- ৩ উইকেটে জিতল জিম্বাবুয়ে
- স্বাগতম
- কেমন আবহাওয়া
- সিলেট টেস্ট দেখা যাবে কোন চ্যানেলে
- টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
- কারা আছেন বাংলাদেশের একাদশে
- উইকেটকিপার জাকের
- উইকেট কেমন
- প্রায় ফাঁকা গ্যালারি
- ভালো শুরু বাংলাদেশের
- ফিরলেন সাদমান
- মাহমুদুলও ফিরলেন
- পঞ্চাশে বাংলাদেশ
- জ্বলে উঠেছে ফ্লাডলাইট ...
- প্রথম সেশনে বাংলাদেশ
- বিরতিতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি
- বিরতি লম্বা হচ্ছে
- দর্শক কই?
- অবশেষে শুরু খেলা
- আউট হয়ে গেলেন নাজমুল
- হতাশ করলেন মুশফিক
- ৬ বলের মধ্যে দুজন আউট
- তাইজুলও মাসাকাদজার শিকার
- অস্বস্তি নিয়ে চা বিরতিতে বাংলাদেশ
- হলো না…
- ১৯১ রানে থামল বাংলাদেশের প্র্রথম ইনিংস
- জিম্বাবুয়ের ভালো শুরু
- ৫০ পেরিয়ে জিম্বাবুয়ে
- সিলেটে জিম্বাবুয়ের দিন
- কাল খেলা শুরু ১৫ মিনিট আগে...
- আবারও স্বাগত
- হাথুরুর দাবি!
- দ্বিতীয় দিন শুরুর আগে আবহাওয়া কেমন?
- গতকাল যা ঘটেছিল
- নাহিদের প্রথম আঘাত, জিম্বাবুয়ে ৬৯/১
- এবার নাহিদের শিকার বেনেট, জিম্বাবুয়ে ৮৮/২
- হাসানের শিকার ওয়েলচ, জিম্বাবুয়ে ৮৮/৩
- রিভিউ নিয়ে আরভিনকে ফেরাল বাংলাদেশ, জিম্বাবুয়ে ১২৯/৪
- ৪ উইকেটে ১৩৩ রান নিয়ে লাঞ্চে জিম্বাবুয়ে, পিছিয়ে ৫৮ রানে
- লিডের পথে জিম্বাবুয়ে, স্কোর ১৭০/৪
- জুটি ভাঙলেন খালেদ
- জিম্বাবুয়ের লিড, ১৯২/৫
- চা বিরতিতে জিম্বাবুয়ের লিড ২২ রানের
- মিরাজ সরালেন মায়াভো–কাঁটা
- মাসাকাদজাও ফিরলেন
- প্রথম ইনিংসে ৮২ রানের লিড জিম্বাবুয়ের
- রিভিউ নষ্ট জিম্বাবুয়ের
- ক্যাচিং প্র্যাকটিস!
- কিপারের ক্যাচ মিসে বাঁচলেন মাহমুদুল
- ৫০ পেরিয়ে বাংলাদেশ
- ম্যাচে ফেরার আভাস দিয়ে রাখল বাংলাদেশ
- তৃতীয় দিনের ধারা বিবরণীতে স্বাগতম
- সিলেটে বৃষ্টি
- বিটিভিতে আধুনিক গান
- এক ঘণ্টা পেরিয়ে গেল
- মাঠের কিছু ছবি
- বাংলাদেশ ২৫ ওভারে ১০৫/২
- বাংলাদেশ ২৯ ওভারে ১১৮/২
- ফিফটি হলো না মুমিনুলের
- ৪ রানে আউট মুশফিক, চা বিরতি
- নাজমুলের ফিফটি
- সারা দিনে ৪৪ ওভার, বাংলাদেশ এগিয়ে ১১২ রানে
- ফিরলেন মিরাজ, বাংলাদেশ ২১২/৬
- তাইজুলও আউট, বাংলাদেশ ২১৩/৭
- ৬১ রানে পড়েছে শেষ ৬ উইকেট
- মধ্যাহ্নভোজ বিরতি
- ভালো শুরু পেয়েছে জিম্বাবুয়ে
- কারেন আউট, দেরি হয়ে গেল বাংলাদেশের
- ওয়েলচকে ফেরালেন তাইজুল
- চা বিরতি, জয়ের সুবাস পাচ্ছে জিম্বাবুয়ে
- উইলিয়ামসকে ফেরালেন মিরাজ
- মিরাজের আরেকটি উইকেট
- বৃষ্টি বাগড়া এবং...
- রিভিউ নিয়ে আরভিনকে ফেরাল বাংলাদেশ
- উইকেট নম্বর ৬
- মিরাজের আরেকটি পাঁচ
- পরের টেস্ট চট্টগ্রামে
৩ উইকেটে জিতল জিম্বাবুয়ে
বাংলাদেশ: ১৯১ ও ২৫৫ (নাজমুল ৬০, জাকের ৫৮, মুমিনুল ৪৭, মাহমুদুল ৩৩; মুজারাবানি ৬/৭২, মাসাকাদজা ২/২০)। জিম্বাবুয়ে: ২৭৩ ও ১৭৪/৭ (বেনেট ৫৪, কারেন ৪৪; মিরাজ ৫/৫০, তাইজুল ২/৭০)। ফল: জিম্বাবুয়ে ৩ উইকেটে জয়ী। ম্যান অব দা ম্যাচ: ব্লেসিং মুজারাবানি। সিরিজ: দুই টেস্ট সিরিজে জিম্বাবুয়ে ১–০ ব্যবধানে এগিয়ে।
যে মিরাজ জিম্বাবুয়ের জয়কে কঠিন করে তুলেছিলেন, সেই মিরাজের বলে রিভার্স সুইপে বাউন্ডারি মেরে জিম্বাবুয়েকে জয়ের ঘরে নিয়ে গেলেন মাধেভেরে। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৭৪ রানের লক্ষ্য দলটি ছুঁয়েছে ৭ উইকেট হারিয়ে।
জিম্বাবুয়ের টেস্ট জয়—এমন কিছু ঘটল ৪ বছর পর। সর্বশেষ ২০২১ সালের মার্চে আবুধাবিতে আফগানিস্তানকে হারিয়েছিল জিম্বাবুয়ে। এরপর গত চার বছরে ১০ ম্যাচ খেলে আটটিতে হেরেছে আফ্রিকান দলটি, ড্র করে দুটিতে।
বাংলাদেশের বিপক্ষে জিম্বাবুয়ে জিতল প্রায় ৭ বছর পর। ২০১৮ সালের নভেম্বরে মাহমুদউল্লাহর দলের বিপক্ষে জিতেছিল হ্যামিল্টন মাসাকাদজার দল। সেটি ছিল সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের অভিষেক টেস্ট। একই মাঠে দ্বিতীয়বার গিয়ে আবারও জয় নিয়ে ফিরছে জিম্বাবুয়ে।
স্বাগতম
বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজের প্রথম টেস্টের সরাসরি ধারাবিবরণীতে সবাইকে স্বাগতম।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আজ মুখোমুখি হচ্ছে দীর্ঘদিনের চেনা দুই প্রতিপক্ষ।
কেমন আবহাওয়া
সিলেট থেকে আমাদের প্রতিনিধি মাহমুদুল হাসান জানাচ্ছেন, বৃষ্টির শঙ্কা থাকলেও আপাতত সিলেট টেস্টের প্রথম দিনের সকালটা রৌদ্রোজ্জ্বল। দুই দলের ক্রিকেটাররা শেষ মুহূর্তে নিজেদের তৈরি করছেন। তবে সিলেটের বৃষ্টি, কখন নেমে যায় তা বোঝা মুশকিল।
এই টেস্ট কাভার করতে মাহমুদুল হাসানের সঙ্গে আছেন প্রথম আলোর আরেক প্রতিনিধি শাওন শেখ। মাঠ থেকে তাঁরা দুজন সরাসরি যুক্ত থাকবেন আমাদের সঙ্গে।
দুই গতি দানবের লড়াই
লড়াইটা কি আজ ব্লেসিং মুজারাবানি ও নাহিদ রানার হতে পারে? পড়ুন নিচের লিংকে
সিলেট টেস্ট দেখা যাবে কোন চ্যানেলে
বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের টেস্ট সিরিজ সম্প্রচার নিয়ে তৈরি হয়েছিল অনিশ্চয়তা। সিরিজটি টেলিভিশনের পর্দায় দেখা যাবে কি না, সেই শঙ্কাও ছিল। তবে এ সমস্যার সমাধান হয়ে এসেছে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি)। গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের ম্যাচ সরাসরি দেখানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বিটিভি।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন।
