আজীবন সম্মাননা পেলেন কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকার
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআইয়ের আজীবন সম্মাননা পেলেন কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকার। গতকাল মুম্বাইয়ে বিসিসিআইয়ের বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তাঁকে সিকে নাইডু আজীবন সম্মাননায় ভূষিত করা হয়।
২০২৩-২৪ মৌসুমে সেরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার হয়ে পলি উমরিগড় পুরস্কার পেয়েছেন পেসার যশপ্রীত বুমরা। মেয়েদের ক্রিকেটে একই ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেয়েছেন স্মৃতি মান্ধানা। ২০২৩-২০২৪ মৌসুমে মেয়েদের ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ রান করার পুরস্কারও পেয়েছেন মান্ধানা।
১৯৯৪ সাল থেকে ভারতের প্রথম অধিনায়ক সিকে নাইডুর নামে এই পুরস্কার দিয়ে আসছে বিসিসিআই। ৩১তম ক্রিকেটার হিসেবে টেন্ডুলকার পেলেন এই পুরস্কার। মাত্র ১৬ বছর বয়সে ১৯৮৯ সালে অভিষেক হওয়া শচীন অবসর নেন ২০১৩ সালে।
খেলেছেন ২০০ টেস্ট ও ৪৬৩ টি ওয়ানডে, যা দুই সংস্করণেই সর্বোচ্চ। এই দুই সংস্করণে সর্বোচ্চ রানও তাঁর। ওয়ানডেতে করেছেন ১৮,৪২৬ রান আর টেস্টে ১৫,৯২১। একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০০ সেঞ্চুরি আছে টেন্ডুলকারের।
বুমরা গত মাসেই জিতেছেন আইসিসির বর্ষসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার। জুনে ভারতকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতাতে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন এই ফাস্ট বোলার। ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডকে টেস্ট সিরিজ হারানোর পেছনে বড় ভূমিকা ছিল তাঁর। বছরের শেষ দিকে বোর্ডার গাভাস্কার ট্রফিতে ভারত হারলেও বুমরা হয়েছিলেন সিরিজসেরা।
মেয়েদের ক্রিকেটে বর্ষসেরা ওয়ানডে ব্যাটারের পুরস্কার জেতা মান্ধানা গত বছর তিন সংস্করণে ভারতের সেরা ছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্টে ১৪৯ রানের ইনিংসের পর ওয়ানডে সিরিজে মান্ধানা করেছিলেন—১১৭,১৩৬ ও ৯০।
গত ডিসেম্বরেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছেড়েছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। টেস্টে ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫৩৭ উইকেট শিকারি এ স্পিনারকে একটি বিশেষ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেক টেস্ট ইনিংসে ফিফটি করা সরফরাজ খান পেয়েছেন সেরা আন্তর্জাতিক অভিষেকের পুরস্কার।