- ৩৭০ রানে এগিয়ে দ্বিতীয় দিন শেষ করল বাংলাদেশ
- জাকিরের ফিফটি, নাজমুলেরও
- প্রথমবার
- বাউন্ডারি-খরার পর বাউন্ডারি-বৃষ্টি
- কাটল বাউন্ডারি-খরা
- কত রানের লিড যথেষ্ট হবে বাংলাদেশের?
- সেই (সব) স্মৃতি!
- ৩০০ রানের লিড
- বাংলাদেশের ৫০
- ওভার রেট
- নিজাতের খরুচে ওভার, ঝোড়ো শুরু বাংলাদেশের
- মাইলফলক
- এবার রক্ষা হল না মাহমুদুলের
- প্রথম ওভারেই ক্যাচ দিয়ে বাঁচলেন মাহমুদুল
- আবার ব্যাটিং করবে বাংলাদেশ
- ১৪৬ রানেই শেষ আফগানিস্তান
- রইল বাকি ১
- তাইজুলের আঘাত
- মুমিনুলের দুর্দান্ত ক্যাচ, ইবাদতের চতুর্থ
- সুযোগ হাতছাড়া
- নেই আফসারও
- জুটি ভাঙলেন মিরাজ
- এগোচ্ছে নাসির-আফসারের জুটি
- বোলিংয়ে সাকিব!
- ১৯ রানের ওভার!
- শরীফুলের দ্বিতীয় উইকেট
- এখনো নড়বড়ে আফগানিস্তান
- আফগানিস্তান ৩৫/৩, মধ্যাহ্নবিরতি, দ্বিতীয় দিন
- নড়বড়ে আফগানিস্তান
- আরেকটি রানআউটের সুযোগ!
- ইবাদতের শর্ট বলে ফিরলেন মালিক
- অল্পের জন্য বাঁচলেন রহমত
- প্রথম আঘাত শরীফুলের, লিটনের দায়মোচন
- হ্যালো, মিস্টার এক্সট্রা
- ২ বলে বাঁচলেন দুই ওপেনার
- ট্রটের আশা প্রায় পূরণ করতে পেরেছে আফগানিস্তান
- দূর্বল লেজ
- ৪৫ মিনিটেই শেষ বাংলাদেশ
- ফেরার মিছিলে তাসকিনও
- মড়কের মিছিল!
- মিরাজের পর নেই মুশফিকও
- মিরাজ আউট
- ২ বল পর নতুন বল
- দ্বিতীয় দিনে স্বাগত
৩৭০ রানে এগিয়ে দ্বিতীয় দিন শেষ করল বাংলাদেশ
দিনের শুরুতে ছিল নাটকীয় ধস। তবে মিরপুর টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষেই জয়ের ক্ষেত্রে পরিষ্কার ফেবারিট হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। বোলারদের পর বাংলাদেশকে এমন দাপুটে অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার কৃতিত্ব নাজমুল হোসেন ও জাকির হাসানের। দুই বাঁহাতিই ফিফটি পেয়েছেন, দুজনই অপরাজিত ৫৪ রানে। দুজনের জুটি অবিচ্ছিন্ন ১১৬ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে ৯ উইকেট হাতে রেখে বাংলাদেশ এগিয়ে ৩৭০ রানে।
এ পিচে আফগানিস্তানের বোলিং প্রথম দিন ছিল এলোমেলো, তবে দ্বিতীয় দিন সকালে দ্বিতীয় নতুন বল পাওয়ার পরই বদলে যায় তারা। আগের দিনের অপরাজিত দুই ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম ও মেহেদী হাসান মিরাজ আক্রমণাত্মক হতে গিয়ে আউট হন। ৯ রানের মধ্যে শেষ ৫ উইকেট হারিয়ে ৩৮২ রানেই থামে বাংলাদেশ।
তবে আফগানিস্তান এরপর পড়ে ইবাদত হোসেনদের তোপে। আফগানিস্তানের ওপর মূল আঘাতটা করেন ইবাদত ও শরীফুল ইসলাম। দুই পেসার মিলিয়ে নিয়েছেন ৬টি উইকেট—ইবাদত ৪টি, শরীফুল ২টি। ৫১ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর পঞ্চম উইকেটে নাসির জামাল ও আফসার জাজাইয়ের ৬৫ রানের জুটি একটু আশা জুগিয়েছিল। তবে সে পর্যন্তই। বাংলাদেশের মতো আফগানিস্তান ইনিংসেও শেষ দিকে নামে ধস—সফরকারীরা ৩০ রানের মধ্যে হারায় শেষ ৬ উইকেট।
ইবাদত ও শরীফুলের লাইন-লেংথ ছিল দারুণ। বিশেষ করে ইবাদত শর্ট বলের ব্যবহার করেছেন দারুণভাবে। সে সবের জবাব দিতে পারেনি আফগানিস্তান।
তৃতীয়বারের মতো প্রতিপক্ষকে ফলো-অন করানোর সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ, লিড ছিল ২৩৬ রানের। প্রথম ইনিংসে ৩৯ ওভার করতে হলেও গরমের কথা ভেবেই হয়তো আবারও ব্যাটিংয়ে নামে তারা। মাহমুদুল হাসান দ্রুতগতিতে ১৭ রান করার পর থামলেও নাজমুল ও জাকির ইনিংস গড়েছেন দারুণভাবে। আফগানিস্তানের হাত থেকেও ম্যাচ প্রায় বের হয়ে গেছে তাতেই।
জাকিরের ফিফটি, নাজমুলেরও
জহির খানের বলে নাজমুল হোসেনের বিপক্ষে এলবিডব্লিউর জোরাল আবেদন করেছিল আফগানিস্তান। আম্পায়ার পল রাইফেল তাতে সাড়া দেননি। রিভিউও শেষ পর্যন্ত কাজে এলো না উইকেটে আম্পায়ার্স কল হওয়াতে। নাজমুল বেঁচে গেলেন।
এ ওভারেই কাট করে চার মেরে ফিফটি পেয়ে গেলেন জাকির। প্রথম ইনিংসে ব্যর্থ হয়েছিলেন, এবার দারুণ ইতিবাচক জাকির পূর্ণ করলেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি।
পরের ওভারে আমির হামজাকে চার মেরে ফিফটি পূর্ণ করেছেন প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করা নাজমুলও। ক্যারিয়ারে এটি তাঁর চতুর্থ ফিফটি, আছে তিনটি সেঞ্চুরি। এ ফিফটিকেও সেঞ্চুরিতে রূপ দিতে পারবেন এ বাঁহাতি?
