উইলিয়ামসের ‘আত্মহত্যা’র পরও জিম্বাবুয়ের ৮২ রানের লিড

মাঠ ছাড়ার সময় মাথাটা নিচুই ছিল মুশফিক ও মিরাজের। জিম্বাবুয়ে যে প্রথম ইনিংসেই লিড পেয়েছেশামসুল হক

স্কোরবোর্ডে যখন ১৯৩ রান, ষষ্ঠ উইকেটটি হারাল জিম্বাবুয়ে। মেহেদী হাসান মিরাজের বলে পাগলাটে এক শট খেলে ব্যক্তিগত ৫৯ রানে আউট হলেন শন উইলিয়ামস।

ততক্ষণে প্রথম ইনিংসে ২ রানে পিছিয়ে পড়া বাংলাদেশ তখন জিম্বাবুয়েকে দ্রুত গুটিয়ে দেওয়ার আশায়। তবে সেটা আর হয়নি। এরপরও লেজের ব্যাটসম্যানদের প্রতিরোধে জিম্বাবুয়ে যোগ করেছে আরও ৮০ রান। তাতে জিম্বাবুয়ের লিড পেয়েছে ৮২ রানের।

আরও পড়ুন

দায়টা বাংলাদেশের বোলারদের দেওয়ার সুযোগও কম। সিলেটের এই উইকেটে রান করাটাই তো তুলনামূলক সহজ। সেখানে আজ নাহিদ রানার দাপটে শুরু হওয়া দিনে বাংলাদেশের অন্য দুই পেসার হাসান মাহমুদ ও খালেদ আহমেদও ছিলেন দুর্দান্ত। বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম বাজে একটা দিন কাটিয়েছেন। তবে মেহেদী হাসান মিরাজ নিয়েছেন টেস্ট ক্যারিয়ারের ১১তম বারের মতো ৫ উইকেট।  

জিম্বাবুয়ের প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নেন মিরাজ
শামসুল হক

সফরকারী দলের লিড আরও বড় হতেই পারত। যদি না ইনিংসের ৫৫তম ওভারে মেহেদী হাসান মিরাজের বলে লং অফ দিয়ে ছক্কা মারার প্রচেষ্টায় উইলিয়ামস আউট না হতেন। ৫৯ রানে ব্যাটিং করা উইলিয়ামসই  জিম্বাবুয়ের বড় ভরসা ছিলেন। মনযোগ না হারিয়ে ইনিংসটা টানতে পারলে বড় লিডের সঙ্গে নিজের ব্যক্তিগত সংগ্রহটাও হয়তো বড় হতো। ২০১৮ সালে এই সিলেটে বাংলাদেশকে হারানোর ম্যাচে প্রথম ইনিংসে ৮৮ রানের ইনিংস খেলেছিলেন উইলিয়ামস।

কৃতিত্ব পাবেন জিম্বাবুয়ের লেজের দিকের ব্যাটসম্যানেরা।  নিয়াশা মায়াভোর ৩৫ রানের পর মুজারাবানির ১৭, রিচার্ড এনগারাভার অপরাজিত ২৮ রান বাংলাদেশের হতাশা বাড়িয়েছে।

আরও পড়ুন

১৪.১ ওভারে বিনা উইকেটে ৬৭ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু করা জিম্বাবুয়ে দিনের শুরুতেই নাহিদ রানার তোপের মুখে পড়ে। দ্বিতীয় দিনের শুরুতে জিম্বাবুয়ের দুই ওপেনার বেন কারেন ও ব্রায়ান বেনেটকে আউট করার পর লাঞ্চের আগে আগে ফিরিয়েছেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিনকে। প্রথম সেশনে নাহিদ রানার সঙ্গে উইকেটের কলামে নাম লেখান আরেক পেসার হাসান মাহমুদও। তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে আসা নিকোলাস ওয়েলচকে দারুণ এক ইনসুইং ডেলিভারিতে বোল্ড করেছেন হাসান।  প্রথম ইনিংসের সবচেয়ে ইকোনমিকাল বোলার খালেদ ফেরান ওয়েসলি মাধেভেরেকে।

নিকোলাস ওয়েলচকে বোল্ড করেন হাসান
শামসুল হক

দ্বিতীয় সেশনে উইলিয়ামসকে ফেরানো মিরাজ জ্বলে উঠেছেন তৃতীয় সেশনে। এই সেশনে তিনি একে একে ফিরিয়েছেন মায়াভো, মাসাকাদজা, মুজারাবানি ও ভিক্টর নিয়াউচিকে।