কারা আছেন বাংলাদেশের একাদশে
মাহমুদুল হাসান, সাদমান ইসলাম, নাজমুল হোসেন (অধিনায়ক), মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, মেহেদী হাসান মিরাজ, জাকের আলী, তাইজুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ, খালেদ আহমেদ, নাহিদ রানা।
উইকেটকিপার জাকের
উইকেটকিপারের ভূমিকায় কে থাকবেন, এ নিয়ে ম্যাচের আগের কয়েক দিন বেশ আলোচনা ছিল। কাল পর্যন্তও তা নিশ্চিত করে বলেননি অধিনায়ক নাজমুল। আজ একাদশ থেকে বোঝা যাচ্ছে, উইকেটকিপারের দায়িত্বটা থাকছে জাকের আলীর কাঁধে।
বাংলাদেশ নামছে তিন পেসার নিয়ে, নাহিদ রানা খেলছেন। ওপেনিংয়ে সাদমান ইসলামের সঙ্গী মাহমুদুল হাসান, স্কোয়াডে থাকলেও একাদশে নেই জাকির হাসান।
উইকেট কেমন
ভালো উইকেটে খেলতে চাওয়ার কথাটা আগেই জানিয়ে রেখেছেন বাংলাদেশের কোচ ফিল সিমন্স ও অধিনায়ক নাজমুল হোসেন।
আমাদের প্রতিনিধি মাহমুদুল হাসান জানাচ্ছেন, ম্যাচের দিন সকালে উইকেটে ঘাস দেখা যাচ্ছে। উইকেটে যে বাউন্স থাকবে, তা অনুমান করা যায়। শুরুর দিকে পেসারদের তাই বাড়তি সহায়তা পাওয়ার কথা।
প্রায় ফাঁকা গ্যালারি
মাঠে কোনো দর্শক নেই বললেই চলে। একে তো টেস্টের প্রথম দিন, তার ওপর প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে। হয়তো এ কারণেই দর্শকদের মধ্যে আগ্রহ কম—সিলেট থেকে জানালেন শাওন শেখ
ভালো শুরু বাংলাদেশের
দিনের শুরুটা ভালোই করেছে বাংলাদেশ। দুই ওপেনার খেলছেন দেখেশুনে, বিপদ হতে দেননি এখনো। প্রথম ৬ ওভারে ২১ রান তুলেছে বাংলাদেশ। চার স্লিপ রেখে নতুন বল হাতে নেওয়া রিচার্ড এনগারাভা ও ব্লেসিং মুজারাবানি তেমন কোনো চাপই তৈরি করতে পারেননি।
ফিরলেন সাদমান
ফিরলেন সাদমান। ভিক্টর নিয়াউচির বলে ড্রাইভ খেলতে গিয়ে গালিতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন বাংলাদেশের ওপেনার। আউট হয়েছেন ১২ রানে। বাংলাদেশের রান ১ উইকেট ৩১।
মাহমুদুলও ফিরলেন
আবার নিয়াউচি। এবার আউট আরেক ওপেনার মাহমুদুল হাসান। গুড লেংথের ষষ্ঠ স্টাম্পে করা বলটিতে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন মাহমুদুল। তিনি ফিরেছেন ১৪ রানে।
বাংলাদেশের দলীয় রান ২ উইকেটে ৩২। মুমিনুল হক ও নাজমুল হোসেন, দুজনই ক্রিজে নতুন।
পঞ্চাশে বাংলাদেশ
১৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ৫০।
মুজারাবানির বলে জীবন পাওয়া মুমিনুল ব্যাটিং করছেন ৪ রান নিয়ে। নাজমুল হোসেন ১২ রানে অপরাজিত আছেন।
জ্বলে উঠেছে ফ্লাডলাইট ...
সকালে রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়ার মধ্যেই টস হয়েছিল। তবে সিলেটের অনিশ্চিত আবহাওয়ায় মেঘ এসে হাজির হয়ে গেছে ঘণ্টাখানেক পরই।
চারপাশে আঁধার বেড়ে যাওয়ায় জ্বলে উঠেছে স্টেডিয়ামের ফ্লাডলাইট। বৃষ্টি নামবে নামবে আবহ।
প্রথম সেশনে বাংলাদেশ
প্রথম সেশনে খেলা হয়েছে ২৪ ওভার। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশ তুলেছে ২ উইকেটে ৮৪ রান। নাজমুল ৩০, মুমিনুল ২১ রানে ব্যাট করছেন।
হুমকি হতে পারেন ব্লেসিং মুজারাবানি, অন্যরা ততটা নন— ম্যাচের শুরুতে কেউ এমন ধারণা করে থাকলে তা ভুল প্রমাণ করেছেন জিম্বাবুয়ের পেসার ভিক্টর নিয়াউচি। প্রথম সেশনে বাংলাদেশের দুই ওপেনার সাদমান ইসলাম ও মাহমুদুল হাসানকে ফিরিয়েছেন এই পেসার। অনেকটা বাংলাদেশের সিলেবাসের বাইরে থাকা এই পেসারই প্রথম সেশনে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের বেশি ভুগিয়েছেন।
বাংলাদেশের শুরুটা ভালোই ছিল। দুই ওপেনার অনেকটা নির্বিঘ্নেই ইনিংসের প্রথম ৮ ওভার পার করেন। ইনিংসের নবম ওভারে প্রথমবার বোলিংয়ে এসে সাদমানকে ফেরান নিয়াউচি। ড্রাইভ খেলতে গিয়ে গালিতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এই পেসার। নিজের করা দ্বিতীয় ওভারে নিয়াউচি আউট করেন মাহমুদুলকে। গুড লেংথের ষষ্ঠ স্টাম্পে করা বলটিতে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন মাহমুদুল। তিনি ফিরেছেন ১৪ রানে।
মুমিনুলও তখনই ফিরতে পারতেন। তবে মুজারাবানির করা চতুর্থ স্টাম্পের শর্ট ডেলিভারি মুমিনুলের ব্যাট ছুঁয়ে উইকেটকিপার নিয়াশা মায়াভোর হাতে যায়। বলটি গ্লাভসে রাখতে পারেননি মায়াভো। এরপরও নিয়াউচির বলে বেশ কয়েকবার পরাস্ত হয়েছেন নাজমুল-মুমিনুল। ভাগ্য সঙ্গে ছিল।
যাতে ভর করে তৃতীয় উইকেটে এখন পর্যন্ত ৫২ রান যোগ করেছেন নাজমুল–মুমিনুল।
বিরতিতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি
মেঘে নেমে আসা অন্ধকারে খেলা হয়েছে ঘণ্টাখানেক। তখন জ্বলেছে ফ্লাডলাইট। কৃত্রিম আলোতে মধ্যাহ্নভোজের বিরতি পর্যন্ত খেলা হয়েছে। তবে এই বিরতির মাঝেই নেমেছে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। ঢেকে দেওয়া হয়েছে উইকেট।
বিরতি লম্বা হচ্ছে
মধ্যাহ্নভোজের বিরতির পর খেলা শুরু হওয়ার কথা ছিল ১২টা ৪০ মিনিটে। কিন্তু তা হয়নি। খেলা শুরু হতে আরও খানিকটা দেরি হবে৷ এখনও পিচ ঢাকা। বৃষ্টি অবশ্য গুঁড়ি গুঁড়ি। পিচের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন মাঠকর্মীরা। রিজার্ভ আম্পায়ার তানভীর আহমেদ পর্যবেক্ষণ করছেন সবকিছু।
দর্শক কই?