প্রথমবার
প্রথম ইনিংসে মাহমুদুল হাসানের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে ২১২ রান যোগ করেছিলেন নাজমুল হোসেন। এবার আরেক হাসান—জাকিরের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে আরেকটি ১০০ রানের জুটি গড়লেন নাজমুল। এ মুহূর্তে দুজনেরই রান সমান—৪৬।
বাউন্ডারি-খরার পর বাউন্ডারি-বৃষ্টি
আগের ওভারে জাকির চার মেরেছিলেন একটি। এবার ইয়ামিন আহমেদজাইয়ের চার বলে চারটি চার মারলেন নাজমুল হোসেন। মিডউইকেট, মিড-অন, কাভারের পর ফাইন লেগ দিয়ে এসেছে চারগুলো। নাজমুলও চোখের পলকে ৪০ পেরিয়েছেন, বাংলাদেশ পেরিয়েছে ১০০। লিড ৩৪৮ রানের। আফগানিস্তান অধিনায়কের চোখেমুখে হতাশার ছাপ স্পষ্ট।
কাটল বাউন্ডারি-খরা
মাঝে সাত ওভার বাউন্ডারি ছাড়াই কাটিয়েছিলেন নাজমুল ও জাকির। ১৭তম ওভারে সে খরা কাটালেন জাকির হাসান। জহির খানের ফুললেংথের বলে ঘুরিয়ে সেটি মেরেছেন জাকির, ওই শটে ৪০ পেরিয়ে গেছেন প্রথম ইনিংসে ১ রানে আউট হওয়া এ বাঁহাতি। নাজমুলের সঙ্গে তাঁর জুটি ৭৭ রানের, দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ এগিয়ে ৩৩১ রানে।
দিনের খেলার নির্ধারিত সময় শেষ, গতকালের মতো আজও চলছে বর্ধিত সেশন। এখনকার যে অবস্থা, তাতে স্লো ওভাররেটের কারণে শাস্তি পেতে পারে দুই দলই!
কত রানের লিড যথেষ্ট হবে বাংলাদেশের?
সেই (সব) স্মৃতি!
প্রথমটি ২০০৬ সালে। ফতুল্লায় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। ৩০৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া জিতেছিল ৩ উইকেটে। ১১৮ রানের অপরাজিত ইনিংসে বাংলাদেশের হৃদয় ভেঙেছিলেন রিকি পন্টিং।
পরের ঘটনাটি ২০০৮ সালে। চট্টগ্রামে নিউজিল্যান্ডকে বাংলাদেশ লক্ষ্য দিয়েছিল ৩১৭ রান। এবার বাংলাদেশের মূল বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন ড্যানিয়েল ভেট্টোরি।
সর্বশেষ ২০২১ সালে চট্টগ্রামেই বাংলাদেশের বিপক্ষে ইতিহাস গড়েছিলেন কাইল মায়ার্সরা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে লক্ষ্য ছি ৩৯৫ রান! মায়ার্স করেছিলেন অপরাজিত ডাবল সেঞ্চুরি।
অবশ্য ওপরের তিন ঘটনায় একবারই দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করেছিল বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে।
এখন বাংলাদেশের লিড ৩০৯ রানের। এবার কত রান যথেষ্ট হবে বাংলাদেশের?
