‘ফাইনালের পথে এক ধাপ এগিয়েছি, বড় স্বপ্ন দেখা উচিত’

দুর্দান্ত ব্যাটিং করে বাংলাদেশকে জিতিয়েছেন তাওহিদ হৃদয় ও সাইফ হাসান (বাঁ থেকে)। দুজনেই করেছেন ফিফটিএএফপি

দিন দুয়েক আগেও শ্রীলঙ্কার ওপর নির্ভর করছিল বাংলাদেশ সুপার ফোরে খেলতে পারবে কি না তা। এখন তাদের হারিয়েই তারা দেখতে শুরু করেছে নতুন স্বপ্ন। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্যের কথা যদিও বারবারই বলছিলেন ক্রিকেটাররা। কিন্তু তাতে বিশ্বাসী মানুষের সংখ্যা ছিল কম। এখনো হয়তো তা–ই।

তবে বাংলাদেশ যে ফাইনাল খেলতে পারে, তা তো এখন বাস্তবতাই। এশিয়া কাপের সুপার ফোরে কাল দুবাইয়ে শ্রীলঙ্কাকে ৪ উইকেটে হারিয়ে দেওয়ার পর বাংলাদেশের সামনে এখন পথটা সহজ—ভারত বা পাকিস্তানের কাউকে হারিয়ে দিলেই তাদের জন্য খোলা হবে ফাইনালের দরজা।

সেই স্বপ্নে তাঁরা আরও এক ধাপ এগিয়েছেন বলে মনে করেন লঙ্কানদের বিপক্ষে ম্যাচসেরা সাইফ হাসান, ‘টুর্নামেন্টে আসার আগে সবার মধ্যে বিশ্বাস ছিল যে আমরা ফাইনাল খেলব। আরও একটা ধাপ এগিয়েছি। এখনো দুটো ম্যাচ বাকি। আমাদের ফোকাস পরের ম্যাচের দিকেই।’

ফিফটির পথে সাইফ হাসান
বিসিবি

এশিয়া কাপের ফাইনাল বাংলাদেশের জন্য নতুন কিছু নয়। এর আগে তিনবার ফাইনাল খেললেও প্রতিবারই ফিরতে হয়েছে হতাশা সঙ্গী করে। এবারও একই রকম গল্প হলে আর নতুন কী!

সাইফ যদিও বলছেন স্বপ্নটা বড়ই রাখতে, ‘স্বপ্ন দেখা উচিত। বড় স্বপ্ন দেখা উচিত। স্টেপ বাই স্টেপ এগোনো উচিত। আমাদের পরের ম্যাচ ভারতের সঙ্গে, ফুল ফোকাস ওই ম্যাচে থাকবে। তার পরেরটা পরে দেখা যাবে।’

আরও পড়ুন

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৬৯ রান তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু এরপরই বাংলাদেশের হাল ধরেন সাইফ। ২ চার ও ৪ ছক্কার ইনিংসে ৪৫ বলে ৬১ রান আসে তাঁর ব্যাট থেকে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ জিতিয়ে এসে সাইফকে মুখোমুখি হতে হয় মজার এক প্রশ্নের।

তাঁর মামাবাড়ি শ্রীলঙ্কায়। তাদের হারিয়ে দেওয়ার অনুভূতি কি একটু আলাদা? সাইফের উত্তর, ‘ও রকম কিছু না। শ্রীলঙ্কায় আমি ওখানে যাই–ই নাই (মামাবাড়িতে)। তাই আমি জানি না।’

তবে ইনিংসটা যে তাঁর কাছে বিশেষ তা জানিয়েছেন সাইফ, ‘আজকের ইনিংসটা স্পেশাল ছিল, দলের জন্য অবদান রাখতে পেরেছি। আশা করি আরও ভালো কিছু হবে।’

আরও পড়ুন