নাকে বল লাগতেই লুটিয়ে পড়লেন, রক্তাক্ত অবস্থায় ছাড়লেন মাঠ

রক্তাক্ত অবস্থায় মাঠ ছাড়তে হয় অ্যালসপকেএক্স

ট্রেন্ট রকেটসের জিততে তখন রান দরকার ৩৩ বলে ৭৩। স্ট্রাইকে বাঁহাতি ব্যাটসম্যান টম অ্যালসপ, প্রতিপক্ষ লন্ডন স্পিরিটের হয়ে বোলিং করছেন পেসার জেমি ওভারটন।

এমন সময়ে ওভারটনের বাউন্সার অ্যালসপের হেলমেটের গ্রিল ভেদ করে নাকে লাগে। সঙ্গে সঙ্গেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন অ্যালসপ। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় মাঠ ছাড়েন। লর্ডসে কাল রাতে ১০০ বলের টুর্নামেন্ট দ্য হানড্রেন্ডের ম্যাচে এ ঘটনা ঘটেছে।

অ্যালসপের লুটিয়ে পড়া দেখে কিছুটা ভয় পেয়ে যান নন স্ট্রাইকে থাকা মার্কাস স্টয়নিস ও উইকেটকিপার জেমি স্মিথ। বল হেলমেটে লাগার সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসক দলকে মাঠে আসার বার্তা পাঠান দুজন। বোলার ওভারটন, মাঠের দুই আম্পায়ার জেমস মিডলব্রুক ও রাসেল ওয়ারেন থেকে শুরু করে লন্ডন স্পিরিটের সব ফিল্ডার সেখানে জড়ো হন।

মাটিতে লুটিয়ে পড়েন অ্যালসপ। তাঁর পাশে বোলার ওভারটন।
এক্স

ওভারটনের বাউন্সার অ্যালসপের হেলমেটের গ্রিলের ফাঁক গলে তাঁর নাক ফাটিয়ে দেয়। বল লাগার পরপরই মেডিকেল টিম ও ফিজিও  মাঠে ছুটে আসেন। তখন তাঁর নাকের ওপরের অংশ থেকে রক্ত ঝরতে দেখা যায়। কিছুক্ষণ পরই মাঠ ছাড়েন ২৯ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান। ৩ বল খেলে কোনো রান না করেই রিটায়ার্ড হার্ট হন তিনি।

আরও পড়ুন

অ্যালসপের চোট কতটা গুরুতর, তা এখনো জানা যায়নি। তবে যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে হেলমেট আধুনিকায়ন করা হলেও আঘাত পাওয়ার ঝুঁকি যে রয়েই গেছে, এই ঘটনা তারই প্রমাণ।

যেভাবে বল নাকে লাগে অ্যালসপের।
এক্স

ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত ২১ রানে জিতেছে ওভারটনের লন্ডন স্পিরিট। আগে ব্যাটিং করে জেমি স্মিথের ফিফটি ও কেইন উইলিয়ামসনের ৪৫ রানে দলটি ১০০ বলে ১৬২ রান তুলেছিল। জবাবে ১০০ বলে ট্রেন্ট রকেটস করতে পারে ১৪১ রান। ফিফটি ও দুটি ক্যাচ নিয়ে ম্যাচসেরা হন স্মিথ।

আরও পড়ুন