৩০০ রানের লিড
২৩৬ রানে এগিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং শুরু করে বাংলাদেশ। ১০ ওভার না পেরোতেই ৩০০ রানের লিড হয়ে গেছে স্বাগতিকদের।
বাংলাদেশের ৫০
অষ্টম ওভারে ৫০ পেরিয়েছে বাংলাদেশ। ৯ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৬০ রান। এ সময়ে এসেছে ১১টি চার।
ওভার রেট
গতকাল ৩০ মিনিট খেলা বাড়ানো হলেও দিনে মোট হয়েছিল ৭৯ ওভার। আজ নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টা বাকি থাকতে হয়েছে ৫২ ওভার। যদিও আজ দুবার ইনিংস বিরতি দিতে হয়েছে।
নিজাতের খরুচে ওভার, ঝোড়ো শুরু বাংলাদেশের
পুল করে দুটি চার, এরপর কাভার ড্রাইভে আরেকটি—নিজাত মাসুদের ওভারে তিন চার মেরেছেন জাকির হাসান। যদিও শেষ বলে সুযোগ তৈরি করেছিলেন প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়া অভিষিক্ত আফগান পেসার। তবে নাজমুল হোসেনের দেওয়া ফিরতি ক্যাচটি রাখতে পারেননি তিনি। ষষ্ঠ ওভারে এসেছে ১৪ রান, ৬ ওভারে বাংলাদেশ তুলে ফেলেছে ৪৩ রান।
মাইলফলক
এবার রক্ষা হল না মাহমুদুলের
আগের ওভারের শেষ বলে বেঁচে গেলেও এবার রক্ষা হল না মাহমুদুল হাসানের। বাঁহাতি স্পিনার আমির হামজার বল সামনে পা বাড়িয়ে খেলতে গেল বল তাঁর ব্যাটে লেগে উইকেটের পেছনে যায়। উইকেটরক্ষক আফসার জাজাই গ্লাভসে নিতে না পারলে বল চলে যায় প্রথম স্লিপে দাঁড়ানো ইবরাহিম জাদরানের কাছে। দ্বিতীয় ইনিংসে দ্বিতীয় ওভারে প্রথম উইকেট হারাল বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে ৭৬ রান করা মাহমুদুলের রান এবার ১৩ বলে ১৭। বাংলাদেশের রান ১ উইকেটে ১৮।
প্রথম ওভারেই ক্যাচ দিয়ে বাঁচলেন মাহমুদুল
ইয়ামিন আহমেদজাইয়ের অফস্টাম্পের বল তাড়া করতে গিয়ে তৃতীয় স্লিপে ক্যাচ দিয়েছিলেন মাহমুদুল হাসান। ডান দিকে ঝঁপিয়ে দুই হাতে বলের নাগালও পেয়েছেন নাসির জামাল। তবে রাখতে পারেননি। প্রথম ইনিংসে ৭৬ রান করা মাহমুদুল ‘জীবন’ পেলেন ৪ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসের প্রথম ওভার শেষে বাংলাদেশের রান বিনা উইকেটে ৫।
আবার ব্যাটিং করবে বাংলাদেশ
প্রথম ইনিংসে মাত্র ৩৯ ওভার বোলিং করেছে বাংলাদেশ। তবে ইনিংস ব্যবধানে জয়ের দিকে না হেঁটে ব্যাটসম্যানদের আবার ব্যাটিং করার সুযোগ করে দিচ্ছে ২৩৬ রানে এগিয়ে থাকা দলটি।
আপনি ফলো-অন করাতেন?
১৪৬ রানেই শেষ আফগানিস্তান
মিরাজকে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসে খেলতে গিয়ে মিস করে গেলেন করিম জানাত। হলেন স্টাম্পিং। মিরাজের এটি ১৫০তম টেস্ট উইকেট। ১৪৬ রানেই শেষ হলো আফগানিস্তানের প্রথম ইনিংস। ফলো-অনে পড়েছে তারা। তবে তাদের ফলো-অন লিটন করাবেন কি না, প্রশ্ন সেটিই।
রইল বাকি ১
তাইজুল ইসলামের দারুণ বোলিং। নিজাত মাসুদ বাধ্য হলেন অনেকটা আগবাড়িয়ে ডিফেন্ড করতে গিয়ে। তাতে যে ক্যাচ উঠল, সিলি পয়েন্টে জাকির হাসান নিলেন ভালোভাবে। ১৬ বল খেলে কোনো রান না করেই ফিরে যেতে হলো নিজাতকে। ফলো-অনের দিকে আরেকটু এগিয়ে গেল নবম উইকেট হারিয়ে ফেলা আফগানিস্তান।
এ ম্যাচের ফল কী হবে?
