যে কারণে রিশাদকে টেস্টেও চান মুশতাক
বাংলাদেশ ক্রিকেটে লেগ স্পিনার খুঁজে ফেরার গল্পটা অনেক দিনের। মাঝেমধ্যে দু–একজন এসেছেন, কিন্তু আলো ছড়ানোর আগেই হারিয়ে গেছেন। সেই শূন্যতায় নতুন আলো হয়ে এসেছেন রিশাদ হোসেন। ২০২৩ সালের মার্চে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টি–টোয়েন্টি দিয়ে জাতীয় দলে অভিষেক হয়েছিল তাঁর।
এরপর সময়ের সঙ্গে নিজেকে গড়ে তুলেছেন। এখন তিনি সাদা বলের ক্রিকেটে দলের নিয়মিত মুখ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে ক্যারিয়ারের প্রথম ৫ উইকেট নিয়ে যেন আরও উঁচুতে তুললেন প্রত্যাশার পারদ।
১০০ ভাগ (নিশ্চিত) সে টেস্ট খেলতে পারে। কারণ, সব দলেই শেষ চার ব্যাটসম্যান এখন ব্যাট করতে পারে। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া কিংবা ইংল্যান্ডেও, শেষের ব্যাটসম্যানরা লেগ স্পিনারদের বিপক্ষে সহজে ব্যাট করতে পারে না। তার ওপর রিশাদের যে উচ্চতা ও বাউন্স, তাতে সে আরও কার্যকরী হবে।মুশতাক আহমেদ, স্পিন বোলিং কোচ, বাংলাদেশ
প্রশ্নটা এখন—সাদা বলের ক্রিকেটে থিতু হওয়া রিশাদ কি টেস্টেও জায়গা করে নিতে পারেন? তবে টেস্ট মানেই আরও বেশি ধৈর্যের পরীক্ষা, আরও বেশি বোলিং বৈচিত্র্য দেখানোর চ্যালেঞ্জ। রিশাদ কি সেই চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত?
জাতীয় দলের স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদও রিশাদকে টেস্টে দেখতে চান। আজ মিরপুরে দ্বিতীয় ওয়ানডের আগের সংবাদ সম্মেলনে তিনি বললেন, ‘১০০ ভাগ (নিশ্চিত) সে টেস্ট খেলতে পারে। কারণ, সব দলেই শেষ চার ব্যাটসম্যান এখন ব্যাট করতে পারে। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া কিংবা ইংল্যান্ডেও, শেষের ব্যাটসম্যানরা লেগ স্পিনারদের বিপক্ষে সহজে ব্যাট করতে পারে না। তার ওপর রিশাদের যে উচ্চতা ও বাউন্স, তাতে সে আরও কার্যকরী হবে।’
দুই বছর ধরে সাদা বলের ক্রিকেটে জাতীয় দলে নিয়মিত রিশাদ। কিন্তু ঘরোয়া ক্রিকেটে তাঁকে দেখা যায় অনিয়মিতভাবে। দীর্ঘ পরিসরের ম্যাচে সুযোগ মেলে আরও কম। অথচ তাঁর পেশাদার ক্রিকেট–যাত্রা শুরু হয়েছিল প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট দিয়েই।
২০১৮ সালে অভিষেকের পর এখন পর্যন্ত মাত্র ২১টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন তিনি। উইকেট নিয়েছেন ৩১টি। লাল বলের ক্রিকেটে চার বছর পর তাঁর অভিষেক হয় লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে। গত বছর জাতীয় ক্রিকেট লিগে রংপুরের হয়ে খেলেছেন ২ ম্যাচ, নিয়েছেন ৫ উইকেট।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিয়মিত হওয়ার আগ্রহ রিশাদেরও আছে। মুশতাক জানালেন, ‘যদিও সে টেস্ট দলের অংশ নয়, তবে তার তা হতে হবে। রিশাদ নিজেও চার দিনের ক্রিকেট খেলতে খুব আগ্রহী। কারণ সে জানে, যত লাল বলের ক্রিকেট খেলবে, ততই তার বোলিং আরও ভালো হবে।’