তামিম–মুশফিকদের বদলাতে ‘কিছুই করেননি’ সিডন্স
দক্ষিণ আফ্রিকায় মার্চ–এপ্রিলে ভুলে যাওয়ার মতো একটি সিরিজই কেটেছে বাংলাদেশ দলের। প্রথম টেস্টে ২২০ রানে হেরেছে মুমিনুল হকের দল। দ্বিতীয় টেস্টে আরও বড় হার, ৩৩২ রানে। বড় হারের চেয়েও হতাশাজনক ছিল দুই টেস্টেরই দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের ব্যাটিং। প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ৫৩ ও দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ৮০ রানে অলআউট হয়েছিল বাংলাদেশ।
দক্ষিণ আফ্রিকায় অমন বাজে ব্যাটিংয়ের প্রভাব কাটিয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। শ্রীলঙ্কার ৩৯৭ রানের জবাবে তৃতীয় দিনের খেলা বাংলাদেশ শেষ করেছে প্রথম ইনিংসে ৩ উইকেটে ৩১৮ রান তুলে।
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের পর শ্রীলঙ্কা সিরিজের জন্য প্রস্তুতি নিতে বাংলাদেশের খেলোয়াড়েরা সপ্তাহ দুয়েক সময় পেয়েছেন। এই অল্প সময়ে ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্স কী এমন করেছেন যে তামিম ইকবাল–মুশফিকুর রহিমরা এভাবে নিজেদের বদলে ফেলতে পেরেছেন!
সিডন্স বললেন, তিনি তেমন কিছুই করেননি! তিনি শুধু খেলোয়াড়দের মানসিক দিক থেকে চাঙা করে তোলার চেষ্টা করেছেন। কাল দিনের খেলা শেষে সিডন্স বলেছেন, ‘চেষ্টা করেছি, খেলোয়াড়েরা যাতে তাদের আত্মবিশ্বাসটা ফিরে পায়। দক্ষিণ আফ্রিকায় ৫৩ ও ৮০ রানে অলআউট হওয়াটা ছিল খুবই হতাশাজনক। এরপর ভালো একটি বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে খেলতে হচ্ছে তাদের।’
শ্রীলঙ্কার এই বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে তামিম–মুশফিকদের প্রস্তুত করতে কী করেছেন, এবার সেটাই বললেন সিডন্স, ‘গত দুই সপ্তাহে আমি আসলে খুব বেশি কিছু করিনি। ছোট ছোট কিছু বিষয় ঠিক করে দিয়েছি। আমি তাদের সঙ্গে টেস্ট ক্রিকেটের শৃঙ্খলা নিয়ে বথা বলেছি। বুঝিয়েছি, টেস্ট ক্রিকেট খেলতে কী শৃঙ্খলা দরকার। এটাই তারা এখানে করে দেখিয়েছে।’
ভালো বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে কীভাবে ব্যাটিং করতে হয় এবং ভালো ব্যাটিং করার জন্যই-বা কী দরকার, সিডন্স সেটাও বললেন, ‘সবকিছুর মূলে আত্মবিশ্বাস। বুঝতে হবে পরিকল্পনাটা কী। তারা এখানে সেটা দারুণভাবে করে দেখিয়েছে। আপনি যদি দেখেন, লিটনের দুটি শট ছাড়া বাতাসে কোনো বড় শট খেলেনি তারা। সবাই খুব শৃঙ্খলাবদ্ধ ছিল। মুশি যেভাবে বল নক করেছে, আমরা তাকে এভাবেই বলে দিয়েছিলাম।’