ফলো-অনের শঙ্কা নিয়ে চা-বিরতিতে আফগানিস্তান
সকালের সেশনে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩৮২ রানের মধ্যেই গুটিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে আফগানিস্তানের কাছে এখন সেটিকেই মনে হচ্ছে বেশ দূরের পথ। চা-বিরতিতে আফগানরা গেছে ৮ উইকেটে ১৪৪ রান হারিয়ে। ফলো-অন এড়াতে এখনো তাদের প্রয়োজন ৩৯ রান।
প্রথম সেশনে পড়েছিল ৮ উইকেট, এবার পড়ল ৫ উইকেট। তবে এবার ৫টিই আফগানিস্তানের উইকেট। সেশনের শুরুর দিকেই হাশতমতউল্লাহ শহীদি ফিরেছিলেন। এরপর নাসির জামাল ও আফসার জাজাই জুটি গড়েন। সে জুটি আশা দেখাচ্ছিল আফগানিস্তানকে। কিন্তু ৬৫ রানেই থামে সেটি। এরপর আফগানিস্তান ইনিংসে আবার নামে ধস। ২৪ রানের মধ্যেই ৪ উইকেট হারায় তারা।
ইনিংসে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সেরা বোলার ইবাদত হোসেন। শর্ট বলের ব্যবহার দারুণভাবে করেছেন এ পেসার। লাইন-লেংথও ছিল দারুণ। ৪ উইকেট নিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া শরীফুল ইসলামের সঙ্গে সফল হয়েছেন দুই স্পিনার মিরাজ ও তাইজুলও। তবে দিনটা এখন পর্যন্ত সুবিধার যায়নি তাসকিন আহমেদের।
বাংলাদেশ বেশ কয়েকটি সুযোগ হাতছাড়া করেছে। তবে দারুণ ক্যাচও নিয়েছেন মুমিনুল-জাকিররা। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের জন্য দারুণ ইতিবাচক সেশন।
স্লিপ কর্ডন
তাইজুলের আঘাত
টার্ন, ডানহাতি ব্যাটসম্যানের কাছ থেকে বেরিয়ে যাওয়া। সঙ্গে বাউন্স। ইয়ামিন আহমেদজাইয়ের জন্য যথেষ্ট হলো সেটিই। তাইজুল ইসলাম পেলেন প্রথম উইকেটের দেখা। ২৪ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারাল আফগানিস্তান, ফলো-অন এড়াতে তাদের প্রয়োজন আরও ৪৩ রান। বাকি মাত্র ২ উইকেট।
মুমিনুলের দুর্দান্ত ক্যাচ, ইবাদতের চতুর্থ
এর আগে দারুণ থ্রোয়ে রানআউটের সুযোগ তৈরি করেছিলেন শর্ট লেগে থাকা মুমিনুল হক। সে দফা সফল হননি। এবার একই পজিশনে বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক নিলেন দুর্দান্ত ক্যাচ। ইবাদত হোসেন যথারীতি শর্ট বল করেছেন, সেটি ডিফেন্ড করতে গিয়ে ক্যাচ তোলেন আমির হামজা। শর্ট লেগে থাকা মুমিনুল ডাইভ দেন বাঁদিকে। ইবাদত পেলেন চতুর্থ উইকেট। আফগানিস্তান হারাল সপ্তম উইকেট। ৩০ ওভারে তাদের সংগ্রহ ১২৮ রান।
দর্শক
সুযোগ হাতছাড়া
ইবাদতের বলে উঠেছিল আরেকটি ক্যাচ। শর্ট স্কয়ার লেগে জাকির হাসানের হাতে গিয়ে পড়লেও তীক্ষ্ণ ক্যাচটি নিতে পারেননি তিনি। ব্যাটসম্যান ছিলেন আমির হামজা। এ ওভারে করিম জানাতও ক্যাচ তুলেছিলেন। এবার ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে থাকা তাইজুল ইসলাম বুঝেই উঠতে পারেননি, বলের গতিপথেও যেতে পারেননি ঠিকঠাক। সে বলে চার এসেছে, হতে পারত উইকেটও।
২৮ ওভারে ১২৩/৬, আফগানিস্তান।
নেই আফসারও
আগের ওভারে ফিরলেন নাসির, এবার তাঁকে অনুসরণ করলেন থিতু হওয়া আরেক ব্যাটসম্যান আফসার জাজাইও। ইবাদত হোসেনের শর্ট বলে তুলে মারতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে শরীফুল ইসলামের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ৪০ বলে ৩৬ রান করা আফসার। ৪ বলের মধ্যে, কোনো রান যোগ না করতেই দুই থিতু ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে আবারও চাপে আফগানিস্তান। ১১৬ রানে ৪ উইকেট থেকে তারা পরিণত হলো ১১৬ রানে ৬ উইকেট।
তাসকিনকে সরিয়ে এ ওভারে ফেরানো হয় ইবাদতকে, এসেই সফল তিনি। এ পেসারের এটি তৃতীয় উইকেট।
জুটি ভাঙলেন মিরাজ
পেসারদের সামলাবেন, কিন্তু এরপর আছেন স্পিনাররা! সেই স্পিনারকেই সামলাতে পারলেন না নাসির জামাল। মেহেদী হাসান মিরাজের বলটি আগবাড়িয়ে ডিফেন্ড করতে গিয়ে লাইন মিস করে গিয়েছিলেন নাসির। আম্পায়ার ক্রিস ব্রাউনের এলবিডব্লুর সিদ্ধান্ত রিভিউও করেছিলেন। তবে লাভ হয়নি। উইকেটে দেখিয়েছে আম্পায়ার্স কল। রিভিউ অক্ষত আছে, তবে নাসিরকে ফিরে যেতে হয়েছে। মিরাজ ভাঙলেন আফসারের সঙ্গে নাসিরের ৭৩ বলে ৬৫ রানের জুটি।
এগোচ্ছে নাসির-আফসারের জুটি
৫১ রানে ৪ উইকেট পড়ে গিয়েছিল আফগানিস্তানের। এরপরও পেসাররা সুযোগ তৈরি করেছিলেন, তবে এখন বেশ ভালোভাবেই এগোচ্ছেন নাসির জামাল ও আফসার জাজাই। দুজনের জুটিতে ৫০ রান পেরিয়ে গেছে এরই মধ্যে। তাইজুল ইসলামের পর আনা হয়েছে মেহেদী হাসান মিরাজকেও।
আফগানিস্তান ২৪ ওভারে ১১১/৪।
বোলিংয়ে সাকিব!
