তি মূল্যের অ্যাবটের দাম ২ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।

২ কোটি ৪০ লাখে তাঁকে নিয়ে গেল হায়দরাবাদ।

৭৫ লাখ ভিত্তিমূলের ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান পেসারকে চাইছে গুজরাট ও পাঞ্জাব। মুহূর্তেই দাম দ্বিগুন হয়ে গেছে তাঁর। ২ কোটি ৪০ লাখে গুজরাট পেয়ে গেল জোসেফকে। আইপিএলে রক ম্যাচে ১২ রানে ৬ উইকেট নেওয়ার কীর্তি আছে তাঁর।

রাইলি মেরেডিথ, ধবল কুলকার্নি ও কেইন রিচার্ডস্নকে কেনার ইচ্ছা হয়নি কোনো দলের।

অধিকাংশ দল নিজেদের দল গুছিয়ে নিয়েছে। শুধু কয়েকটি দলেরই স্কোয়াড খেলোয়াড় দরকার। এ কারণে অধিকাংশ খেলোয়াড়ই অবিক্রিত থাকছেন। ২০ লাখের ভিত্তিমূল্য থেকে ২ কোটি-অবিক্রিত থাকছেন সবাই।

সামারাথকে ২০ লাখে নিল হায়দরাবাদ। তবে ২০ লাখ ভিত্তিমূলের অভিজিৎ তোমার পেলেন ৪০ লাখ। কলকাতা পেয়েছে তাঁকে।

৫০ লাখ ভিত্তিমূল্যে লক্ষ্ণৌতে গেলেন বাংলাদেশের মাটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে টেস্ট জেতানো কাইল মেয়ার্স।

সর্বনিম্ন ১৮ জন খেলোয়াড় নিতে হবে দলগুলোকে। এরই মধ্যে ৮ দল সে কোটা পূরণ করে নিয়েছে। বাকি আছে শুধু রাজস্থান রয়্যালস ও গুজরাট টাইটানস।

টাইটানস ১৭ জন খেলোয়াড় নিয়ে ফেলেছে। তবে এখনো কোনো উইকেটকিপার পায়নি তারা। ওদিকে রাজস্থান মাত্র ১৪ জন কিনেছে। আরও ৪ জন স্কোয়াড খেলোয়াড় দরকার। তাদের হাতে আছে ৮ কোটি ৬০ লাখ রুপি।

কোন দলের কতজন খেলোয়াড় কেনা হয়েছে, স্কোয়াড পূর্ণ করতে কতজন লাগবে? কার হাতে কত অর্থ আছে? এসব প্রশ্নের উত্তর জেনে নিন।

গতকাল দক্ষিণ আফ্রিকার কাগিসো রাবাদাকে পেতে দলগুলোর মধ্যে লড়াই হয়েছিল। পাঞ্জাব তাঁকে পেয়েছে ৯ কোটি ২৫ লাখ রুপিতে। আজ লুঙ্গি এনগিডি বিক্রি হলেন ৫০ লাখে। রাবাদার সাবেক দল দিল্লি কিনেছে তাঁকে।

নিলামে প্রথম ডাকে দল পাননি ইংলিশ ওপেনার হেলস। তবে এবার কলকাতা টেনে নিয়েছে তাঁকে। ভিত্তিমূল্য ১.৫ কোটিতেই।

আরেক ক্রিকেটার যিনি দ্বিতীয় দফায় দল পেলেন। ভিত্তিমূল্য ২ কোটি রুপিতে তাঁকে নিয়েছে লক্ষ্ণৌ।

১.৫ কোটির ভিত্তিমূল্যেই নিউজিল্যান্ডের উইকেটকিপারকে নিয়ে নিল হায়দরাবাদ।

বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে হ্যাটট্রিক পাওয়া দ্রুতগতির ফাস্ট বোলার নাথান এলিসকে কিনে নিয়েছে পাঞ্জাব। প্রথম দফায় অবিক্রিত এলিসকে ভিত্তিমূল্যে পেয়েছে পাঞ্জাব।

