সিলেট টাইটানস: ১৯০/৫। রাজশাহী ওয়ারিয়র্স: ১৯২/২। ফল: রাজশাহী ৮ উইকেটে জয়ী।
হজরতউল্লাহ জাজাইয়ের হাত থেকে বলটা ফসকে গেল বাউন্ডারি লাইনের খুব কাছে। এক রানের জায়গায় ততক্ষণে দৌড়ে দুই রান নিয়েছেন মুশফিকুর রহিম ও নাজমুল হোসেন। স্ট্রাইক প্রান্তের ক্রিজের দাগ ছুঁয়েই নাজমুল ছুটতে শুরু করলেন আরও অনেকটা দূর—ব্যাটে চুমো এঁকে দেওয়া তাঁর সেই উদ্যাপনটাও দেখা গেল এরপর।
নাজমুলের এমন উদ্যাপন তিন অঙ্ক ছোঁয়ার আনন্দে। নিশ্চিতভাবেই আজ তা আরও রঙিন হয়েছে দলের জয়টা নিশ্চিত করতে পারায়। ১০১ রানে অপরাজিত থেকে নাজমুল মাঠ ছেড়েছেন সিলেট টাইটানসের বিপক্ষে রাজশাহী ওয়ারিয়র্সকে ৮ উইকেটে জিতিয়ে।
নাজমুলের জন্য সেঞ্চুরিটা আরও বিশেষ হয়েছে অন্য একটা কারণেও—গতবারের বিপিএলে ফরচুন বরিশালের একাদশে সব মিলিয়ে সুযোগ পেয়েছিলেন মাত্র ৫ ম্যাচ। প্রায় পুরো টুর্নামেন্টজুড়েই শুনেছেন দুয়োধ্বনি।
আজ সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে নাজমুল মাঠে নামেন ১৯০ রান তাড়ায় রাজশাহী ৪৩ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর। শেষ পর্যন্ত মাঠ ছেড়েছেন মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে ৭১ বলে ১৩০ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটিতে ২ বল আগেই দলকে জিতিয়ে। মাঝে ৬০ বলের ইনিংসে ১০ চার ও ৫ ছক্কায় তাঁর ব্যাট থেকে আসে ১০১ রান। ৫৮তম বলে পূর্ণ করা সেঞ্চুরিটি টি-টোয়েন্টিতে তাঁর তৃতীয়।
শুধু নাজমুলই নন, রাজশাহীর বড় জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা মুশফিকেরও। নিলামে প্রথম ডাকে অবিক্রীত থাকা এই উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান খেলেছেন ৩১ বলে ৫১ রানের ইনিংস। তাঁর ব্যাটে আসা বাউন্ডারিতেই জয় নিশ্চিত হয় রাজশাহীর।
অথচ ম্যাচের প্রথম ইনিংসের পর মনে হচ্ছিল মঞ্চটা পারভেজ হোসেনের জন্যই সাজানো। টস হেরে ব্যাট করতে নামা সিলেটের রান দুই শর কাছাকাছি যাওয়ায় মূল অবদান তাঁর। চার নম্বরে নেমে পারভেজ চার-ছক্কায় মাতিয়েছেন সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের প্রায় ১৮ হাজার দর্শকের গ্যালারি।
২৫ বলে ৩৬ রানের উদ্বোধনী জুটির ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে পারভেজ ৩৩ বলে ৪ চার ও ৫ ছক্কায় করেন অপরাজিত ৬৫ রান। তবে শেষ পর্যন্ত তাঁর সাজিয়ে রাখা মঞ্চে শেষ পর্যন্ত নায়ক হয়ে উঠেছেন নাজমুলই।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
সিলেট টাইটানস: ২০ ওভারে ১৯০/৫ (পারভেজ ৬৫*, রনি ৪১, আফিফ ৩৩, সাইম ২৮; লামিচানে ২/২৮, বিনুরা ১/৩১)।
রাজশাহী ওয়ারিয়র্স: ১৯.৪ ওভারে ১৯২/২ (নাজমুল ১০১*, মুশফিক ৫১*; খালেদ ১/৩০)।
ফল: রাজশাহী ওয়ারিয়র্স ৮ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: নাজমুল হোসেন।