না, এ টেস্টে বোলিংয়ে আসেননি সাকিব। আসার কথা নয়-ও। ১৯তম ওভারে প্রথম স্পিনার হিসেবে ইনিংসে বোলিং করতে এসেছেন তাইজুল ইসলাম।
তবে মিরপুর টেস্টের দ্বিতীয় দিন বোলিং অনুশীলন করতে দেখা গেছে চোটের কারণে এ টেস্টের বাইরে থাকা বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে।
১৯ রানের ওভার!
৩ ওভার করার পর সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল তাসকিন আহমেদকে। এরপর থেকে শরীফুল ইসলাম ও ইবাদত হোসেনকে দিয়েই টানা করিয়ে গেছেন লিটন দাস। ইবাদত একটু খরুচে বোলিং করেছেন, তবে নিশ্চিতভাবেই আজ এ পেসারের বোলিংয়ের আসল চেহারাটা তাঁর ফিগারে ফুটে ওঠেনি। ব্যাটের কানায় লেগে চার হয়েছে, স্লিপ কর্ডনে ক্যাচ উঠলেও তাতেও এসেছে বাউন্ডারি। আপাতত ৬ ওভারে ২৯ রান দিয়ে ২ উইকেট নেওয়া ইবাদত মাঠ ছেড়েছেন। ঢাকার ভ্যাপসা গরমে পেসারদের বিরতি দরকার স্বাভাবিকভাবেই।
ফিরতি স্পেলে আসা তাসকিনের শুরুটা ভালো হয়নি। প্রথম বলেই ড্রাইভ করে চার মেরেছেন আফসার জাজাই। সে বলটির পর আরেকটি ডেলিভারিতেও তাসকিনের পা ছিল পপিং ক্রিজের বাইরে। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ইনিংসের তিনটি নো বলই করলেন চোট কাটিয়ে ফেরা এ পেসার। এরপর আফসার আরেকটি চার মেরেছেন, তবে সেটিতে ক্যাচ উঠেছিল তৃতীয় স্লিপ ও গালির গ্যাপে। এবং তাসকিন করেছেন আরেকটি নো বল! এরপর দারুণ অন ড্রাইভে চার মেরেছেন আফসার। তাসকিনের ওভার শেষ হয়েছে আফসারের কাট করে মারা চারে। ফিরতি স্পেলের প্রথম ওভারে তাসকিন করলেন ৯ বল, দিলেন ১৯ রান!
আফসার জাজাই ও নাসির জামালের জুটিটাও গড়ে উঠছে ধীরে ধীরে। এখন পর্যন্ত উঠেছে ৩৯ রান। আফগানিস্তানের এ ইনিংসে এখন পর্যন্ত যেটি সর্বোচ্চ জুটি।
আফগানিস্তান ১৮ ওভারে ৯০/৪।
শরীফুলের দ্বিতীয় উইকেট
এবং আউট হাশমতউল্লাহ শহীদি।
শরীফুল ইসলামের অফ স্টাম্পঘেঁষা লাইন, লেংথ থেকে আবারও বাড়তি বাউন্স। আফগানিস্তান অধিনায়ক ‘স্কয়ারড-আপ’ হয়ে গেছেন, ক্যাচ উঠেছে স্লিপ কর্ডনে। ঠিক সময়ে লাফ দিয়ে ভালো ক্যাচ নিয়েছেন চতুর্থ স্লিপে থাকা মেহেদী হাসান মিরাজ। উইকেট হয়ে দাঁড়িয়েছিল সময়ের অপেক্ষা, সেটিরই দেখা পেল বাংলাদেশ। ৫১ রানে চতুর্থ উইকেট হারিয়েছে আফগানিস্তান।
এক বল পর আবার ক্যাচ গিয়েছিল মিরাজের কাছে। ড্রাইভ করতে গিয়েছিলেন আফসার জাজাই। গালিতে থাকা মিরাজ ডানদিকে ডাইভ দিয়ে বলে হাত লাগালেও নিতে পারেননি। দারুণ চেষ্টা সফল হয়নি এবার।
এখনো নড়বড়ে আফগানিস্তান
শরীফুলের বলে দুবার স্লিপ কর্ডনে ক্যাচ তুলেছিলেন নাসির জামাল। দুবারই অবশ্য বেঁচে গেছেন ফিল্ডারের আগেই বল পড়ায়। মধ্যাহ্নবিরতির পরও আফগানিস্তান ব্যাটসম্যানদের সমস্যা তৈরি করে যাচ্ছেন বাংলাদেশ পেসাররা। এর আগে রানআউটের আরেকটি সুযোগও তৈরি হয়েছিল।
আফগানিস্তান ৩৫/৩, মধ্যাহ্নবিরতি, দ্বিতীয় দিন
রহমত বেঁচেছিলেন, এবার আর বাঁচলেন না। আবার শর্ট বলে সফল ইবাদত। অফ স্টাম্পের বাইরে থেকে টেনে খেলতে গিয়ে আলগাভাবে ক্যাচ তুলেছেন রহমত, শর্ট মিড অনে ধরা পড়েছেন। রহমতের উইকেটেই মধ্যাহ্নবিরতিতে গেছে দুই দল। বাংলাদেশের ৩৮২ রানের জবাবে আফগানিস্তানের স্কোর ৩ উইকেটে ৩৫ রান।
তবে স্কোরের চেহারা হতে পারত ভিন্ন রকম, আফগানিস্তানের দুর্দশা বাড়তে পারত আরও। ক্যাচ পড়েছে, ৫০-৫০ সুযোগ গেছে বাংলাদেশের বিপক্ষে, রান আউটের সুযোগ এলেও কাজে লাগেনি। ৩ উইকেট নিয়ে মধ্যাহ্নবিরতিতে যাওয়া আফগানিস্তান নিজেদের সৌভাগ্যবান ভাবতেই পারে।
এর আগে দ্বিতীয় দিন সকালে ২০ রানেই শেষ ৫ উইকেট হারিয়ে ৩৮২ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। গতকালের ব্যাটিংয়ের পর আরও বড় স্কোরের আশা করা হলেও স্বাগতিকেরা থামে আগেভাগেই।
এ উইকেটে পেসারদের জন্য সহায়তা আছে, এখন বলতেই হবে। দ্বিতীয় নতুন বলে আফগান পেসাররা সফল হয়েছেন, এরপর তো বাংলাদেশ পেসাররাও হলেন। তবে আরও সব উইকেটের মতো লাইন-লেংথ এখানে মূল ব্যাপার, সেটিই আজ ঠিক করতে পেরেছেন দুই দলের পেসাররা।
নড়বড়ে আফগানিস্তান
হচ্ছেটা কী!
