গতকাল ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে জিম্বাবুয়েকে প্রথম ইনিংসে ২৬৫ রানে অলআউট করে ৩০০ রানের লিড পায় ইংল্যান্ড। দলটির অধিনায়ক বেন স্টোকস ফলো অন করান জিম্বাবুয়েকে। গতকালই ৩০ রান তুলতে ২ উইকেট হারিয়ে ফেলা জিম্বাবুয়ে আজ অলআউট হয়েছে ২৫৫ রানে। এই ইনিংসে অবশ্য একজন কম নিয়ে ব্যাটিং করেছে জিম্বাবুইয়ানরা। চোটের কারণে ব্যাটিংয়ে নামেননি রিচার্ড এনগারাভা।
এনগারাভা ব্যাট করলেও ব্যবধানটা খুব বেশি কমত বলে মনে হয় না। তবে এনগারাভা না থাকায় একটু আফসোস থাকতেই পারে শোয়েব বশিরের। ইংল্যান্ড অফ স্পিনার যে ম্যাচে ১০ উইকেট নেওয়ার সুযোগ হারালেন। প্রথম ইনিংসে ৩ উইকেট নেওয়া শোয়েব দ্বিতীয় ইনিংসে পেয়েছেন ৬ উইকেট। তানাকা চিভাঙ্গাকে এলবিডব্লু করে জিম্বাবুয়ের ইনিংসের যতি টানা শোয়েব ইনিংস ও ম্যাচ, দুই হিসেবে সেরা বোলিং করলেন এই টেস্টে।
গতকাল ৭ রান তুলতেই প্রথম ২ উইকেট হারিয়ে ফেলা জিম্বাবুয়ে আজ শুরুতে ভালোই প্রতিরোধ গড়ে তোলে। ওপেনার বেন কারেনকে নিয়ে শন উইলিয়ামস তৃতীয় উইকেটে যোগ করেন ১২২ রান। সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগানো উইলিয়ামস ফিরছেন ৮৮ রানে, শোয়েবের বলে এলবিডব্লু হয়ে। লাঞ্চের আগে এই একটি উইকেটই হারায় জিম্বাবুয়ে।
৩ উইকেটে ১৪১ রান নিয়ে দ্বিতীয় সেশন শুরু করা জিম্বাবুয়ে অলআউট হয়েছে চা বিরতির আগেই। লাঞ্চের পর দলকে ১৪২ রানে রেখে ফেরেন ৩৭ রান করা কারেন। এরপর ওয়েসলি মাধেভেরেকে নিয়ে ৬৫ রান যোগ করেন সিকান্দার রাজা। মাধেভেরে (৩১) বেন স্টোকসের বলে হ্যারি ব্রুকের দারুণ এক ক্যাচের শিকার হয়ে বিদায় নিলে ভাঙে জুটি। এরপর আর ৪৮ রানই যোগ করতে পারে দলটি। ৬৮ বলে ৬০ রান করা রাজা ফেরেন অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে দলকে ২৪১ রানে রেখে। রাজাও শিকার শোয়েবের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ইংল্যান্ড: ৫৬৫/৬ ডি.।
জিম্বাবুয়ে: ২৬৫ ও ৫৯ ওভারে ২৫৫ (উইলিয়ামস ৮৮, রাজা ৬০, কারেন ৩৭, মাধেভেরে ৩১; শোয়েব ৬/৮১, অ্যাটকিনসন ১/১৭, স্টোকস ১/৪১, টাং ১/৬৫)।
ফল: ইংল্যান্ড ইনিংস ও ৪৫ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: শোয়েব বশির।