অ্যালকোহল-তামাককে না বলে দুই বছর স্পনসরহীন ব্যাট দিয়ে খেলেছিলেন টেন্ডুলকার

শচীন টেন্ডুলকারের হাতে আজীবন সম্মাননার পুরস্কার তুলে দিচ্ছেন জয় শাহবিসিসিআই

কোনো বিতর্ক বা কোনো কালো দাগ তাঁর খেলোয়াড়ি জীবনে নেই। খেলোয়াড়ি জীবন শেষেও শচীন টেন্ডুলকার নিষ্কলুষ একজন মানুষ। এখনো তরুণ ক্রিকেটার আর ভক্তদের কাছে আদর্শ একজন ক্রিকেটার ও মানুষ টেন্ডুলকার।

ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের আজীবন সম্মাননা পাওয়ার পর দেওয়া বক্তব্যে নানা বিষয়ের সঙ্গে নিজের আদর্শকে অক্ষত রাখতে খেলোয়াড়ি জীবনের একটা ঘটনার কথাও বলেছেন টেন্ডুলকার। আদর্শগত দিক থেকে ঠিক থাকতে খেলোয়াড়ি জীবনে একবার দুই বছরের জন্য স্পনসর ছাড়া সময় কাটিয়েছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি রানের মালিক।

বিসিসিআই

টেন্ডুলকার আদর্শের পুরোটাই পেয়েছেন তাঁর প্রয়াত বাবার কাছ থেকে। বিসিসিআইয়ের পুরস্কার অনুষ্ঠানে তিনি কথা বলেছেন বাবার মৃত্যু নিয়েও, ‘বাবাকে হারানোর পর আমার জীবন বদলে গেছে।’ বাবার আদর্শকে জীবনে ধারণ করেছেন। আর সেই আদর্শ অক্ষত রেখে অ্যালকোহল ও তামাকের বিজ্ঞাপনকে না বলে ক্যারিয়ারে আর্থিক ক্ষতিরও সম্মুখীনও হয়েছেন।

সেটা কীভাবে, তা জানাতে গিয়ে টেন্ডুলকার বলেছেন, ‘নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি দুই বছরের জন্য আমি ব্যাটে চুক্তি ছাড়াই দুই বছর খেলেছি (ওই দুই বছর টেন্ডুলকারের ব্যাটে কোনো স্পনসর লোগো ছিল না)। কারণ, তারা সেই সময় খুব বেশি অ্যালকোহল ও তামাকের প্রচারণা চালাচ্ছিল আর ব্যাটগুলোকে তাদের বিজ্ঞাপনের মাধ্যম হিসেবে নিয়েছিল। কিন্তু আমাদের পরিবারের সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আমি তামাক বা অ্যালকোহলের প্রচারণা করতে পারব না।’

আরও পড়ুন

টেন্ডুলকার এরপর যোগ করেন, ‘নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি ব্যাটে কোনো চুক্তি (স্পনসর লোগো) ছাড়া খেলার সিদ্ধান্ত পারিবারিকভাবে নেওয়া অনেক বড় ব্যাপার ছিল। মূল্যবোধের প্রসঙ্গ এলে আমার মনে হয়, পরিবারই আমার মেরুদণ্ড এবং আমার ক্যারিয়ারের শক্তি।’

তরুণ ক্রিকেটারদের উদ্দেশে টেন্ডুলকার বলেছেন, ‘মাঠে যাও, নিজের সেরাটা দাও এবং সুযোগের সর্বোচ্চ ব্যবহার করো। কারণ, কয়েক বছর আগে তুমি কোথায় ছিলে, সেটা একমাত্র ক্রিকেট খেলা বন্ধ করার পরই বুঝতে পারবে। তোমাদের প্রতি শুভকামনা রইল।’