বাংলাদেশকে ধসিয়ে দিয়ে র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে রশিদ ও আজমত

বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজে ১১ উইকেট নিয়েছেন রশিদ খানএসিবি

বল করেছেন ১৪৭টি, রান দিয়েছেন মাত্র ৬৭। ওভারপ্রতি ইকোনমি ২.৭৩। উইকেট নিয়েছেন ১১টি।

শারজায় সদ্য শেষ হওয়া ওয়ানডে সিরিজে বল হাতে বাংলাদেশকে প্রায় একাই গুঁড়িয়ে দিয়েছেন আফগানিস্তান অধিনায়ক রশিদ খান। সেই পারফরম্যান্সের স্বীকৃতি মিলেছে আইসিসি র‍্যাঙ্কিংয়েও। ওয়ানডে বোলারদের তালিকায় উঠে গেছেন এক নম্বরে। শুধু তাই নয়, অলরাউন্ডার র‍্যাঙ্কিংয়েও শীর্ষে উঠেছেন আরেক আফগান—আজমতউল্লাহ ওমরজাই। ব্যাটসম্যানদের মধ্যে দুইয়ে উঠে এসেছেন ইব্রাহিম জাদরান।

রশিদ সর্বশেষ বোলারদের র‍্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বরে ছিলেন ২০২৪ সালের নভেম্বরে। প্রায় এক বছর পর আবারও ফিরলেন, এক লাফে ছয় ধাপ এগিয়ে। তাঁর বর্তমান রেটিং পয়েন্ট ৭১০। দ্বিতীয় স্থানে নেমে যাওয়া কেশব মহারাজের চেয়ে ৩০ পয়েন্ট বেশি।

বাংলাদেশকে ৩-০ ব্যবধানে হারানোর সিরিজে রশিদ তিন ম্যাচেই ছিলেন ধারাবাহিক। প্রথম ওয়ানডেতে ৩৮ রানে ৩, দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ১৭ রানে ৫ আর তৃতীয় ওয়ানডেতে ১২ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন।

সিরিজসেরা ইব্রাহিম জাদরান ব্যাটসম্যানদের র‍্যাঙ্কিংয়ে এগিয়েছেন ৮ ধাপ। এখন তিনি দুইয়ে। আফগানিস্তানের কোনো ব্যাটসম্যানের জন্য এটিই সর্বোচ্চ অবস্থান। সিরিজে তাঁর ইনিংস ছিল ২৩, ৯৫ ও ৯৫ রান। এখন শীর্ষে থাকা শুবমান গিলের চেয়ে মাত্র ২০ রেটিং পয়েন্ট পেছনে। গিলের ৭৮৪, জাদরানের ৭৬৪।

আরও পড়ুন

অলরাউন্ডার র‍্যাঙ্কিংয়েও এসেছে পরিবর্তন। আজমতউল্লাহ ওমরজাই পেছনে ফেলেছেন সিকান্দার রাজাকে। ফেব্রুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত এক নম্বরে থাকার পর রাজা সেই জায়গা হারিয়েছিলেন। বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচে ৭ উইকেট ও ৬০ রান করে আবারও শীর্ষে ফিরেছেন আজমতউল্লাহ।

আবারও অলরাউন্ডারদের শীর্ষে আজমতউল্লাহ ওমরজাই
আইসিসি/গেটি

বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের মধ্যে র‍্যাঙ্কিংয়ে সেরা অবস্থানে আছেন তাওহিদ হৃদয়—ব্যাটিংয়ে ৭ ধাপ এগিয়ে এখন ৪২তম। বোলিংয়ে মেহেদী হাসান মিরাজ ৪ ধাপ এগিয়ে ২৪তম। অলরাউন্ডার তালিকায় মিরাজ এক ধাপ পিছিয়ে এখন পঞ্চম।

আরও পড়ুন