বিপিএলে ফিক্সিং রোধে প্রতিটি দলের সঙ্গে থাকবেন দুজন সিআইডি সদস্য

গতকাল বিপিএলের নিলাম অনুষ্ঠানে বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল (ডানে) ও সহ সভাপতি সাখাওয়াত হোসেনশামসুল হক

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নিলামের আগেই আলোচনার কেন্দ্রে ছিল ফিক্সিং বিতর্ক। আনুষ্ঠানিকভাবে না জানালেও অভিযুক্ত ৯ স্থানীয় ক্রিকেটারকে বাদ দিয়েই নিলামের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তবে শুধু নিলামেই নয়, বিপিএলের আয়োজনজুড়ে ফিক্সিং নিয়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে যাচ্ছে বিসিবি।

দ্বাদশ বিপিএলে কেউ যেন ফিক্সিংয়ে জড়াতে না পারেন কিংবা জড়ালেও বিসিবির জালে ধরা পড়েন, সে জন্য প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্টের (সিআইডি) সদস্য নিয়োগ দিতে যাচ্ছে বিসিবি।

এ নিয়ে সিআইডির সঙ্গে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করা হবে বলে জানিয়েছেন বিসিবির সহসভাপতি সাখাওয়াত হোসেন। গতকাল রোববার ঢাকার একটি হোটেলে নিলাম শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ তথ্য জানান সাখাওয়াত।

আরও পড়ুন

বিপিএলের দলগুলোতার সঙ্গে সিআইডি রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করে সাখাওয়াত বলেছেন, ‘খেলার ইন্টিগ্রিটির জন্য আমরা নতুন একটা উদ্যোগ দিয়েছি। আমাদের ইন্টিগ্রিটি দল তো থাকবেই, আমরা বাংলাদেশ পুলিশের সিআইডি যে বিভাগ আছে, সেই সিআইডির সঙ্গে একটা এমওইউ করছি। সিআইডির দুজন অফিসার, একজন পোশাকধারী, অন্যজন সাদাপোশাকে প্রতিটি দলের সঙ্গে থাকবে।’

আরও পড়ুন

সিআইডি নিয়োগের কারণ ব্যাখ্যায় বিসিবির এই সহসভাপতি বলেন, ‘সিআইডি হচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে (ভালো) ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট। তাদের কাছে আধুনিক সব প্রযুক্তি আছে। এমনকি হোয়াটস্যাপের কথাও তারা দেখতে পারে। তাদের সব ধরনের যন্ত্রপাতি মজুত আছে। ফলে আমরা সরকারের সঙ্গে (কাজ করতে) যাচ্ছি। আর এখানে আমাদের স্বচ্ছতা ও খেলার স্বচ্ছতা (দেখানোর বিষয়ও আছে)। পাশাপাশি আপনাদের এটাও বোঝানো যে আমাদের আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি নেই।’

২৬ ডিসেম্বর বিপিএলের দ্বাদশ আসর শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।