আফগানিস্তানের ব্যাটিং দেখে এমন বলাই যায়। ইবাদতের বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে ক্যাচ তুললেন রহমত শাহ। প্রথম স্লিপে থাকা নাজমুল ও দ্বিতীয় স্লিপে থাকা মাহমুদুলের মাঝ দিয়ে গেছে সেটি, দুই ফিল্ডারই চেয়ে চেয়ে দেখেছেন। এরপর বাড়তি বাউন্সের বলে আবার রহমতের ব্যাটের কানায় লেগে উঠেছিল ক্যাচ। এবার তৃতীয় স্লিপে থাকা জাকির হাসানের নাগালের বাইরে দিয়ে গেছে সেটি। জাকির অবশ্য ডাইভ দিয়েছিলেন। ইবাদতের কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা হয়ে ওই দুই ক্যাচের সুযোগই শেষ পর্যন্ত রূপান্তরিত হয়েছে চারে। রহমত ‘অক্ষত’ আছেন। আফগানিস্তানের স্কোরেও ২ উইকেটই এখনো।
আরেকটি রানআউটের সুযোগ!
এবার ফিরতে পারতেন রহমত শাহ। মিড অফে খেলে ঝুঁকিপূর্ণ সিঙ্গেল নিতে গিয়েছিলেন রহমত। শর্ট এক্সট্রা কাভারে থাকা মুশফিক ভালোভাবে ধরে নন স্ট্রাইক প্রান্তের স্টাম্প বরাবর থ্রো করেছিলেন, কিন্তু অল্পের জন্য লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি। সেটি করতে পারলে রহমতকে ড্রেসিংরুমের পথ ধরতে হতো নিশ্চিতভাবেই। ইনিংসে তৃতীয় রানআউটের সুযোগ এলো বাংলাদেশের সামনে (যদিও মুমিনুলেরটি তিনি নিজেই তৈরি করেছিলেন বলতে হবে), তবে একটিতেও উইকেট পড়েনি।
ইবাদতের শর্ট বলে ফিরলেন মালিক
শর্ট বল, যাকে বলে ‘ওয়েল ডিরেক্টেড বাউন্সার’। ইবাদত হোসেনের এমন ডেলিভারির শিকার আবদুল মালিক। তৃতীয় স্লিপে জাকির হাসান ক্যাচটি ঠিকঠাক নিয়েছেন কি না, সেটির জন্য অন ফিল্ড আম্পায়াররা দ্বারস্থ হন টেলিভিশন আম্পায়ারের কাছে। সফট সিগন্যালের নিয়ম উঠে গেছে বলে এখন টেলিভিশন আম্পায়াররা শুধু সিদ্ধান্ত দিতে সহায়তা করবেন অন ফিল্ড আম্পায়ারের কাছে। যদিও সিদ্ধান্ত আসতে বেশ দেরি হয়েছে। দেখে মনে হয়েছে, যেমন অ্যাঙ্গেল চান, টেলিভিশন আম্পায়ার সেটি পাননি। শেষ পর্যন্ত ফ্রন্ট অনে জুম করেই দেখেছেন, তাতেই আউট দেওয়া হয়েছে মালিককে।
ইবাদত সফল হলেন প্রথম ওভার করতে এসেই। প্রথম ২ বলে ৬ রান দিয়ে শুরু করেছিলেন এ পেসার। তবে সফল হলেন দ্রুতই। ২৪ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারাল আফগানিস্তান।
অল্পের জন্য বাঁচলেন রহমত
কট-বিহাইন্ডের পর রানআউট! বাংলাদেশের দায়মোচন হয়েই গিয়েছিল প্রায়। এ ক্রমেই এর আগে সুযোগ হারিয়েছিল বাংলাদেশ। এবার উইকেটও পড়তে ধরেছিল এ ক্রমেই। তবে সূক্ষ্ণ ব্যবধানে বেঁচে গেলেন রহমত শাহ। প্রায় একই সঙ্গে স্টাম্প ভেঙেছে, ব্যাটও ক্রিজের ভেতরে নামাতে পেরেছেন রহমত। এ ক্ষেত্রে বেনিফিট অব ডাউট পাওয়ার কথা ব্যাটসম্যানেরই, সেটি তিনি পেলেনও। শর্ট লেগ থেকে দারুণ থ্রোয়ে সরাসরি স্টাম্প ভেঙেছিলেন মুমিনুল হক। সেটি অবশ্য কাজে এলো না।