গ্যালারিতে দর্শক উপস্থিতির খোঁজ নিতে গিয়েছিলেন প্রথম আলোর প্রতিবেদক মাহমুদুল হাসান। বিস্তারিত জানুন এই প্রতিবেদনে: কেউ এসেছেন ‘টাইম পাস’ করতে, কেউ ফিলিস্তিনের টানে
অবশেষে শুরু খেলা
মধ্যাহ্নভোজের বিরতি আধঘণ্টা বেশি লম্বা হলো। সকালে ঘণ্টাখানেক খেলা হওয়ার পর আকাশ মেঘলা হয়ে গিয়েছিল, জ্বলেছে ফ্লাডলাইট। বিরতির সময়ে চলে আসে বৃষ্টি। গুঁড়ি গুঁড়ি ওই বৃষ্টি বেশিক্ষণ থাকেনি। মাঠ শুকাতেও তেমন সময় লাগেনি তাই।
খেলার অবস্থা তো নিশ্চয়ই জানেন- টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ২ উইকেট হারিয়ে ৮৪ রান করেছে বাংলাদেশ। অধিনায়ক নাজমুল ৪৩ বলে ৩০ ও মুমিনুল হক অপরাজিত আছেন ৪৬ বলে ২১ রানে।
পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে চা বিরতিও। বেলা ৩-১০ মিনিটে দেওয়া হবে বিরতি।
আউট হয়ে গেলেন নাজমুল
মুজারাবানির শর্ট বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ দিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। নাজমুল আউট হয়েছেন ৪০ রানে। বাংলাদেশের রান ৩ উইকেটে ৯৮।
ওহ! সিলেটে কিন্তু এখন একটু মেঘও নেই। আকাশ ঝকঝকে পরিষ্কার। ফ্লাডলাইট বন্ধ হয়ে গেছে। উল্টো দেখা যাচ্ছে তপ্ত রোদ।
হতাশ করলেন মুশফিক
সাদামাটা বল। মুশফিকের মতো ব্যাটসম্যান চাইলে মাঠের যেকোনো জায়গায় মারতে পারতেন। অথচ বাঁহাতি স্পিনার ওয়েলিংটন মাসাকাদজার শর্ট বলে মিডউইকেটে ক্যাচ তুলে দিলেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। বাংলাদেশের রান ৪ উইকেটে ১২৩। মুশফিক ফিরেছেন ৪ রান করে।
৬ বলের মধ্যে দুজন আউট
সকাল থেকেই এক প্রান্ত আগলে রাখছিলেন মুমিনুল হক। কিন্তু ফিফটির পর ধৈর্য ধরে রাখতে পারলেন না। শুধু মুমিনুলই নন, তাঁর আউটের পর যিনি নেমেছিলেন, সেই মিরাজও আউট দ্রুতই।
ক্যারিয়ারের ২২তম ফিফটি করা মুমিনুল ওয়েলিংটন মাসাকাদজার বলে মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়েছেন (১০৫ বলে ৫৬)। পরের ওভারে মুজারাবানির শর্ট বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ মিরাজের (৪ বলে ১)।
নতুন ব্যাটসম্যান তাইজুল ইসলাম, সঙ্গে জাকের আলী। বাংলাদেশ ৬ উইকেটে ১৩৮।
তাইজুলও মাসাকাদজার শিকার
মুশফিক ও মুমিনুলের পর তাইজুলও ফিরলেন মাসাকাদজার স্পিনে। উইকেটকিপারের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি (১৯ বলে ৩)। বাংলাদেশ দলের রান ৭ উইকেটে ১৪৬।
অস্বস্তি নিয়ে চা বিরতিতে বাংলাদেশ
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৫০ ওভারে ১৫৪/৭ (মুমিনুল ৫৬, নাজমুল ৪০; মাসাকাদজা ৩/৭)।
২ উইকেটে ৯৮ রান করা বাংলাদেশ পরের ৫৬ রান করতে হারিয়েছে ৫ উইকেট। একে একে ফিরে গেছেন নাজমুল, মুমিনুল, মুশফিকুররা। মুশফিক, মুমিনুলের মতো অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানেরা উইকেট অনেকটা উপহার দিয়েছেন। দুজনেই মাসাকাদজার বলে ক্যাচ দিয়েছেন। নাজমুল আর মেহেদী হাসান মিরাজ আউট হন মুজারাবানির শর্ট বলে। তাইজুলকেও ফিরেছেন মাসাকাদজা।
এই সেশনে খেলা হয়েছে ২৬ ওভারে। ৭০ রান তুলতে বাংলাদেশ উইকেট হারিয়েছে ৫টি। জিম্বাবুয়ের হয়ে সবচেয়ে বেশি ভুগিয়েছেন ওয়েলিংটন মাসাকাদজা। এই বাঁহাতি স্পিনার ৬ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৩ মেডেনে মাত্র ৭ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট।
জাকের আলী ১০, হাসান মাহমুদ ৪ রানে অপরাজিত আছেন।
হলো না…
বাংলাদেশ: ১৯১/৯
টপ অর্ডারদের ব্যর্থতার পর জাকের আলী লড়ছিলেন হাসান মাহমুদকে নিয়ে। তাঁদের ওই লড়াইটাও দীর্ঘ হলো না। হাসান মাহমুদ আউট হয়ে গেছেন। ৩০ বলে ১৯ রান করে ব্লেসিং মুজারাবানির বলে বোল্ড হয়েছেন তিনি। জাকের আলির সঙ্গে ৬৭ বলে ৪১ রানের জুটি ভেঙে গেছে তাতে। এরপর আউট হয়েছেন জাকেরও (৫৯ বলে ২৮)। মাধেভেরের বলে ক্যাচ তুলে দিয়েছেন তিনি বেন কারানের হাতে।
১৯১ রানে থামল বাংলাদেশের প্র্রথম ইনিংস
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৬১ ওভারে ১৯১ (মুমিনুল ৫৬, নাজমুল ৪০, জাকের ২৮, হাসান ১৯, মাহমুদুল ১৪; মাসাকাদজা ৩/২১, মুজারাবানি ৩/৫০, মাধেভেরে ২/২)।
ওভারের দ্বিতীয় বলে জাকের আলী, ষষ্ঠ বলে নাহিদ রানা—পাঁচ বলের মধ্যে বাংলাদেশের শেষ দুই উইকেট তুলে নিলেন মাধেভেরে। বাংলাদেশ দলের প্রথম ইনিংস থেমে গেল ১৯১ রানে।
জিম্বাবুয়ের ভালো শুরু
জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংস: ৫ ওভারে ২৭/০
সাবধানী শুরুর পরও প্রথম ৫ ওভারে ২৭ রান তুলে ফেলেছেন জিম্বাবুয়ের ওপেনাররা। এতে দায় আছে বাংলাদেশের বোলারদেরও। ২৭ রানের মধ্যে ৯ রান এসেছে ‘অতিরিক্ত খাত’ থেকে।
শুরুতে বোলিংয়ে আসা নাহিদ রানা ও খালেদ আহমেদ এখন পর্যন্ত বেন কারেন ও ব্রায়ান বেনেটকে বড় ধরনের পরীক্ষায় ফেলতে পারেননি।
৫০ পেরিয়ে জিম্বাবুয়ে
জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংস: ১১ ওভারে ৫৯/০
দারুণ ব্যাটিং করছেন বেন কারেন ও ব্রায়ান বেনেট। বাংলাদেশের বোলারদের তেমন কোনো সুযোগ না দিয়ে উদ্বোধনী জুটিতে ফিফটি পার করে ফেলেছেন তাঁরা।
প্রথম ৫ ওভারে হাসান মাহমুদ ও নাহিদ রানা উইকেট এনে দিতে পারেননি। বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন তাই দ্রুতই বোলিংয়ে পরিবর্তন এনেছেন। কিন্তু খালেদ আহমেদ ও মেহেদী হাসান মিরাজও সুযোগ তৈরি করতে পারছেন না।
সিলেটে জিম্বাবুয়ের দিন
জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংস: ১৪.১ ওভারে ৬৭/০
আলোকস্বল্পতার কারণে সিলেট টেস্টের প্রথম দিন কিছুটা আগেই শেষ হয়েছে। দিনটা পুরোপুরি নিজেদের করে নিয়েছে জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশকে ১৯১ রানে গুটিয়ে দেওয়া পর বিনা উইকেটে ৬৭ রান তুলেছেন জিম্বাবুয়ের দুই ওপেনার ব্রায়ান বেনেট ও বেন কারেন। ১০ উইকেট হাতে নিয়ে প্রথম ইনিংসে ১২৪ রানে পিছিয়ে সফরকারীরা।
কাল খেলা শুরু ১৫ মিনিট আগে...
সিলেটে টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন। কিন্তু দুই ওপেনার মাহমুদুল হাসান ও সাদমান ইসলাম বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। তৃতীয় উইকেটে নাজমুল ও মুমিনুল হক ৬৬ রানের জুটি গড়ে প্রাথমিক বিপর্যয় থেকে উদ্ধান করেন।
তবে এই জুটি ভাঙতেই যেন বাংলাদেশের ইনিংসে মড়ক লাগে। সফরকারী বোলারদের দারুণ বোলিংয়ে স্বাগতিকেরা ৯৩ রানে শেষ ৮ উইকেট হারায়। অলআউট হয় ১৯১ রানে। ফিফটি পেরোনো মুমিনুল ও ২৮ রান করা জাকের আলী একবার করে ‘জীবন’ না পেলেও এই রানটুকুও হতো না বাংলাদেশের।
মাঝে একবার বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ ছিল। এ কারণেই আজ অন্তত ১৩ ওভার কম খেলা হয়েছে।
প্রথম ইনিংস শুরু করতে নেমে বাংলাদেশের বোলারদের সহজেই সামলেছেন জিম্বাবুয়ের দুই ওপেনার বেন কারেন ও ব্রায়ান বেনেট। বিনা উইকেটে তাঁরা তুলে ফেলেছেন ৬৭ রান। দিন শেষে জিম্বাবুয়ে পিছিয়ে ১২৪ রানে।
আজ বৃষ্টিতে কয়েক ওভার নষ্ট হওয়ায় আগামীকাল দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু হবে ১৫ মিনিট আগে, অর্থাৎ সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে। কাল আবার সরাসরি ধারাবিবরণী নিয়ে হাজির হবে প্রথম আলো। ততক্ষণ পর্যন্ত বিদায়!
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৬১ ওভারে ১৯১ (মাহমুদুল ১৪, সাদমান ১২, মুমিনুল ৫৬, নাজমুল ৪০, মুশফিক ৪, জাকের ২৮, মিরাজ ১, তাইজুল ৩, হাসান ১৯, খালেদ ৪*, নাহিদ রানা ০; মুজারাবানি ৩/৫০, মাসাকাদজা ৩/২১, মাধেভেরে ২/২, নয়াউচি ২/৭৪, এনগারাভা ০/৩৭)। জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংস: ১৪.১ ওভারে ৬৭/০ (বেনেট ৪০*, কারেন ১৭*; হাসান ০/১৬, নাহিদ রানা ০/২১, খালেদ ০/১১, মিরাজ ০/১০)। * ১ম দিন শেষে ১২৪ রানে পিছিয়ে জিম্বাবুয়ে।
আবারও স্বাগত
আজ বাংলাদেশ–জিম্বাবুয়ে সিলেট টেস্টের দ্বিতীয় দিন। গতকালের ধারাবাহিকতায় আজও ম্যাচের সরাসরি ধারাবিবরণী পাবেন এখানে। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম থেকে মাঠ ও মাঠের বাইরের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানাবেন প্রথম আলোর প্রতিবেদক মাহমুদুল হাসান ও শাওন শেখ।
হাথুরুর দাবি!
