টি–টোয়েন্টিতে বাবর–রিজওয়ানেরই পাকিস্তানের ব্যাটিং ওপেন করা উচিত, বলছেন রমিজ

পাকিস্তানের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি ৫১ বার ইনিংস উদ্বোধন করেছেন বাবর ও রিজওয়ানএএফপি

টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের হয়ে ব্যাটিং উদ্বোধন করবে কোন জুটি? প্রশ্নটি অনেক দিনের। এ নিয়ে আলোচনাও হয়েছে অনেক, তবে সমাধান মিলছে না। রানের হিসাবে টি-টোয়েন্টিতে সর্বকালের সেরা উদ্বোধনী জুটি বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের।

তবে দুজনের দ্রুত রান তোলার সামর্থ্যে বিশ্বাস না রেখে গত জানুয়ারিতে নিউজিল্যান্ড সিরিজে জুটি ভাঙা হয়। তখন বাবরের জায়গায় পাঠানো হয় সাইম আইয়ুবকে। এরপর সম্প্রতি ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ড সিরিজে বাবরের সঙ্গে ওপেনিংয়ে পাঠানো হয় সাইমকে। তবে দুই সিরিজেও ব্যর্থ হয়েছেন সাইম। তাই পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার ও পিসিবি প্রধান রমিজ রাজা আবার বাবর-রিজওয়ানের উদ্বোধনী জুটিতেই পাকিস্তানের ফেরা উচিত বলে মনে করেন।

পাকিস্তানের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি ৫১ বার ইনিংস উদ্বোধন করেছেন এই বাবর ও রিজওয়ানই। ৫১ ইনিংসে দুজনের জুটি থেকে এসেছে ২৪০০ রান, যা আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে উদ্বোধনী জুটিতে সবেচয়ে বেশি। দুজনে গড়েছেন ৮টি শতরানের জুটি। টি-টোয়েন্টিতে প্রথম উইকেটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শতরানের জুটি (৪টি) রোহিত শর্মা ও শিখর ধাওয়ানের।

এখনও সেরাটা দিতে পারেননি সাইম
এএফপি

বাবর-রিজওয়ানের উদ্বোধনী জুটি থেকে পাকিস্তান প্রায় ৪৯ গড়ে রান পেয়েছে। তবে এই জুটির স্ট্রাইক রেট নিয়ে প্রশ্ন অনেক দিনের। সে কারণেই বাবর অধিনায়কত্ব থেকে সরার পর নিউজিল্যান্ড সিরিজে বাবরের জায়গায় সাইমকে ওপেনিংয়ে পাঠানো হয়েছে। সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৮ বলে ২৭ রান করা সাইম পরের তিন ম্যাচেই হয়েছেন ব্যর্থ। সম্প্রতি শেষ হওয়া নিউজিল্যান্ড সিরিজেও ভালো করতে পারেননি। ৪ ইনিংস ব্যাট করে তিনি করেছেন যথাক্রমে ৪, ৩২, ২০ ও ১।

এ নিয়ে পাকিস্তানের সাবেক পিসিবি প্রধান রমিজ নিজের ইউটিউব চ্যানেলে বলেছেন, ‘পাকিস্তানের হয়ে বাবর-রিজওয়ানেরই ওপেন করা উচিত। কম্বিনেশন এমনভাবে সাজানো উচিত যাতে জুটি তৈরি হয়, ম্যাচটাকে শেষ পর্যন্ত নেওয়া হয়। বাবর-রিজওয়ান জুটি আমাদের জন্য নিরাপদ, এটা পরীক্ষিত জুটি। এখন প্রথম দুই–তিন ওভারেই কয়েকটি উইকেট পড়ে যায়, যা আমাদের মোমেন্টাম তৈরি করতে দেয় না।’

আরও পড়ুন

রমিজ যোগ করে বলেন, ‘আমাদের ওপেনিং জুটি ঠিক নেই। সাইম প্রথম দুই ম্যাচে নিজের কৌশলে খেলল, সফল না হয়ে তৃতীয় ম্যাচে কৌশল পাল্টানোর চেষ্টা করল, যা ওর জন্য আরও কঠিন হয়েছে। সফলতা অর্জন করলে ও আত্মবিশ্বাস পাবে। শুরুর দিকে বাবরেরও একই অবস্থা ছিল, প্রতিভা ছিল তবে আত্মবিশ্বাস ও অভিজ্ঞতার ঘাটতি ছিল।’

আইপিএলের কারণে নিউজিল্যান্ড বেশির ভাগ বড় নামকে ছাড়াই পাকিস্তানে সিরিজ খেলতে এসেছিল। এরপরও পাকিস্তানের বিপক্ষে ২-২ ব্যবধানে সিরিজ ড্র করেছে তারা। রমিজ মনে করেন বিশ্বকাপ প্রস্তুতির অংশ হিসেবে খেলা এই সিরিজ টপ অর্ডার নিয়ে কোনো সমাধানই দিতে পারেনি পাকিস্তানকে, ‘আমি এখনো বিশ্বাস করি, পাকিস্তান দলের এখনো অনেক প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। এই সিরিজ কোনো প্রশ্নের সমাধান দিতে পারেনি বরং অনেক সমস্যাকে সামনে নিয়ে এসেছে।’

আরও পড়ুন