আফগানিস্তান ৬ ওভারে ১৮/১।
প্রথম আঘাত শরীফুলের, লিটনের দায়মোচন
ইব্রাহিম জীবন পেয়েছিলেন লিটনের হাতে, শরীফুল ইসলামের বলে। এ বোলার-উইকেটকিপার জুটির কাছেই ধরা পড়লেন ইব্রাহিম। আবারও রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে করেছিলেন শরীফুল। লেংথ থেকে লাফিয়ে ওঠা বলটা বেরিয়ে যাচ্ছিল অফ স্টাম্পের বাইরে দিয়ে। ইব্রাহিম সেটিকে আলতো করে খেলতে গিয়ে খোঁচা দিয়েছেন। এবার লিটনকে ডাইভ দিতে হয়নি। বাংলাদেশ অধিনায়কের ভুলও হয়নি ক্যাচ নিতে। ১৮ রানে প্রথম উইকেট হারিয়েছে আফগানিস্তান।
হ্যালো, মিস্টার এক্সট্রা
১৬ নো বল।
৮ বাই।
৭ ওয়াইড।
১ লেগ বাই।
আফগানিস্তান প্রথম ইনিংসে ছিল এলোমেলো। যদিও দ্বিতীয় দিন সকালে দারুণ আঁটসাঁট বোলিং করে সফল হয়েছে তারা। আফগানিস্তানের দেওয়া ৩২ রানের চেয়ে বেশি অতিরিক্ত রান বাংলাদেশের বিপক্ষে আছে আর ৯ বার। সবার ওপরে নিউজিল্যান্ড। ২০০৮ সালে ওয়েলিংটনে বাংলাদেশের ৩৯৩ রানের স্কোরের মধ্যে ৫১ রানই ছিল অতিরিক্ত। সেবার নো বল ছিল ১৩টি।
১৬টি নো বল নিয়ে আফগানিস্তান এ তালিকায় আছে যৌথভাবে ছয় নম্বরে।
এখন অতিরিক্ত নিয়ে কথা বলার কারণ, একটু আগে বাংলাদেশ ইনিংসে প্রথম নো বলটি করেছেন তাসকিন আহমেদ।
২ বলে বাঁচলেন দুই ওপেনার
২ বল, ২ সুযোগ। দুই আফগান ওপেনারই পেলেন জীবন।
ক্যাচটি সহজ হতে পারত প্রথম স্লিতে থাকা নাজমুল হোসেনের জন্য। তবে উইকেটকিপার ও অধিনায়ক লিটন দাস ডানদিকে ডাইভ দিয়ে নিতে গেলেন সেটি। সফল হননি। শরীফুল ইসলামের বলে বেঁচে গেছেন ইব্রাহিম জাদরান। ওভার দ্য উইকেট থেকে করা শরীফুলের বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে ক্যাচ তুলেছিলেন আফগান ওপেনার।
পরের ওভারের প্রথম বলে আউট হতে পারতেন আবদুল মালিকও। কাভারে খেলে ডাবলস নিতে গিয়েছিলেন। তবে তাইজুল ইসলামের থ্রো যখন ননস্ট্রাইক প্রান্তে তাসকিন আহমেদের হাতে পৌঁছায়, ক্রিজের বাইরেই ছিলেন তিনি। কিন্তু তাসকিন ঠিকঠাক স্টাম্প ভাঙতে পারেননি।
ওভার থ্রো থেকে ঠিকই ডাবলস পেয়েছেন মালিক।
সুযোগ তৈরি হয়েছে, তবে এখন পর্যন্ত তা নিতে ব্যর্থ বাংলাদেশ দল।
ট্রটের আশা প্রায় পূরণ করতে পেরেছে আফগানিস্তান
১০ রানে ৫ উইকেট নিতে চাই। এরপর ৫০০ রান করতে চাই (হাসি)।
গতকাল প্রথম দিনের খেলা শেষে বলেছিলান আফগানিস্তান কোচ। ১০ রানে না হলেও ২০ রানে শেষ ৫ উইকেট নিতে পেরেছে তারা। এখন ব্যাটসম্যানদের পালা!
