ডাবল সেঞ্চুরি করেও যে কারণে রেকর্ড বইয়ে নেই সৌম্য–অভিজ্ঞান
সৌম্য সরকার আফসোস করতে পারেন—ইশ্ সেই ম্যাচটি যদি কাতারের বিপক্ষে না হতো! অভিজ্ঞান কুণ্ডুরও একই রকম আক্ষেপ হতে পারে—ম্যাচটি যদি মালয়েশিয়ার বিপক্ষে না হতো!
বাংলাদেশের সৌম্য আর ভারতের অভিজ্ঞানের এমন আফসোসের কথা কেন বলা হচ্ছে—এই প্রশ্ন কেউ করতেই পারেন। তাঁদের আক্ষেপের কারণ একটাই—যুব ওয়ানডেতে ডাবল সেঞ্চুরি করেও যে রেকর্ড বইয়ে জায়গা পাননি তাঁরা। রেকর্ড বইয়ের সেই পৃষ্ঠায় যুব ওয়ানডের একমাত্র ডাবল সেঞ্চুরিয়ান হিসেবে নাম আছে শুধু একজনের—দক্ষিণ আফ্রিকার ইয়ুরিখ ফন শালকভিক। এ বছরেরই জুলাইয়ে জিম্বাবুয়ের হারারেতে ত্রিদেশীয় অনূর্ধ্ব-১৯ সিরিজে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৯ চার ও ৬ ছয়ে ১৫৩ বলে ২১৫ রান করেছিলেন তিনি। জিম্বাবুয়েকে ১০৭ রানে অলআউট করে দিয়ে ম্যাচটি তাঁর দল জিতেছিল ২৭৮ রানে।
আসা যাক সৌম্য-অভিজ্ঞানের আক্ষেপে। সৌম্য ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন ২০১২ সালে। ২০১৫ বলে তাঁর ১৩৫ বলে তাঁর ২০৯ রানের ইনিংসটি ছিল কাতারের বিপক্ষে। আর অভিজ্ঞান ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন আজ, অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে। মালয়েশিয়ার বিপক্ষে তাঁর ১২৫ বলে ১৭ চার ও ৯ ছয়ে খেলা অপরাজিত ২০৯ রানের ইনিংসে ভর করে ভারত তোলে ৭ উইকেটে ৪০৭ রান। জবাবে ৯৩ রানে অলআউট হয়ে যায় মালয়েশিয়া। ভারত ম্যাচটি জিতেছে ৩১৫ রানে।
শালকভিকের সঙ্গে সৌম্য ও অভিজ্ঞানের ডাবল সেঞ্চুরির পার্থক্য একটাই—শালকভিকের ইনিংসটি যুব ওয়ানডের মর্যাদা থাকা দল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আর সৌম্যর প্রতিপক্ষ কাতার ও অভিজ্ঞানের প্রতিপক্ষ মালয়েশিয়া দলের কোনোটিরই যুব ওয়ানডে মর্যাদা নেই। এ কারণেই সৌম্য ও অভিজ্ঞানের ডাবল সেঞ্চুরি নেই রেকর্ড বইয়ে। সেখানে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের ইনিংসের তালিকায় শালকভিকের ২১৫ রানের পর শ্রীলঙ্কার হাসিতা বয়াগোদার ১৯১।