সাবেক প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে বাংলাদেশ ছেড়েছেন গত অক্টোবরে। আট মাস পর বাংলাদেশ থেকে চলে যাওয়া নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করেছেন তিনি। বলেছেন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঢাকা থেকে পালাতে হয়েছিল তাঁকে। কথা বলেছেন তাঁর সঙ্গে বাংলাদেশ দলে কাজ করা রঙ্গনা হেরাথ আর নিক পোথাসও।
এ নিয়ে প্রতিবেদন পড়ুন এখানে:
দ্বিতীয় দিন শুরুর আগে আবহাওয়া কেমন?
সিলেটে অবস্থানরত প্রথম আলো প্রতিবেদক জানিয়েছেন, সকাল থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি ছিল শহরে। এখন তা নেই। তবে আকাশ মেঘে ঢাকা। বৃষ্টি নামবে নামবে অবস্থা। তবে বৃষ্টি না হলে খেলা শুরু হওয়ার কথা ঠিক সময়েই!
মনে আছে নিশ্চয়ই, গতকালও বৃষ্টির কারণে মধ্যাহ্নভোজের বিরতি আধা ঘণ্টা বেড়ে গিয়েছিল। আজও বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ থাকার সম্ভাবনা আছে পূর্বাভাসে।
গতকাল যা ঘটেছিল
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৬১ ওভারে ১৯১ (মুমিনুল ৫৬, নাজমুল ৪০, জাকের ২৮; মাসাকাদজা ৩/২১,মুজারাবানি ৩/৫০, মাধেভেরে ২/২)। জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংস: ১৪.১ ওভারে ৬৭/০ (বেনেট ৪০*, কারেন ১৭*; হাসান ০/১৬, নাহিদ রানা ০/২১, খালেদ ০/১১, মিরাজ ০/১০)। * ১ম দিন শেষে ১২৪ রানে পিছিয়ে জিম্বাবুয়ে।
প্রথম দিনে স্পষ্টতই এগিয়ে ছিল জিম্বাবুয়ে। দিন শেষের প্রতিবেদনেই পড়ুন: জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও এই দশা: কী বলবেন নাজমুল–মুশফিকরা
নাহিদের প্রথম আঘাত, জিম্বাবুয়ে ৬৯/১
ম্যাচে ফিরতে হলে দিনের শুরুটা ভালো করতে হতো বাংলাদেশের। নাহিদ রানার কল্যাণে আপাতত শুরুটা ভালোই হলো নাজমুল হোসেনের দলের। দিনের তৃতীয় ওভারে বেন কারেনকে ফিরিয়েছেন এই পেসার। তাঁর বাউন্সারে শর্ট লেগে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন কারেন। করেছেন ৫৫ বলে ১৮ রান।
এবার নাহিদের শিকার বেনেট, জিম্বাবুয়ে ৮৮/২
অফ স্টাম্পের কিছুটা বাইরে, ভালো লেংন্থের বল। বেনেট স্কয়ার কাট করার চেষ্টা করেছিলেন। বাইরের কানায় লেগে ক্যাচ গেল উইকেটের পেছনে জাকের আলীর কাছে। ৫৭ রানে ফিরলেন জিম্বাবুইয়ান ব্যাটসম্যান।
হাসানের শিকার ওয়েলচ, জিম্বাবুয়ে ৮৮/৩
নাহিদের পর এবার আঘাত হানলেন হাসান মাহমুদ। দুর্দান্ত এক ইনসুইংয়ে অফ স্টাম্প উড়ে গেল নিক ওয়েলচের। দিনের শুরুটা দারুণ হলো বাংলাদেশের।
রিভিউ নিয়ে আরভিনকে ফেরাল বাংলাদেশ, জিম্বাবুয়ে ১২৯/৪
নাহিদ রানার তৃতীয় উইকেট! ব্যাক অফ আ লেন্থ ডেলিভারি ছুঁয়ে গিয়েছিল আরভিনের ব্যাটের কানা। আরভিন ব্যাট সরিয়ে নিতে চেয়েছিলেন, পারেননি। বাংলাদেশের হালকা আবেদনে প্রথমে সাড়া দেননি আম্পায়ার। তবে রিভিউ নেন নাজমুল। আল্ট্রাএজে স্পষ্ট স্পাইক দেখা গেল। আরভিন আউট!
ভালো রিভিউ। ভাঙল জিম্বাবুয়ের ৪১ রানের জুটি।
৪ উইকেটে ১৩৩ রান নিয়ে লাঞ্চে জিম্বাবুয়ে, পিছিয়ে ৫৮ রানে
প্রথম সেশনের বিস্তারিত রিপোর্ট পড়ুন এখানে
লিডের পথে জিম্বাবুয়ে, স্কোর ১৭০/৪
প্রথম সেশনে ৪টা উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়েছিল জিম্বাবুয়ে। তবে দ্বিতীয় সেশনে উইলিয়ামস-মাধেভেরে জুটিতে ভালোই প্রতিরোধ গড়েছে তারা। এরই মধ্যে দুজনের জুটি হয়ে গেছে ৪০ রানেরও বেশি। লিড নেওয়ার পথেই এগোচ্ছে অতিথিরা। উইলিয়ামস ব্যাট করছেন ৫৪ রানে, মাধেভেরে অপরাজিত ১৯ রানে।
জুটি ভাঙলেন খালেদ
জিম্বাবুয়ে ১৭৭/৫।
অবশেষে ভাঙল কাঁটা হয়ে থাকা উইলিয়ামস–মাধেভেরে জুটি। খালেদ আহমেদের ভেতরে ঢোকা বলে ইনসাইড এজ্ড হয়েছেন মাধেভেরে (৩৩ বলে ২৪)। ভেঙেছে উইলিয়ামস–মাধেভেরের ৪৮ রানের পঞ্চম উইকেট জুটি।
এই উইকেটের সঙ্গে দিনের দ্বিতীয় সেশনের পানি পানের বিরতি দেওয়া হয়েছে।
জিম্বাবুয়ের লিড, ১৯২/৫
বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের ১৯১ রান টপকে গেছে জিম্বাবুয়ে। ইনিংসের ৫৩তম ওভারে মিরাজের বলে মায়াভোর চারে জিম্বাবুয়ের রান হয়েছে ৫ উইকেটে ১৯২। মায়াভো ১৩ এবং উইলিয়ামস ৫৮ রানে অপরাজিত।
চা বিরতিতে জিম্বাবুয়ের লিড ২২ রানের
জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংস: ২১৩/৬ (মায়াভো ৩১*, মাসাকাদজা ২*; নাহিদ ৩/৫৬)।
শন উইলিয়ামস ফেরাতেই কিছুটা স্বস্তি। ইনিংসের ৫৫তম ওভারে মেহেদী হাসান মিরাজের বলে লং অফ দিয়ে ছক্কা মারার প্রচেষ্টায় মাহমুদুল হাসানের কাছে ক্যাচ দিয়েছেন এই বাঁহাতি। ফিরেছেন ৫৯ রান করে। ওপেনার ব্রায়ান বেনেটের ফিফটির পর উইলিয়ামসের এই ইনিংসে ভর করে প্রথম ইনিংসে লিড নিয়েছে জিম্বাবুয়ে।
দ্বিতীয় সেশন শেষে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ২১৩ রান। এগিয়ে আছে ২২ রানে। এই সেশনে খেলা হয়েছে ২৬ ওভার, ২ উইকেট হারিয়ে জিম্বাবুয়ে করেছে ৮০ রান।
উইলিয়ামস ছাড়া দ্বিতীয় সেশনে আউট হয়েছেন ওয়েসলি মাধেভেরে। তাঁকে ফিরিয়েছেন সকাল থেকেই দারুণ বোলিং করে আসা পেসার খালদে আহমেদ। খালেদের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ব্যাক ফুটে খেলতে গিয়ে ইনসাইড এজ হয়ে বোল্ড হয়েছেন মাধেভেরে।
মিরাজ সরালেন মায়াভো–কাঁটা
জিম্বাবুয়ে ২১৮/৭
চা বিরতির পর তৃতীয় ওভারে জিম্বাবুয়ের সপ্তম উইকেট তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। কাঁটা হয়ে ওঠা মায়াভোকে এলবিডব্লিউতে ফিরিয়েছেন মিরাজ (৫৪ বলে ৩৫)। এটি তাঁর দ্বিতীয় উইকেট।
মাসাকাদজাও ফিরলেন
জিম্বাবুয়ে ২২৩/৮
জিম্বাবুয়ের অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হয়েছেন ওয়েলিংটন মাসাকাদজা। মিরাজের বলে শর্ট কাভারে নাজমুলের হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে করেছেন ৬ রান। নাহিদের মতো মিরাজেরও এখন ৩টি উইকেট।
প্রথম ইনিংসে ৮২ রানের লিড জিম্বাবুয়ের
জিম্বাবুয়ে প্রথম ইনিংস: ৮০.২ ওভারে ২৭৩ (উইলিয়ামস ৫৯, বেনেট ৫৭, মায়াভো ৩৫, এনগারাভা ২৮*; মিরাজ ৫/৫২, নাহিদ ৩/৭৪)। বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ১৯১। * জিম্বাবুয়ে প্রথম ইনিংসে ৮২ রানে এগিয়ে।
তাইজুল ইসলাম একটি উইকেটও পাননি। তবে জিম্বাবুয়ের শেষ উইকেট–পতনে অবদান রাখলেন ক্যাচ ধরে। মিরাজের বলে ক্যাচ তুলেছিলেন নিয়াউচি, তাইজুলের ক্যাচে থেমেছে জিম্বাবুয়ের প্রথম ইনিংস।
২৭৩ রান করেছে জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশের চেয়ে লিড নিয়েছ ৮২ রানের। জিম্বাবুয়ের শেষ উইকেট নেওয়া মিরাজ ইনিংস শেষ করেছেন ৫২ রানে ৫ উইকেট নিয়ে। ২০২২ সালের ডিসেম্বরের পর এই প্রথম দেশের মাটিতে ৫ উইকেট নিলেন মিরাজ।
রিভিউ নষ্ট জিম্বাবুয়ের
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: ৩ ওভারে ৯/০
খালি চোখেই বোঝা যাচ্ছিল, বলটা লেগ স্টাম্পের বাইরে দিয়ে চলে গেছে। তবু অতিউৎসাহী হয়ে তৃতীয় ওভারের শেষ বলটা রিভিউ নিল জিম্বাবুয়ে। কিন্তু সেটা নষ্টই হলো। টিকে গেলেন বাংলাদেশ ওপেনার মাহমুদুল হাসান।
ক্যাচিং প্র্যাকটিস!