দূর্বল লেজ
শেষ ৪ উইকেটে ৯ বা এর কম রান যোগ করতে পারার ঘটনা বাংলাদেশের ইতিহাসে আছে আর ৬টি। সর্বনিম্ন ০ রান, ২০১৩ সালে হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৩৪ রানে দাঁড়িয়েই শেষ ৪ (আদতে ৫টি) উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ।
৪৫ মিনিটেই শেষ বাংলাদেশ
নিজাত মাসুদের গতকাল সকালটা ছিল রঙিন, ক্যারিয়ারের প্রথম বলেই পেয়েছিলেন উইকেট। দ্বিতীয় দিন সকালটা আরও রাঙালেন আফগানিস্তানের অভিষিক্ত পেসার। অভিষেকেই ৫ উইকেট পেয়ে গেলেন তিনি। মুশফিকুর রহিম, তাইজুল ইসলামের পর তাঁর সর্বশেষ শিকার শরীফুল ইসলাম। এ বাঁহাতি ফুললেংথের বলে হয়েছেন বোল্ড।
৩৮২ রানেই প্রথম ইনিংসে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ। ফলে দ্বিতীয় দিন সকালে ২০ রানে শেষ ৫ উইকেট হারিয়েছে তারা।
গতকাল প্রথম দিনে আফগানিস্তান বোলিংয়ে ছিল এলোমেলো, সেটির পুরো সুবিধা আদায়ও করে বাংলাদেশ। তবে ৫ উইকেটে ৩৬২ রান নিয়ে দিন শুরু করা স্বাগতিকদের নজর নিশ্চয়ই ছিল ৪০০ পেরিয়ে আরও বড় স্কোরের দিকে। মুশফিকুর রহিম ও মেহেদী হাসান মিরাজ, দুজনই দিন শুরু করেন ফিফটির সুবাস নিয়ে। কেউই ফিফটি পাননি, বাংলাদেশ ইনিংসেও নেমেছে নাটকীয় ধস।
দ্বিতীয় দিন সকালে ৪৫ মিনিট ব্যাটিং করতে পেরেছে লিটন দাসের দল। শেষ ৫ উইকেটই পড়েছে পড়েছে দ্বিতীয় নতুন বলে।
সকালটা যেমন যাচ্ছে বাংলাদেশের...
ফেরার মিছিলে তাসকিনও
বড় সংগ্রহের লক্ষ্যে দ্বিতীয় দিনে ভালো শুরু চেয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু আউট হওয়ার মিছিল শুরু হওয়ায় তা আর হলো না। মাত্র ৩ ওভারের মধ্যে ৪ উইকেট, আরও খোলাসা করে বললে ১৫ বলের ব্যবধানে এই ৪ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। মড়কের এই মিছিয়ে আউট হওয়া সর্বশেষ ব্যাটসম্যানটি তাসকিন আহমেদ। ইয়ামিনের বলে এলবিডব্লিউ হন।
বাংলাদেশ ৯ উইকেটে ৩৭৭।
মড়কের মিছিল!
দ্বিতীয় দিনে আফগানিস্তানের শুরুটা এর চেয়ে ভালো হতে পারত না!
মুশফিককে আউট করার ওভারেই (৮৪তম ওভার) নতুন ব্যাটসম্যান তাইজুলকেও তুলে নিলেন নিজাত মাসুদ। সেই খাটো লেংথের ডেলিভারিতেই। মুশফিক আউট হওয়ার এক বল পর তাইজুলের শরীর তাক করে বল তুলেছিলেন নিজাত। লেগে খেলতে গিয়ে কাছেই দাঁড়িয়ে থাকা আবদুল মালিককে ক্যাচ দেন তাইজুল। ০ রানেই আউট হলেন এই স্পিনার।
৮ বলের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারাল বাংলাদেশ। উইকেটে তাসকিন ও শরীফুল ইসলাম। বাংলাদেশ ৮ উইকেটে ৩৭৬।
মিরাজের পর নেই মুশফিকও
মাত্র ৪ বলের ব্যবধান!
মেহেদী হাসান মিরাজ আউট হওয়ার চার বল পর আউট মুশফিকুর রহিমও। নিজাত মাসুদের অফ স্টাম্পের বাইরের বল লাফিয়ে উঠেছিল। মুশফিক নিচে খেলার চেষ্টা করলেও নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি। বল তাঁর ব্যাটের হ্যান্ডল ও গ্লাভস ছুঁয়ে জমা পড়ে দ্বিতীয় স্লিপে নাসির জামালের হাতে। ৪৭ রানে আউট হলেন মুশফিক।
উইকেটে তাসকিন আহমেদ ও তাইজুল ইসলাম।
মিরাজ আউট
দ্বিতীয় দিনের শুরুটা ভালো হলো না বাংলাদেশের। দিনের চতুর্থ ওভারেই আউট হলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ইয়ামিন আহমেদজাইয়ের বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ তুলে ফিরেছেন এই অলরাউন্ডার। আজ মাত্র ৫ রান যোগ করে ৪৮ রানে আউট হলেন মিরাজ। ৪৭ রানে অপরাজিত মুশফিকের সঙ্গে উইকেটে জুটি বেঁধেছেন তাসকিন আহমেদ।
বাংলাদেশ ৬ উইকেটে ৩৭৫।
২ বল পর নতুন বল
ইয়ামিন আহমেদজাই পুরোনো বলেই করতে এসেছিলেন ৮১তম ওভার। তবে ২ বল করার পরই নতুন বল নিয়েছে আফগানিস্তান।
দ্বিতীয় দিনে স্বাগত
প্রথম দিনটা নিজেদের করে নিয়েছে বাংলাদেশ, ৫ উইকেটে ৩৬২ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনে নামছে স্বাগতিকেরা। অপরাজিত মুশফিকুর রহিম ও মেহেদী হাসান মিরাজ, দুজনই ৪০ পেরিয়ে অপরাজিত। বড় স্কোরের দিকে নজর বাংলাদেশের। আফগানিস্তানের প্রয়োজন দ্রুত উইকেট। ১ ওভার পরই তারা পাবে দ্বিতীয় নতুন বল।
মিরপুর টেস্টের দ্বিতীয় দিনে আপনাকে স্বাগত!