আরভিনদের আশীর্বাদ মুজারাবানি
ব্লেসিং মানে আশীর্বাদ। জিম্বাবুয়ের জন্য তো আশীর্বাদ হয়েই এসেছেন ব্লেসিং মুজারাবানি। সিলেট টেস্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে জিম্বাবুয়ের জয়ে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন তো এই তরুণ পেসারই। ৬ ফুট ৮ ইঞ্চি উচ্চতার এই বোলার উইকেটের সুবিধা পুরোপুরিই নিয়েছেন।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের উইকেটে বাউন্স আছে। এই টেস্টে ছিল ঘাসও। এমন উইকেটে মুজারাবানি বাড়তি সহায়তা পাবেন, এমনটাই ধারণা ছিল। সেই ধারণাই সত্যি প্রমাণ করেছেন মুজারাবানি, নিয়েছেন ৯ উইকেট।
দলকে ৪ বছর পরও টেস্ট জয়ের স্বাদ দেওয়ার সঙ্গে নিজে জিতেছেন ম্যাচসেরার পুরস্কার। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিনের মুখে তাই মুজারাবানি নামটাই বেশি এসেছে।
আসাটাই অবশ্য স্বাভাবিক। প্রথম ইনিংসে উইকেট নিয়েছিলেন ৩টি। গতকাল দিনের দ্বিতীয় বলেই আউট করেছেন নাজমুল হোসেনকে। সেটিও মাথার চালে। চতুর্থ দিনের প্রথম বলটা ইয়র্কার দিয়ে নাজমুলকে অপ্রস্তুত করে ফেলেন মুজারাবানি। অপ্রস্তুত নাজমুলকে পরের বলটিতে মুজারাবানি দেন বাউন্সার।
ব্যস! উইকেটে এসেই পুল খেলতে গিয়ে ক্যাচ দেন নাজমুল। এই উইকেটই জিম্বাবুয়েকে ম্যাচে অনেকটা এগিয়ে দিয়েছে। এরপর একে একে ফিরিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ, জাকের আলীকে। পরশু আউট করেছেন দুই ওপেনার সাদমান ইসলাম ও মাহমুদুল হাসানকে। তবে আজ নাজমুলের উইকেটটিই খেলার চিত্র পাল্টে দিয়েছে।
এই উইকেট নিয়ে আরভিন বলেছেন, ‘আমরা শুরুতেই উইকেট নিতে চেয়েছিলাম। প্রথম ওভারেই নাজমুলকে আউট করা আমাদের জন্য দারুণ ছিল। আমি মনে করি, ব্লেসিং যেভাবে শুরু করেছিল, সেটা অসাধারণ ছিল। ও আমাদের এমন একটা সুযোগ করে দিয়েছিল, যাতে আমরা চাপ তৈরি করতে পারি।’
পেসার মুজারাবানিকে ঘিরেই এই টেস্টে জিম্বাবুয়ের বোলিং আক্রমণ আবর্তিত হয়েছে। কীভাবে তাঁকে সফলভাবে ব্যবহার করেছেন, সেটা জানিয়েছেন আরভিন, ‘এই টেস্ট ম্যাচে ব্লেসিং (মুজারাবানি) আমাদের প্রধান বোলার ছিল। আমি তাকে ছোট ছোট স্পেলে ব্যবহার করেছি। ব্লেসিং যখনই বল করতে এসেছে এবং বেশির ভাগ স্পেলেই ও অনেক সমস্যার সৃষ্টি করেছিল।’
আরভিন অন্য বোলারদেরও প্রশংসা করেছেন, ‘আমি মনে করি, রিচি (এনগারাভা) আর ভিকি (নিয়াউচি) দলের আক্রমণ ধরে রাখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। ওয়েলি (মাসাকাদজা) আর ওয়েসলি (মাধেভেরে) দারুণ বল করেছে। এই স্পেলগুলোতে বেশি রান না দেওয়াটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল।’