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: ৪ ওভারে ১৩/১
সিলেট টেস্টে যেন জিম্বাবুয়ের ফিল্ডারের ক্যাচিং প্র্যাকটিস করাতে খেলছেন সাদমান ইসলাম। প্রথম ইনিংসে ভিক্টর নিয়াউচির বলে গালিতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছিলেন ১২ রান করে, দ্বিতীয় ইনিংসে করতে পারলেন মাত্র ৪ রান। ব্লেসিং মুজারাবানির অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ক্যাচ দিলেন দ্বিতীয় স্লিপে।
সাদমান আউট হওয়ার পর ব্যাটিংয়ে নেমেছেন মুমিনুল হক।
কিপারের ক্যাচ মিসে বাঁচলেন মাহমুদুল
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: ৬ ওভারে ২৭/১
জিম্বাবুয়ের পেসারদের সামনে দ্বিতীয় ইনিংসেও খাবি খেতে শুরু করেছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। ব্লেসিং মুজারাবানির লাফিয়ে ওঠা বলটা মাহমুদুল হাসানের গ্লাভস ছুঁয়ে গিয়েছিল উইকেটকিপার নিয়াশা মায়াভোর হাতে।
কিন্তু সহজ ক্যাচ হাতছাড়া করে মায়োভো শুধু মাহমুদুলকে ‘জীবন’ই দিলেন না, বাউন্ডারিও উপহার দিলেন।
ওভারের শেষ বলে মিড অফ দিয়ে চার মেরে অবশ্য থিতু হওয়ার আভাস দিলেন মাহমুদুল।
৫০ পেরিয়ে বাংলাদেশ
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: ১১ ওভারে ৫১/১
আর রয়েসয়ে নয়, কিছু হাত খুলে খেলতে শুরু করেছেন মাহমুদুল হাসান ও মুমিনুল হক। সর্বশেষ ৫ ওভারে দুজন মিলে মেরেছেন পাঁচটি চার। তাতে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫০ পেরিয়ে গেছে, এখন লিড নেওয়ার পথে। লিড নিতে প্রয়োজন আরও ৩২ রান।
ম্যাচে ফেরার আভাস দিয়ে রাখল বাংলাদেশ
সিলেট টেস্টে কাল প্রথম দিনটা যদি হয় জিম্বাবুয়ের, তাহলে আজ দ্বিতীয় দিনটা নিশ্চিতভাবেই বাংলাদেশের। ৯ উইকেট হাতে নিয়ে সফরকারীদের চেয়ে ২৫ রানে পিছিয়ে থেকে দিন শেষ করল স্বাগতিকেরা।
দ্বিতীয় ইনিংসকে সাদমান ইসলামকে দ্রুত হারালেও মাহমুদুল হাসান ও মুমিনুল হক আর ক্ষতি হতে দেননি। ১৩ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ১ উইকেটে ৫৭। মাহমুদুল ২৮ ও মুমিনুল ১৫ রান নিয়ে আগামীকাল তৃতীয় দিন শুরু করবেন।
আলোকস্বল্পতায় গতকালের মতো আজও অন্তত ১০ ওভার কম খেলা হয়েছে।
এর আগে বিনা উইকেটে ৬৭ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু করা জিম্বাবুয়ে আজ ২৭৩ রানে অলআউট হয়, প্রথম ইনিংসে ৮২ রানের লিড নেয়।
বাংলাদেশের বোলাররা এ দিন দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ান। ক্যারিয়ারে ১১তম বারের মতো ইনিংসে ৫ উইকেট নেন মেহেদী হাসান মিরাজ। নাহিদ রানার শিকার ৩টি।
তৃতীয় দিনে লিড নেওয়ার পর জিম্বাবুয়েকে নিশ্চয় বড় লক্ষ্য দিতে চাইবে বাংলাদেশ। আগামীকাল সকালে আবারও সরাসরি ধারাবিবরণী নিয়ে হাজির হবে প্রথম আলো। ততক্ষণ পর্যন্ত বিদায়!
বাংলাদেশ: ১৯১ ও ১৩ ওভারে ৫৭/১ (মাহমুদুল ২৮*, মুমিনুল ১৫*, সাদমান ৪; মুজারাবানি ১/২১)। জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংস: ৮০.২ ওভারে ২৭৩ (উইলিয়ামস ৫৯, বেনেট ৫৭, মায়াভো ৩৫, এনগারাভা ২৮*; মিরাজ ৫/৫২, নাহিদ ৩/৭৪, খালেদ ১/৩০, হাসান ১/৫৫)। * দ্বিতীয় দিন শেষে বাংলাদেশ ২৫ রানে পিছিয়ে।
তৃতীয় দিনের ধারা বিবরণীতে স্বাগতম
সিলেট টেস্টের তৃতীয় দিনের ধারা বিবরণীতে স্বাগতম সবাইকে।
এখন পর্যন্ত এই টেস্টের অবস্থা সবাইকে অল্প কথায় জানিয়ে দেওয়া যাক। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ অলআউট হয়েছিল ১৯১ রানে। জবাবে জিম্বাবুয়ে প্রথম ইনিংসে অলআউট হয় ২৭৩ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ গতকাল টেস্টের দ্বিতীয় দিনটা শেষ করেছে ১ উইকেটে ৫৭ রান তুলে। সাদমান ইসলাম আউট হয়ে গেছেন ৪ রান করে। ক্রিজে আছেন মাহমুদুল হাসান, ২৮ রানে ব্যাট করছেন তিনি। মুমিনুল ব্যাট করছেন ১৫ রানে।
সিলেট থেকে আমাদের সঙ্গে এই ধারা বিবরণীতে সরাসরি যুক্ত থাকবেন প্রথম আলোর দুই প্রতিনিধি শাওন শেখ ও মাহমুদুল হাসান। মাঠে আছেন আমাদের আলোকচিত্রী শামসুল হকও।
সিলেটে বৃষ্টি
গত দু দিনও মেঘ ছিল। কিন্তু এতটা বৃষ্টি নামেনি। আজ বৃষ্টি শুরু হয়েছে সকাল থেকেই। ঝোড়ো কিছু নয়, কিন্তু বাইরে দাঁড়িয়ে থাকলে ভিজে যাবেন এমন বৃষ্টি। বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিন শুরু হতে যে তাই দেরি হচ্ছে, তা তো আর আলাদা করে বলার প্রয়োজন নেই।
সিলেট থেকে জানালেন মাহমুদুল হাসান।
বিটিভিতে আধুনিক গান
বৃষ্টিতে খেলা শুরু হতে দেরি। সিলেট টেস্ট যারা সম্প্রচার করছে, সেই বিটিভিতে তাই এখন চলছে আধুনিক গানের অনুষ্ঠান।
পরবর্তী আপডেট আসার আগ পর্যন্ত তাই আমরাও একটু বিরতি নিচ্ছি। সকালের ব্যস্ততার ফাঁকে যদি সময় থাকে, তাহলে পড়তে পারেন আজ প্রথম আলোতে প্রকাশিত লিটন দাসের দারুণ একটা সাক্ষাৎকার। লিংক দেওয়া হলো নিচে:
এক ঘণ্টা পেরিয়ে গেল
বৃষ্টিতে সিলেট টেস্টের তৃতীয় দিনের প্রথম ঘণ্টা ভেসে গেল। এখনো মাঠ কাভারে ঢাকা। সহসা সরবে, ওই সম্ভাবনাও আপাতত দেখা যাচ্ছে না। তবে বৃষ্টি খুব একটা নেই, বলতে গেলে ফোঁটা ফোঁটা। প্রথম সেশনটা হয়তো এভাবেই কেটে যাবে।
খেলা দেখার অপেক্ষার মাঝে পড়তে পারেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর ছেলে-মেয়েদের জীবন নিয়ে প্রথম আলোতে আজ প্রকাশিত একটি লেখা। লিংক দেওয়া হলো নিচে:
মাঠের কিছু ছবি
