স্মিথ, কামিন্সের পর এবার মিচেল মার্শেরও ‘না’
অ্যারন ফিঞ্চ ওয়ানডে থেকে অবসর নিয়েছেন এক মাস হলো। সাবেক অধিনায়কের বিদায়ের পর এখনো তার জায়গায় নতুন ওয়ানডে অধিনায়কের নাম ঘোষণা করেনি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। ঘোষণা করবেই বা কীভাবে! অধিনায়কত্ব নিয়ে আলোচনায় থাকা কয়েক জন ক্রিকেটার এরই মধ্যে জানিয়ে দিয়েছেন ওয়ানডে অধিনায়কত্ব নিয়ে তাদের আগ্রহ নেই। এবার সেই তালিকায় যোগ হলো অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার মিচেল মার্শের নাম।
ওয়ানডে দলের অধিনায়কত্ব নেওয়ার আগ্রহ আছে কি? নেতৃত্ব পেলে নেবেন কি না, এমন প্রশ্নে মার্শ সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন , অধিনায়কত্ব তাঁর জন্য নয়, ‘ সত্যি বলতে অধিনায়কত্বের দৌড়ে আমি নেই। বিশ্বকাপের আগে নিজেকে পুরোপুরি ফিট রাখতে হবে। বিশ্বকাপের মতো রোমাঞ্চকর আসরের আগে , এই ধরনের কোনো দায়িত্ব আমার ভাবনার মধ্যেই নেই। বিশ্বকাপের পর হয়তো ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার একটা সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তবে এই বিষয় নিয়ে আমার ভাবনা নেই।’
এর আগে স্টিভেন স্মিথ এ প্যাট কামিন্স অধিনায়কত্ব নিয়ে তাদের অনাগ্রহের কথা জানিয়েছিলেন। স্মিথের কথাতে তো অনেকে অবসরের ইঙ্গিতও খুঁজে পেয়েছেন, ‘যদি বোর্ড আমাকে দায়িত্ব নিতে বলে, সত্যি করে বললে আমি আসলে এ মুহূর্তে জানি না কী করব। আমার বয়স হচ্ছে। অবসরের তালিকায় পরবর্তী নামটা তো আমারও হতে পারে। তাই দেখা যাক, কী হয়!’
অস্ট্রেলিয়ার লাল বলের অধিনায়ক প্যাট কামিন্স নিজেকে ফিট রাখতেই সাদা বলের ক্রিকেটে নেতৃত্ব দিতে চান না। কামিন্স বলেছিলেন, ‘সব সংস্করণে নেতৃত্ব দেওয়া, সব ম্যাচ খেলা আমার মনে হয় না বাস্তব কোনো চিন্তা। একজন পেসারকে বিশ্রাম দেওয়ার জন্য আপনার সময় খুঁজে বের করতেই হবে।’
তবে অস্ট্রেলিয়াকে নেতৃত্ব দিতে চান ডেভিড ওয়ার্নার। তবে অধিনায়কত্ব পাওয়ার পথে তাঁর সবচেয়ে বড় বাধা চার বছর আগে কেপটাউনে অস্ট্রেলিয়ার বল টেম্পারিং-কাণ্ড। যে কারণে আজীবন অস্ট্রেলিয়ার কোনো পর্যায়ের ক্রিকেটেই তিনি নেতৃত্বে আসতে পারবেন না এ ওপেনার।
এ নিয়ে বোর্ডের সঙ্গে কথা বলতে আগেই আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন ওয়ার্নার, ‘আমার ফোন কাছেই আছে, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া চাইলেই ফোন করতে পারে। যা হওয়ার তা হয়ে গেছে। ভালো দিক হচ্ছে, বোর্ডে পরিবর্তন এসেছে। আমি সব সময়ই বোর্ডের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি, যেকোনো বিষয় নিয়ে কথা বলতে রাজি।’