‘ভারতের ড্রেসিংরুম এখন চ্যাপেল-যুগের মতো বিধ্বস্ত’, বললেন হরভজন
২০১৪ সালের পর এক দশক অস্ট্রেলিয়ার কাছে কোনো টেস্ট সিরিজ হারেনি ভারত। টানা চারটি সিরিজ জিতে সর্বশেষ বোর্ডার–গাভাস্কার ট্রফি খেলতে অস্ট্রেলিয়ায় পা রেখেছিলেন রোহিত শর্মা–বিরাট কোহলিরা। কিন্তু অপরাজেয় যাত্রাটা ধরে রাখতে পারেনি ভারত, এবার অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৩–১ ব্যবধানে সিরিজ হেরে দেশে ফিরেছে রোহিতের দল।
অস্ট্রেলিয়ার কাছে এভাবে সিরিজ হারার পর ভারত দলের অনেক কিছু নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন দলটির সাবেক খেলোয়াড়েরা। সিরিজে নিজেদের হারিয়ে খোঁজা রোহিত ও কোহলির টেস্ট ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কেউ। কেউ আবার দলের শৃঙ্খলা নিয়ে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন।
ভারতের সাবেক স্পিনার হরভজন সিং তো ড্রেসিংরুমের পরিবেশ নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন। অস্ট্রেলিয়ান কোচ গ্রেগ চ্যাপেলের অধীন খেলা হরভজনের মতে, ভারতের ড্রেসিংরুমের এখনকার অবস্থা ঠিক যেন সেই সময়ের মতো, চ্যাপেল–যুগের মতো বিধ্বস্ত।
হরভজন তাঁর ইউটিউব চ্যানেলে ভারত দলের বর্তমান অবস্থা নিয়ে কথা বলেছেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন, গত ছয় থেকে আট মাসে দলের ভেতর থেকে যেসব খবর এসেছে, সেখান থেকে স্পষ্ট হয়েছে যে ভারত দলের ড্রেসিংরুম বিভক্ত। ইউটিউব চ্যানেলে তিনি বলেছেন, ‘এগুলো নিজেরা সমাধান করে নাও। এত নাটক কেন। প্রতিটি ঘরেই ঝামেলা হয়। কিন্তু এগুলো বাইরে আসা উচিত নয়। গত ছয় থেকে আট মাসে আমরা অনেক কিছু শুনেছি।’
এরপর হরভজন ভারতের এখনকার ড্রেসিংরুমকে চ্যাপেলের সময়ের ড্রেসিংরুমের সঙ্গে তুলনা করেন, ‘গৌতম গম্ভীর নতুন। খেলোয়াড়দের বুঝে উঠতে হবে তাকে। খেলোয়াড়দেরও তাকে বুঝতে হবে। রসায়ন ছাড়া কিছুই কাজ করবে না। এটা আমি আগেও দেখেছি। ২০০৬ থেকে ২০০৮, গ্রেগ চ্যাপেলের আমলে দেখেছি পুরো ড্রেসিংরুমই ভেঙে পড়েছে। কারণ, খেলোয়াড়েরা একে অন্যকে দায় দেওয়ার খেলায় মেতে উঠেছিল। সংবাদমাধ্যম এত কিছু জানে কীভাবে?’
ভারতের ক্রিকেটে একটি কালো দাগ হয়ে আছে গ্রেগ চ্যাপেল–যুগ। সে সময় ভেতরের অনেক ঘটনা বাইরে চলে আসার প্রভাব ভারত দলে পড়েছিল। সৌরভ গাঙ্গুলীর সমালোচনা করে বিসিসিআইকে লেখা চ্যাপেলের একটি চিঠি সংবাদমাধ্যমের কাছে চলে আসে। সেই ঘটনা অনেক বিতর্কের জন্ম দিয়েছিল। সে সময়ও ভারতের পারফরম্যান্স বাজে থেকে বাজেতর হয়েছিল। ২০০৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকেই বাদ পড়েছিল তারা।
সেই ঘটনা টেনে হরভজন প্রশ্ন তোলেন, ‘ঘটনা ড্রেসিংরুম থেকেই ফাঁস হচ্ছে, ফাঁস হচ্ছে বিসিসিআইয়ের সভা থেকে। কেন? কেন এত কিছু বাইরে আসে?’