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে এখন কী হচ্ছে, বোঝা যাবে আমেদের আলোকচিত্রী শামসুল হকের তোলা কিছু ছবিতে। চলুন দেখে আসি:
কাভার সরে গেছে
সকালে শুরু হওয়া বৃষ্টি অবশেষে থেমেছে। সিলেটের আকাশে উঁকি দিয়েছে রোদ। সরে গেছে উইকেট ঢেকে রাখার কাভারও। মাঠের এক পাশে নক করতে নেমে গেছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। মাঠ শুকানোর কাজ পর্যবেক্ষণ করছেন রিজার্ভ আম্পায়ার তানভীর আহমেদ। তবে খেলা কখন শুরু হবে, তা জানা যায়নি এখনো।
অবশেষে জানা গেল খেলা শুরুর সময়
বৃষ্টিতে সিলেট টেস্টের তৃতীয় দিনের প্রথম সেশন ভেসে গেছে। তবে আশার কথা, এখন আকাশে রোদ। মাঠ শুকানোর কাজ শুরু হয়েছিল আগেই, এবার জানা গেল খেলা শুরুর সময়। দুপুর একটায় শুরু হবে খেলা। চা বিরতি হবে ৩টা ২০ মিনিটে।
অবশেষে শুরু খেলা
৩ ঘন্টা পর অবশেষে শুরু হলো সিলেট টেস্টের তৃতীয় দিনের খেলা। ১ উইকেটে ৫৭ রান নিয়ে দিন শুরু করল বাংলাদেশ। মাহমুদুল হাসান ২৮ ও মুমিনুল হক ১৫ রানে দিনের খেলা শুরু করেছেন।
শর্ট বলেই ফিরলেন মাহমুদুল, বাংলাদেশ ৭৬/২
শর্ট বলে বেশ কিছুক্ষণ ধরেই ভুগছিলেন মাহমুদুল। জিম্বাবুয়েও তাঁকে এই ফাঁদেই ফেলার চেষ্টা করছিল। মাহমুদুল ফাঁদে পড়লেনও। মুজারাবানির শর্ট বল খেলতে গিয়ে বল তাঁর গ্লাভসে লেগে গেল প্রথম স্লিপে ক্রেইগ আরভিনের হাতে। ৬৫ বলে ৩৩ করে ফিরলেন বাংলাদেশ ওপেনার।
বাংলাদেশ ২৫ ওভারে ১০৫/২
তৃতীয় উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ২৮ রানের জুটি গড়েছেন নাজমুল ও মুমিনুল। নাজমুল ২৬ এবং মুমিনুল ৩২ রানে ব্যাট করছেন। ২৩ রানের লিড নিয়েছে বাংলাদেশ।
অফ স্পিনার ওয়েলিংটন মাসাকাদজার করা ২৬তম ওভারের তৃতীয় বলে উইকেটকিপার মায়াভোকে ক্যাচ দিয়েছিলেন নাজমুল। বল গ্লাভসে রাখতে পারেননি মায়াভো।
বাংলাদেশ ২৯ ওভারে ১১৮/২
পানি পানের বিরতি।
তৃতীয় উইকেটে ৪৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েছেন নাজমুল ও মুমিনুল। ৩০ রানে ব্যাট করছেন নাজমুল। ৩২ রানে অন্য প্রান্তে অপরাজিত মুমিনুল। দুই ইনিংস মিলিয়ে ৩৬ রানের লিড নিয়েছে বাংলাদেশ।
জুটির ৫০
নাজমুল হেসেন ও মুমিনুল হকের জুটিতে এল ৫০ রান। ৫৯ বল খেলতে হয়েছে তাঁদের। ৬৭ বলে ৩৪ রানে মুমিনুল ও ৩৫ বলে ৩১ রানে অপরাজিত নাজমুল। প্রথম ইনিংসেও পঞ্চাশ পেরোনো জুটি গড়েছিলেন তাঁরা দুজন৷
ফিফটি হলো না মুমিনুলের
৪৭ রানে আউট!
৩৪তম ওভারে নিয়াউচির শেষ বলে উইকেটকিপার মায়াভোর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন মুমিনুল। ভালোই ব্যাট করছিলেন। কিন্তু উঠে আসা বলটি ঠিকমতো খেলতে পারেননি। বল তাঁর ব্যাটের কানা ছুঁয়ে উইকেটকিপারের হাতে জমা পড়ে। ৮৪ বলের ইনিংসে ৬টি চার মেরেছেন।
এর মধ্য দিয়ে তৃতীয় উইকেটে নাজমুলের সঙ্গে মুমিনুলের ৬৫ রানের জুটিরও ইতি ঘটল। ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম।
বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংস: ৩৫ ওভারে ১৩৮/৩। ৫৬ রানের লিড নিয়েছে বাংলাদেশ।
৪ রানে আউট মুশফিক, চা বিরতি
২০ বল খেলে ব্যক্তিগত ৪ রানে প্রথম স্লিপে আরভিনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন মুশফিকুর রহিম। ৪১.৪ ওভারে তাঁকে ফিরিয়েছেন জিম্বাবুয়ে পেসার মুজারাবানি। চা বিরতিতে গিয়েছে দুই দল।
দ্বিতীয় সেশনে ৩ উইকেট হারিয়ে ৯৮ রান তুলেছে বাংলাদেশ। ২৮.৪ ওভারের খেলা হয়েছে এই সেশনে।
৪৪ রানে অপরাজিত নাজমুল।
বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংস: ৪১.৪ ওভারে ১৫৫/৪। ৭৩ রানের লিড নিয়েছে বাংলাদেশ।
নাজমুলের ফিফটি
চা বিরতির পর ফিরে ফিফটি করেছেন নাজমুল হোসেন। আলোকস্বল্পতায় খেলা বন্ধ থাকার আগে ১০৩ বলে ৬০ রান করে অপরাজিত ছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। তাঁর সঙ্গী জাকের আলীর রান ২১।
বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংস: ৫৭ ওভারে ১৯৪/৪। ১১২ রানের লিড নিয়েছে বাংলাদেশ।
সারা দিনে ৪৪ ওভার, বাংলাদেশ এগিয়ে ১১২ রানে
বৃষ্টি, ভেজা মাঠ, আলোকস্বল্পতা—সিলেটে আজ খেলোয়াড়দের চেয়ে প্রকৃতিই যেন বেশি খেলেছে! টেস্টের তৃতীয় দিনে খেলা হয়েছে মাত্র ৪৪ ওভার। বাংলাদেশ দিন শেষ করেছে ১১২ রানে এগিয়ে থেকে।
মাঠ ভেজা থাকায় প্রথম সেশনে একটি বলও হয়নি। অবশেষে নির্ধারিত সময়ের তিন ঘণ্টা পর শুরু হয় খেলা।
১ উইকেটে ৫৭ রান নিয়ে দিন শুরু করা বাংলাদেশ আজ আরও ৩ উইকেট হারিয়ে যোগ করেছে ১৩৭ রান। মুমিনুল হক ও মাহমুদুল হাসান দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে যোগ করেন ৬০ রান। এরপর অধিনায়ক নাজমুল হাসানের সঙ্গে মুমিনুলের জুটি থেকে এসেছে আরও ৬৫ রান। এই জুটি গড়ার পথেই লিড নেয় বাংলাদেশ।
মুমিনুল ৪৭ রান করে আউট হলেও নাজমুল ৬০ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছেড়েছেন। তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন জাকের আলী (২১*)। তবে অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম ব্যাট হাতে প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যর্থ হয়েছেন।
জিম্বাবুয়ের ব্লেসিং মুজারাবানি ৩ উইকেট নিয়েছেন, অন্য উইকেটটি ভিক্টর নিয়াউচির।
আগামীকাল সকালে চতুর্থ দিনের সরাসরি ধারাবিবরণী নিয়ে হাজির হবে প্রথম আলো। ততক্ষণ পর্যন্ত বিদায়!
