শরীফুলের বলে ছক্কা, আহত হয়ে দর্শক হাসপাতালে

আহত দর্শককে দেখতে ছুটে যান ফিলিপসছবি: টুইটার

শরীফুল ইসলামের অফস্টাম্পের বাইরের বলটিকে টেনে লং–অন দিয়ে উড়িয়ে দিলেন গ্লেন ফিলিপস—ছক্কা!

এ ছয়েই বাংলাদেশের ১৩৭ রান টপকে যায় নিউজিল্যান্ড, ফিলিপসরা ম্যাচ জেতেন ৮ উইকেটে। তবে ছয় হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করেননি ফিলিপস, শট খেলেই পেছনে ঘুরে দৌড় দিলেন মাঠের বাইরের দিকে।

স্কয়ার লেগ দিয়ে বেরিয়ে ঢুকে গেলেন উন্মুক্ত গ্যালারির দর্শক জটলায়। বেশ কিছুক্ষণ থাকলেন সেখানে। ফিরলেন বাংলাদেশের ফিল্ডার, দুই আম্পায়ার আর ডেভন কনওয়েরা যখন সৌজন্যের করমর্দন প্রায় শেষ করে ফেলেছেন।

কী করতে দর্শকের কাছে গিয়েছিলেন ফিলিপস?

আরও পড়ুন

পরে জানা গেল ঘটনা। যে ছয়ে নিউজিল্যান্ডের জয় এসেছে, তার আগের বলটিতেও শরীফুলকে ছয় হাঁকিয়েছিলেন ফিলিপস। স্কয়ার লেগ দিয়ে ছয় হওয়া বলটি গিয়ে লাগে ১০ বছর বয়সী এক কন্যাশিশুর চোখের ঠিক ওপরে।

কেউ একজনের গায়ে বল লেগেছে, এটা তখনই বুঝেছিলেন ফিলিপস। কিন্তু খেলা বন্ধ করে দেখতে যাওয়ার সুযোগ ছিল না।

দ্রুত খেলা শেষ করতে পরের বলটিতেও চড়াও হন ফিলিপস, অফস্টাম্পের বাইরের বল টেনে আছড়ে ফেলেন লং–অন দিয়ে।

৯ বলে ২৩ রানে অপরাজিত থাকেন গ্লেন ফিলিপস
ছবি: এএফপি

শুধু ফিলিপস নন, আহত মেয়েটিকে দেখতে গ্যালারিতে ছুটে যান নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের (এনজেডসি) প্রধান নির্বাহী ডেভিড হোয়াইটও।

পরে আহত মেয়েটিকে ক্রাইস্টচার্চের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় বলে এনজেডসির অফিশিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে জানানো হয়েছে, ‘আজ রাতে হ্যাগলি ওভালে বলে আঘাত পাওয়া ১২ বছর বয়সী মেয়েটি স্থির আছে, সে বসতে পারছে। মাঠে চিকিৎসকেরা তাকে দেখেছেন। এরপর আরও পরীক্ষা–নিরীক্ষার জন্য তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।’

সোমবার সকালে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের মুখপাত্র জানান, রাতে মেয়েটিকে হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল। বিপদমুক্ত থাকায় আজ সকালে তাঁকে বাসায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

নিউজিল্যান্ডের স্পিনার ইশ সোধি দেশটির সংবাদমাধ্যম স্টাফকে বলেন, ‘ফিলিপস খুব জোরে বল মারে। শিশুটির কাছে ছুটে গিয়ে সে নিজের উদ্বেগ জানিয়েছে। দলের বাকিরাও এ নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিল। তবে সৌভাগ্যবশত মেয়েটি এখন ভালো আছে।’

নিউজিল্যান্ডের মাঠগুলোতে এভাবেই উন্মুক্ত অংশে বসে খেলা দেখেন অনেক দর্শক
ছবি: এএফপি

নিউজিল্যান্ডের মাঠগুলোতে উন্মুক্ত জায়গা কমিয়ে কিছু প্রতিবন্ধকতা তৈরিরও পরামর্শ দিয়েছেন সোধি, ‘এ রকম ঘটনা আমরা প্রায়ই ঘটতে দেখছি। সামাল দেওয়াটা মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিছু জায়গায় প্রতিবন্ধক থাকা দরকার, যাতে শিশু ও দুর্বল মানুষ নিরাপদে বসে খেলা দেখতে পারে।’

আরও পড়ুন