আমিনুল কেন আবার বিসিবি সভাপতি হতে চাইছেন
বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব নিয়েই আমিনুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, একটা দ্রুতগতির টি-টোয়েন্টি ইনিংস খেলে চলে যেতে চান। তবে সপ্তাহখানেক আগে প্রথম আলোকে তিনি জানান, এখনকার মতো জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মনোনীত পরিচালক হয়ে আবার সভাপতি হতে আপত্তি নেই তাঁর। কাল অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে বিসিবি নির্বাচনের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়।
আজ সকালে সিলেট জেলা স্টেডিয়াম পরিদর্শনে গিয়ে আমিনুল জানান, বিসিবির পরিচালক পদে নির্বাচন করবেন তিনি। তখন ওই ঘোষণার কোনো কারণ ব্যাখ্যা করেননি। বিকেলে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন আমিনুল। তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয় কেন নির্বাচন না করার বিষয়ে নিজের সিদ্ধান্ত বদলেছেন? উত্তরে তিনি বলেছেন, ‘আমার (নির্বাচন করতে চাওয়ার) একটাই কারণ। যে কাজগুলো শুরু করেছিলাম, সেই কাজগুলো ভালোভাবে এগিয়ে চলছে এবং এই কাজগুলো অর্ধেক ফেলে না রেখে যেন সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি। সেটাই একটা মূল কারণ এখানে কন্টিনিউ করতে চাওয়ার।’
শুরুতে ‘কুইক টি-টোয়েন্টি ইনিংসের’ কথা বলে এখন তাহলে ইনিংসটা কেন লম্বা করতে চাচ্ছেন, এমন প্রশ্নের উত্তরে আমিনুল বলেন, ‘আমি বলেছিলাম একটা কুইক ইনিংসের কথা। কুইক ইনিংসটা তো এখনো শেষ হয়নি। কুইক ইনিংসটা শেষ হোক। কন্টিনিউ যদি করতে পারি, টি-টোয়েন্টি থেকে ফিফটি-ফিফটিতে যাব। আর তার চেয়েও বড় কথা, আমার কাছে মনে হয়, যে সম্ভাবনা আমাদের আছে, এটা পরের ধাপে নিয়ে যাওয়ার জন্য যে কাজগুলো করতে হয়—সেই কাজগুলো করার জন্য মনস্থির করেছি যে আমি কন্টিনিউ করতে চাই।’
গত মে মাসে ফারুক আহমেদকে সরিয়ে তাঁকে বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়। ফারুকও ছিলেন ক্রীড়া পরিষদের মনোনীত পরিচালক। তাঁকে সরিয়ে আমিনুলকেও একইভাবে মনোনয়ন দেওয়া হয়। এভাবে পরিচালক হতে এনএসসির মনোনয়নই যথেষ্ট, আলাদা করে নির্বাচন করতে হয় না। তবে এ ক্ষেত্রে ক্রীড়া পরিষদ চাইলে তাদের মনোনয়ন তুলে নিতে পারে।
আমার সাথে এখনো এনএসসির কোনো আলোচনা হয়নি। আমি শুধু ওইটা (নির্বাচনের আগ্রহ) প্রকাশ করেছি যে সম্ভব হলে আমি নির্বাচন করব। এখন আমি জানি না কোথা থেকে করব বা কী করব।ক্রীড়া পরিষদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে কি না, সে প্রসঙ্গে আমিনুল ইসলাম
বিসিবি নির্বাচন হয় মূলত ক্লাব, বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা ও সাবেক অধিনায়ক এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এই তিনটি ক্যাটাগরিতে। আমিনুল আগেই স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, তাঁর কোনো ক্লাব নেই, সেখান থেকে কাউন্সিলর হওয়ার সুযোগও নেই। একটি সূত্র জানিয়েছে, কোনো একটি বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা থেকে বিসিবির নির্বাচন করতে পারেন আমিনুল। এ ছাড়া সাবেক অধিনায়ক হিসেবেও চাইলে বিসিবির কাউন্সিলরশিপ নিতে পারেন। আমিনুল অবশ্য বলছেন, কোন জায়গা থেকে নির্বাচন করবেন এখনো সেই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেননি।
ক্রীড়া পরিষদের সঙ্গে তাঁর কোনো কথা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেছেন, ‘আমার সাথে এখনো এনএসসির কোনো আলোচনা হয়নি। আমি শুধু ওইটা (নির্বাচনের আগ্রহ) প্রকাশ করেছি যে সম্ভব হলে আমি নির্বাচন করব। এখন আমি জানি না কোথা থেকে করব বা কী করব।’
জাতীয় দলের সাবেক আরেক অধিনায়ক তামিম ইকবালও ইতিমধ্যেই বিসিবির পরিচালক ও পরে সভাপতি হওয়ার বিষয়ে নিজের আগ্রহের কথা জানিয়েছেন। একটি সূত্র জানিয়েছে, বিসিবির বর্তমান ও সাবেক কয়েকজন পরিচালককে নিয়ে একটি প্যানেলও তিনি ইতিমধ্যে তৈরি করেছেন।
তাঁর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিষয়ে কোনো কথা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে আমিনুল বলেছেন, ‘না, আমার সঙ্গে কোনো কথা হয়নি। তবে আমি আশা করব...সবার প্রতি শ্রদ্ধা থাকবে। তাদের প্রতি সহযোগিতা থাকবে, দিন শেষে এখানে আমরা সবাই এসেছি ক্রিকেটের কাজে এবং ক্রিকেটকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যই চেষ্টা করব।’