বাংলাদেশ: ১৯১ ও ৫৭ ওভারে ১৯৪/৪ (নাজমুল ৬০*, মুমিনুল ৪৭, মাহমুদুল ৩৩, জাকের ২১*, সাদমান ৪, মুশফিক ৪; মুজারাবানি ৩/৫১, নিয়াউচি ১/২৮, মাসাকাদজা ০/১৩)। জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংস: ৮০.২ ওভারে ২৭৩ (উইলিয়ামস ৫৯, বেনেট ৫৭, মায়াভো ৩৫, এনগারাভা ২৮*; মিরাজ ৫/৫২, নাহিদ ৩/৭৪, খালেদ ১/৩০, হাসান ১/৫৫)। * তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশ ১১২ রানে এগিয়ে।
চতুর্থ দিনে স্বাগতম
আলোকস্বল্পতায় তৃতীয় দিনের খেলা আগেভাগেই শেষ হয়ে গিয়েছিল। চতুর্থ দিনের সকালেও খেলা শুরু হতে দেরি হচ্ছে বৃষ্টির কারণে। সকালে ছিল ঝোড়ো বৃষ্টি। এখন তা নেই। তবে ৯টা ৪৫ মিনিটে খেলা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা হচ্ছে না। দশটায় পর্যবেক্ষণ করা হবে মাঠ।
এখন পর্যন্ত সিলেট টেস্টের কী অবস্থা জানতে দেখতে পারেন সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ড:
বাংলাদেশ: ১৯১ ও ৫৭ ওভারে ১৯৪/৪ (নাজমুল ৬০*, মুমিনুল ৪৭, মাহমুদুল ৩৩, জাকের ২১*, সাদমান ৪, মুশফিক ৪; মুজারাবানি ৩/৫১, নিয়াউচি ১/২৮, মাসাকাদজা ০/১৩)। জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংস: ৮০.২ ওভারে ২৭৩ (উইলিয়ামস ৫৯, বেনেট ৫৭, মায়াভো ৩৫, এনগারাভা ২৮*; মিরাজ ৫/৫২, নাহিদ ৩/৭৪, খালেদ ১/৩০, হাসান ১/৫৫)। * তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশ ১১২ রানে এগিয়ে।
চলছে মাঠ প্রস্তুতির কাজ
সিলেটে কী হচ্ছে
দুই দল তাদের ডাগ আউটের সামনে ওয়ার্ম আপ করছে। মাঠকর্মীরা প্রস্তুত করছেন মাঠ। দুই দিকেই নেট টানানো আছে। নকিং বা ফিল্ডিং অনুশীলন করার জন্য তৈরি হচ্ছেন কোচিং স্টাফের সদস্যরা। এর মধ্যেই উইকেট দেখে গেছেন বাংলাদেশের সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন।
আকাশে একটু রোদ উঁকি দিলেও এখনো মেঘ কাটেনি পুরোপুরি। রিজার্ভ আম্পায়ার তানভীর আহমেদ দেখভাল করছেন মাঠ প্রস্তুতের পুরো বিষয়টি।
সর্বশেষ জানা গেছে, বেলা ১১টায় খেলা শুরুর কথা। সারাদিনে ৮৭ ওভার খেলার চেষ্টা করা হবে।
দ্বিতীয় বলেই আউট নাজমুল, বাংলাদেশ ১৯৯/৫
ম্যাচের পরিস্থিতি বিবেচনায় খুবই বাজে শট। আগের দিনই থিতু হয়ে গিয়েছিলেন নাজমুল। দরকার ছিল আজ সকালটা একটু দেখে শুনে শুরু করা। বড় লিডের জন্য তাঁর ব্যাটের দিকেই তাকিয়ে ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু নাজমুল ব্লেসিং মুজারাবানিকে মারতে গিয়ে উইকেট দিলেন দিনের দ্বিতীয় বলেই।
পুল খেলতে গিয়ে ঠিকমতো টাইমিং হয়নি, ব্যাটের টপ এজে লেগে ক্যাচ উঠে যায় অনেক উঁচুতে। লং লেগে ছিলেন নিয়াউচি, বল গেল তাঁর হাতে। ১০৫ বলে ৬০ রানেই থেমে গেল নাজমুলের ইনিংস।
ফিরলেন মিরাজ, বাংলাদেশ ২১২/৬
মুজারাবানির ৫ উইকেট!
মেহেদী হাসান মিরাজ বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন না। ১৬ বল খেলেে ১১ রানে মুজারাবানির বলে গালিতে ক্যাচ দিয়ে আউট হলেন। একটু খাটো লেংথ থেকে উঠে আসা বল খেলতে গিয়ে গড়বড় করে ফেলেন মিরাজ। গালিতে ক্যাচটি নেন বেনেট।
টেস্টে এ নিয়ে তৃতীয়বার ইনিংসে ন্যূনতম ৫ উইকেট নিলেন মুজারাবানি। এ বছর বুলাওয়েতে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৫৮ রানে ৭ উইকেট টেস্টে তাঁর এক ইনিংসে সেরা বোলিং।
১৩০ রানের লিড নিয়েছে বাংলাদেশ। ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান তাইজুল ইসলাম। জাকের ২৭ রানে অপরাজিত।
তাইজুলও আউট, বাংলাদেশ ২১৩/৭
৮ বলের মধ্যে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে বাংলাদেশ।
৬১.২ ওভারে মিরাজ আউট হওয়ার পর ক্রিজে এসেছিলেন তাইজুল ইসলাম। ৭ বল পর ৬২.৩ ওভারে তাইজুলও এনগারাভার বলে উইকেটকিপার মায়াভোকে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন। ৩ বলে ১ রান করেছেন তাইজুল।
ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান হাসান মাহমুদ। জাকের ২৮ রানে অপরাজিত।
১৩১ রানের লিড নিয়েছে বাংলাদেশ।
হাসানের পর খালেদও আউট, বাংলাদেশ ২৫৪/৯
৭৮তম ওভারে পরপর দুই বলে নেই দুই উইকেট!
ওয়েলিংটন মাসাকাদজার করা এই ওভারের চতুর্থ বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ মিড অফে মুজারাবানিকে ক্যাচ দেন হাসান মাহমুদ। ৫৮ বলে ১২ রানে ফিরলেন এই পেসার। পরের বলেই স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন খালেদ আহমেদ। হ্যাটট্রিকের সুযোগ পেয়ে যান মাসাকাদজা। কিন্তু নাহিদ রানা এসে তা হতে দেননি।
নাহিদকে নিয়ে শেষ উইকেট জুটিতে ব্যাট করছেন জাকের। লাঞ্চের আগ পর্যন্ত টিকবে কি বাংলাদেশের ইনিংস?
১৭২ রানের লিড নিয়েছে বাংলাদেশ। জাকের ৫১ রানে অপরাজিত।
২৫৫ রানে অলআউট বাংলাদেশ
ব্লেসিং মুজারাবানিকে তুলে মেরেছিলেন জাকের আলী। ডিপ মিড উইকেট-এ ফিল্ডারের হাতে ক্যাচ! দ্বিতীয় নতুন বল আর দরকার পড়ল না জিম্বাবুয়ের।
ব্লেসিং মুজারাবানির ৬ নম্বর উইকেট। ম্যাচের হিসাবে জিম্বাবুয়ের টেস্ট ইতিহাসে যৌথভাবে দ্রুততম ৫০ উইকেটের মালিক হয়ে গেলেন এই পেসার।
জিম্বাবুয়ের সামনে লক্ষ্য—মাত্র ১৭৪ রান। জিতলেই সিরিজে ১-০ এগিয়ে যাবে অতিথিরা!
চাপ বাংলাদেশের বোলারদের কাঁধে!
