আরও ভালো ফিল্ডিংয়ের আশা
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে ১৬ বার ৬০ বা এর বেশি রান করেছেন জস বাটলার। এর মধ্যে ইংল্যান্ড হেরেছে মাত্র তিনবার। ২০১৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ২০১৬ সালে ভারতের পর বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বশেষ ম্যাচে। বাংলাদেশের ডেথ বোলিং ও পরে ব্যাটিং এমনই দুর্দান্ত ছিল, বাটলারের ঝোড়ো ইনিংসও ম্লান হয়ে গেছে তাই। আজ সিরিজ জিততে ব্যাটিং-বোলিংয়ে নিশ্চয়ই অমন চাওয়াই থাকবে বাংলাদেশের। সঙ্গে বাড়তি নজর থাকবে ফিল্ডিংয়ের দিকে।
দলের সবাই চাচ্ছি যেন ফিল্ডিংয়ে আরেকটু উন্নতি করা যায়। মাঠে একটু গোছানো থাকতে চাই সবাই। এমনিতে দেখা যায়, ফাস্ট বোলাররা সীমানার দিকে দাঁড়ায়, কাভার বা পয়েন্টের মতো পজিশনে দাঁড়ায় না। তবে এখন সবাই যেকোনো জায়গায় ফিল্ডিং করার জন্য প্রস্তুত।হাসান মাহমুদ, বাংলাদেশের পেসার
বাংলাদেশ দলের ফিল্ডিং আলোচনায় আছে বেশ কিছু দিন ধরেই। ক্যাচ হাতছাড়ার পাশাপাশি পিচ্ছিল গ্রাউন্ড-ফিল্ডিং ভোগাচ্ছিল বেশ কিছু দিন ধরে। ইংল্যান্ডের সঙ্গে সিরিজ, বিশেষ করে প্রথম টি-টোয়েন্টি যেন আশা জোগাচ্ছে নতুন করে। পরিসংখ্যান বলবে, সর্বশেষ ম্যাচেও পড়েছে তিনটি ক্যাচ।
তবে এর মধ্যে একটি ফেলেছেন সাকিব আল হাসান, বাংলাদেশ অধিনায়কের সহজতম সুযোগ মিস করা ছিল রীতিমতো বিস্ময়কর। নিজের বলে কঠিন একটা সুযোগ নিতে পারেননি নাসুম আহমেদ। আর একটি ছিল ইনিংসের শেষ বলে—নাজমুল হোসেন ও রনি তালুকদারের দারুণ যৌথ প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছিল সীমানায়। শেষেরটি খাতা-কলমে ক্যাচ মিস হিসেবে গণ্য হলেও দারুণ ফিল্ডিংই বলতে হবে সেটিকে।
বাংলাদেশের ফিল্ডিং বদলে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে সেখানেই। ওয়ানডে সিরিজের পর প্রথম টি-টোয়েন্টিতেও নাজমুলের ফিল্ডিংও নজরে পড়েছে আলাদা করে। শরীরী ভাষাতেও দলের বেশির ভাগ সদস্য ছিলেন উজ্জীবিত। সর্বশেষ ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের তিন ম্যাচেই পড়েছিল ৬টি ক্যাচ, ইংল্যান্ড সিরিজে ৩ ম্যাচ মিলিয়ে যেখানে পড়েছে মাত্র একটি। এরপর প্রথম টি-টোয়েন্টির হিসাব তো আগেই বলা।
টি-টোয়েন্টিতে ব্যাটিং-বোলিং শুধু নয়, একটি ‘হাফ-চান্স’কে ক্যাচে পরিণত করা, গ্রাউন্ড ফিল্ডিংয়ে ২-৩ রান বাঁচানোর প্রভাবও থাকে বেশ বড়। তবে শুধু ম্যাচে নয়, অনুশীলনেও নাকি ফিল্ডিং নিয়ে বাড়তি প্রেরণা পাচ্ছেন ক্রিকেটাররা। জাতীয় দলের এক ক্রিকেটার যেমন বলছিলেন, এ সিরিজে অনুশীলনের পর নতুন করে তাঁদের ফিল্ডিং সামর্থ্য টের পেয়েছেন তাঁরা! আরেকজনের মতে, ফিল্ডিংয়ে টানা অনুশীলন করলেও নাকি ক্লান্তি আসছে না সেভাবে।
ম্যাচেও এখন যে কেউ যেকোনো পজিশনে ফিল্ডিংয়ে প্রস্তুত, গতকাল সংবাদ সম্মেলনে এমন বলেছেন পেসার হাসান মাহমুদ, ‘আমাদের দলের সবাই চাচ্ছি যেন ফিল্ডিংয়ে আরেকটু উন্নতি করা যায়। মাঠে একটু গোছানো থাকতে চাই সবাই। এমনিতে দেখা যায়, ফাস্ট বোলাররা সীমানার দিকে দাঁড়ায়, কাভার বা পয়েন্টের মতো পজিশনে দাঁড়ায় না। তবে এখন সবাই যেকোনো জায়গায় ফিল্ডিং করার জন্য প্রস্তুত। এটা খুব ভালো বিষয়।’
দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নিয়ে আসা প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেও টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরুর আগে ফিল্ডিং নিয়ে আশার কথা শুনিয়েছিলেন, ‘আমার প্রত্যাশা অনেক উঁচু। আমাদের এশিয়ার সেরা ফিল্ডিং দল হতে হবে। অন্যদের সঙ্গে তুলনা করবা না, তবে আমরা জানি কোথায় যেতে হবে। অবশ্যই মাঠে তরুণদের উপস্থিতি এ ক্ষেত্রে সহায়তা করে। তাদের গতি বেশি, শক্তি বেশি।’