বিপিএলে খেলা ফজল হক ফারুকীকে পেয়েছে হায়দরাবাদ। ৫০ লাখ রুপিতে আফগান পেসারকে কিনেছে সাকিব-মোস্তাফিজের সাবেক দল।

বাংলাদেশের তিন নতুন ক্রিকেটার তাসকিন, লিটন ও শরীফুল ইসলামের ভিত্তিমূল্য ৫০ লাখ রুপি। তিনটি দল দিল্লি, হায়দরাবাদ ও লক্ষ্ণৌর পক্ষে এ তিনজনকে কেনা সম্ভব না।

২১ জন খেলোয়াড় কিনেই নিজেদের বরাদ্ধের সব অর্থ শেষ করেছে লক্ষ্ণৌ। নিলামের বাকি সময় তারা দর্শক হয়েই থাকবে। সানরাইজার্স হায়দরাবাদেরও আছে মাত্র ১০ লাখ রুপি। আইপিএলে এবার ১০ লাখ ভিত্তিমূল্যের খেলোয়াড় নেই।

গতকাল নিলামের এক পর্যায়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন সঞ্চালক হিউ এডমিডস। তাঁর অনুপস্থিতিতে সঞ্চালনার দায়িত্ব সেরেছেন চারু শর্মা। নিলামের শেষ দিকে আবার ফিরে এসেছেন এডমিডস।

সবাই জানত, শেষ দিকে অর্জুন টেন্ডুলকারকে মুম্বাই নিয়ে নেবে। গত আইপিএলেও কিংবদন্তির ছেলেকে ঘরের দল নিয়েছিল। এবার শুধু গুজরাট টাইটানস একটু মজা করার চেষ্টা করেছে বিড করে। ফলে ২০ লাখ ভিত্তিমূলের অর্জুন পেলেন ৩০ লাখ।

প্রতিটি দল দুটি করে নাম দিতে পারবে। তাদের মধ্য থেকেই নিলাম হবে এবার। তবে লক্ষ্ণৌ সব অর্থ ব্যয় করে ফেলেছে এর আগেই।

২ কোটির ভিত্তিমূল্যের পেসার যাদবকেও নিয়ে নিল কলকাতা।

প্রতিটি দল ৯০ লাখ রুপি তহবিল নিয়ে নেমেছিল। ৩৩ জন খেলোয়াড় ধরে রাখায় নিলামে অবশ্য ৫৬১ কোটি ৫০ লাখ রুপি খরচের সুযোগ ছিল। কিন্তু হিসেব মিলিয়ে কাটায় কাটায় ৯০ কোটি রুপি খরচ করেছে শুধু লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস। সানরাইজার্স হায়দরাবাদ, মুম্বাই ইন্ডিয়ানস ও দিল্লি ক্যাপিটালসের বাকি ছিল ১০ লাখ রুপি। গুজরাট টাইটানসও ১৫ লাখ রুপি খরচ করতে পারেনি। শেষ দিকে টানা কয়েকজন খেলোয়াড় টেনে ৪৫ লাখ রুপি হাতে নিয়ে নিলাম শেষ করেছে কলকাতা।

মোট ২০৩ খেলোয়াড় কিনতে ১০ দল ব্যয় করেছে ৫৫১ কোটি ৭০ লাখ রুপি। এর মধ্যে ঈশান কিষান ১৫ কোটি ২৫ লাখ রুপি পেয়ে নিলামের সবচেয়ে দামি খেলোয়াড় হয়েছেন। দ্বিতীয় দিনে সবচেয়ে বেশি দাম পেয়েছেন লিয়াম লিভিংস্টোন। ইংলিশ ব্যাটসম্যানকে ১১ কোটি ৫০ লাখ রুপিতে নিয়েছে পাঞ্জাব কিংস।