৬১ রানে পড়েছে শেষ ৬ উইকেট
ইনিংসে আশার বেশির ভাগটাই ছিল অধিনায়ক নাজমুল হোসেনকে নিয়ে। আগের দিন ৪ উইকেট হারানো বাংলাদেশের হাল ধরেছিলেন তিনি ও জাকের আলি। অথচ চতুর্থ দিনে বৃষ্টির কারণে খেলা এক ঘণ্টা পরে শুরু হওয়ার পর মাত্র দুই বল টিকতে পেরেছেন নাজমুল।
আগের দিন বাংলাদেশের জন্য ত্রাস ব্লেসিং মুজারবানির শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন ফাইন লেগে ভিক্টর নিউয়াচির হাতে। ১০৫ বলের ইনিংসে আগেই ৬০ রান করা নাজমুল আজ আর রান যোগ করতে পারেননি। বাংলাদেশের ইনিংসও বেশি এগোতে পারেনি। নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৯.২ ওভারে অলআউট হয়ে জিম্বাবুয়েকে জয়ের জন্য ১৭৪ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ।
নাজমুলের বিদায়ের পর জাকেরের সঙ্গে বাংলাদেশের শেষ ভরসা ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। কিন্তু তাঁর মধ্যেও ছিল ড্রেসিংরুমে ফেরার তাড়া। এবারও বাংলাদেশের জন্য কাঁটা সেই মুজারবানি। তাঁর বলে ঠিক সময়ে ব্যাটটা চালাতে পারেননি মিরাজ, তাঁর ব্যাট ছুঁয়ে বল চলে যায় ব্রায়ান বেনেটের হাতে।
কাল সংবাদ সম্মেলনে এসে টেলএন্ডার তাইজুল ইসলাম–হাসান মাহমুদদের ওপর আস্থা থাকার কথা জানিয়ে গিয়েছিলেন মুমিনুল হক। এর প্রতিদান অবশ্য দিতে পারেননি তাইজুল ইসলাম, ৩ বলে ১ রান করে রিচার্ড এনগারাভার বলে উইকেটের পেছেন ক্যাচ দেন।
বাংলাদেশের লিডটা একটু বড় হওয়ার কৃতিত্ব অবশ্য প্রাপ্য হাসান মাহমুদের। জাকের আলির সঙ্গে ৯১ বলে ৩৫ রানের জুটিতে ৫৮ বলে ১২ রানের অবদান আছে তাঁর। কিন্তু হাসান ফিরতেই বাংলাদেশের ইনিংস থামতে খুব বেশি সময় লাগেনি। টেস্ট ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটি তুলে নেওয়া জাকের আউট হন শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে। ৪ চার ও ১ ছক্কায় ১১১ বলে ৫৮ রান করেন। টেস্ট ক্যারিয়ারে তৃতীয়বার ৫ উইকেট পাওয়া মুজারাবানি ২০.২ ওভার ৭২ রান দিয়ে ৬ উইকেট নিয়েছেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ১৯১ ও ৭৯.২ ওভারে ২৫৫ (নাজমুল ৬০, জাকের ৫৮, মুমিনুল ৪৭, মাহমুদুল ৩৩, হাসান ১২, মিরাজ ১১, সাদমান ৪, মুশফিক ৪, তাইজুল ১; মুজারাবানি ৬/৭২, মাসাকাদজা ২/২০, নিয়াউচি ১/৪২, এনগারাভা ১/৭৪)।
জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংস: ৮০.২ ওভারে ২৭৩ (উইলিয়ামস ৫৯, বেনেট ৫৭, মায়াভো ৩৫, এনগারাভা ২৮*; মিরাজ ৫/৫২, নাহিদ ৩/৭৪, খালেদ ১/৩০, হাসান ১/৫৫)।
***জিম্বাবুয়ে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমেছে।
মধ্যাহ্নভোজ বিরতি
বাংলাদেশ নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ২৫৫ অলআউট হওয়ার পর জয়ের জন্য ১৭৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমেছে জিম্বাবুয়ে। মধ্যাহ্নভোজন বিরতির আগে ১ ওভারে বিনা উইকেটে ৪ রান তুলেছে জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশের হয়ে প্রথম ওভারটি করেন ফাস্ট বোলার নাহিদ রানা।
জিততে হলে নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে জিম্বাবুয়েকে নতুন কীর্তি গড়তে হবে। জিম্বাবুয়ে তাদের টেস্ট ইতিহাসে এর আগে ১৬২ রানের বেশি তাড়া করতে জিততে পারেনি।
১৯৯৮ সালে পেশোয়ার টেস্টে পাকিস্তানের দেওয়া ১৬২ রানের লক্ষ্য তাড়া করে ৭ উইকেটে জিতেছিল জিম্বাবুয়ে।
ভালো শুরু পেয়েছে জিম্বাবুয়ে
জয়ের জন্য ১৭৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় সেশনে ব্যাট করছে জিম্বাবুয়ে। দুই ওপেনার বেন কারেন ও ব্রায়ান বেনেট ক্রিজে জমে গেছেন। কারেন ১৮ রানে ও বেনেট ১৫ রানে ব্যাট করছেন।
জিম্বাবুয়ে দ্বিতীয় ইনিংস: ৮ ওভারে বিনা উইকেটে ২৫।
কারেন আউট, দেরি হয়ে গেল বাংলাদেশের
২১তম ওভারে মিরাজের শেষ বলে মিড অফে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন বেন কারেন। ৭৫ বলে ৪৪ রানে আউট হলেন। ৯৫ রানে ভাঙল জিম্বাবুয়ের ওপেনিং জুটি। ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান নিক ওয়েলচ।
জিম্বাবুয়ে দ্বিতীয় ইনিংস: ২২ ওভারে ১০০/১।
জয়ের জন্য আর মাত্র ৭৪ রান দরকার জিম্বাবুয়ের।
ওয়েলচকে ফেরালেন তাইজুল
২৬তম ওভারে তাইজুলের শেষ বলে এলবিডব্লু হয়ে ফিরলেন ওয়েলচ। ১৯ বলে ১০ রান করেছেন তিনি।
ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান শন উইলিয়ামস।
জিম্বাবুয়ে দ্বিতীয় ইনিংস: ২৬ ওভারে ১১২/২। জয়ের জন্য ৬২ রান দরকার জিম্বাবুয়ের।
চা বিরতি, জয়ের সুবাস পাচ্ছে জিম্বাবুয়ে
২৮ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের স্কোর ১১৭/২। জয়ের জন্য আর ৫৭ রান চাই জিম্বাবুয়ের।
তাইজুলের করা ২৮তম ওভার শেষেই চা বিরতি ঘোষণা করেন আম্পায়াররা। দ্বিতীয় সেশনে ২৭ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ১১৩ রান তুলেছে জিম্বাবুয়ে।
বেনেট ৫২ ও উইলিয়ামস শূন্য রানে ক্রিজে অপরাজিত। মিরাজ ও তাইজুল ১টি করে উইকেট নিয়েছেন।
উইলিয়ামসকে ফেরালেন মিরাজ
জিম্বাবুয়ে ১২৭/৩, জয়ের জন্য দরকার ৪৭ রান।
চা বিরতির পর তৃতীয় ওভারেই উইকেটের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ। মিরাজের হঠাৎ লাফিয়ে ওঠা বল উইলিয়ামসের ব্যাট হয়ে ওপরে উঠে গেলে কাভার–পয়েন্টে সহজ ক্যাচ নেন নাজমুল (১৩ বলে ৯)।
এরপরও অবশ্য জিম্বাবুয়েই এগিয়ে। ম্যাচ জিততে বাকি পঞ্চাশ রানের কম। নতুন ব্যাটসম্যান ক্রেইগ আরভিন। বেনেট অপরাজিত ৫৩ রানে।
মিরাজের আরেকটি উইকেট
জিম্বাবুয়ে ১২৮/৪, জয়ের জন্য দরকার ৪৬ রান।
ম্যাচে নিয়ন্ত্রণ এখনো জিম্বাবুয়ের হাতেই। তবে টানা দুই ওভারে উইকেট নিয়ে বাংলাদেশ দল কিছুটা হলেও চাঙ্গা হওয়ার কথা। মিরাজ সামনে এগিয়ে খেলতে গিয়ে লং অনে মুশফিকের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ব্রায়ান বেনেট (৮১ বলে ৫৪)।
নতুন ব্যাটসম্যান ওয়েসলি মাধেভেরে। সঙ্গে আছেন ক্রেইগ আরভিন।
বৃষ্টি বাগড়া এবং...
জিম্বাবুয়ে ১৩৩/৪, জয়ের জন্য দরকার ৪১ রান।
খুব দেখেশুনে খেললেও বেশি সময় লাগার কথা নয় জিম্বাবুয়ের। কিন্তু খেলার সুযোগ তো পেতে হবে! আবার সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের আকাশ থেকে ঝরছে বৃষ্টি, দুই দলের খেলোয়াড়েরা ফিরে গেছেন ড্রেসিংরুমে। উইকেট ঢাকা পড়েছে কাভারে।
তবে খেলা বেশি সময় বন্ধ থাকেনি। মিনিট কয়েক পরই আবার মাঠে নেমেছে দুই দল।
রিভিউ নিয়ে আরভিনকে ফেরাল বাংলাদেশ
জিম্বাবুয়ে ১৪৪/৫, জিম্বাবুয়ের দরকার ৩০ রান।
নাজমুল হোসেন খুব একটা আত্মবিশ্বাসী ছিলেন না। তবে মিরাজ বোঝালেন, বল উইকেটকিপারের হাতে যাওয়ার আগে আরভিনের ব্যাট ছুঁয়ে গেছে। উইকেটকিপার জাকের আলীও বললেন রিভিউ নিতে। নাজমুল রিভিউ নিলেন। আল্ট্রা এজে দেখা গেল, মিরাজের কথাই সত্যি। জিম্বাবুয়ে হারাল অধিনায়ক আরভিনের উইকেট (৩০ বলে ১০)।
তাইজুলের বলে আরভিনের আউটে ম্যাচে প্রাণ সঞ্চার করেছে বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের জিততে দরকার ৩০ রান। হাতে ৫ উইকেট।
উইকেট নম্বর ৬
জিম্বাবুয়ে ১৪৫/৬, জিততে দরকার ৩০ রান।
ম্যাচ জমিয়ে তুললেন মিরাজ। তাঁর অফ স্পিনে এবার শিকার নিয়াশা মায়াভো। আগের ওভারে আরভিন আউট হওয়ার পর দ্বিতীয় বলেই ক্যাচ তুলেছিলেন, কিন্তু জাকির হাসান ধরতে না পারায় বেচে গিয়েছিলেন। এবার বোল্ডই হয়ে গেছেন।
১৭৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করা জিম্বাবুয়ে ৩০ রান দূরে থাকতে হারাল ষষ্ঠ উইকেট। ম্যাচে সম্ভাবনা এখন বাংলাদেশেরও।
মিরাজের আরেকটি পাঁচ
জিম্বাবুয়ে ১৬১/৭, জিম্বাবুয়ের দরকার ১৩ রান, বাংলাদেশের ৩ উইকেট।
প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও ৫ উইকেট নিলেন মিরাজ। সর্বশেষ শিকার হয়েছেন ওয়েলিংটন মাসাকাদজা (২০ বলে ১২)।
ম্যাচ জিততে জিম্বাবুয়ের দরকার ১৩ রান, বাংলাদেশের দরকার ৩ উইকেট।
পরের টেস্ট চট্টগ্রামে
সিলেট টেস্টে ৩ উইকেটে হেরে বাংলাদেশ ১–০ ব্যবধানে পিছিয়ে গেছে। সিরিজে সমতা আনতে হলে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে নাজমুল হোসেনের দলকে জিততেই হবে।
সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট শুরু হবে ২৮ এপ্রিল চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে।