বাবরদের ক্যাচ ছাড়া নিয়ে যা বললেন ক্ষুব্ধ শোয়েব

১০ রানে ডেভিড ওয়ার্নারকে জীবন দেন উসামা মিরছবি: এএফপি

পাকিস্তানের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে শুরু থেকেই আগ্রাসী ছিলেন দুই অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও মিচেল মার্শ। এ দুজন মিলে গড়েন ২৫৯ রানের বিধ্বংসী জুটি। অথচ পঞ্চম ওভারেই ওয়ার্নারকে ফেরাতে পারত পাকিস্তান। কিন্তু শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে ১০ রানে থাকা ওয়ার্নারের ক্যাচ ছাড়েন উসামা মির।

৩৩তম ওভারে ওয়ার্নারকে দ্বিতীয় ‘জীবন’ দেন আবদুল্লাহ শফিক। এরপর ওয়ার্নার থামেন ১৬৩ রানে। এ ছাড়া ৩৫তম ওভারে সেই উসামা মিরের বলে স্লিপে স্টিভেন স্মিথের ক্যাচ ছাড়েন অধিনায়ক বাবর আজম। পাকিস্তানি ফিল্ডারদের এমন ক্যাচ ছাড়ার সুযোগ নিয়ে অস্ট্রেলিয়া শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ৩৬৭ রান করেছে। উত্তরসূরিদের এমন বাজে ফিল্ডিং মানতেই পারছেন না সাবেক ফাস্ট বোলার শোয়েব আখতার।

আরও পড়ুন

বাবর ক্যাচ ছাড়ার পর টু্ইট করে নিজের ক্ষোভের কথা জানান ‘রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস’ খ্যাত সাবেক এই ফাস্ট বোলার। এক টুইটে শোয়েব লিখেছেন, ‘নিজেরা কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারছ না। অন্তত ব্যাটসম্যানরা যেসব সুযোগ দিচ্ছে, সেগুলো তো কাজে লাগাও। তোমরা এতগুলো ক্যাচ ছাড়তে পারো না।’

পাকিস্তানের এমন ক্যাচ ছাড়া নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হাস্যরসও হয়েছে অনেক। ছড়িয়ে পড়েছে নানা ধরনের মিমও। একজন লিখেছেন, ‘কিছু ব্যাপার কখনো বদলায় না। যেমন পাকিস্তানের ক্যাচ ছাড়ার সংস্কৃতি।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘পাকিস্তানের ক্যাচ ছাড়ার ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ন আছে।’

ওয়ার্নারকে জীবন দেন আবদুল্লাহ শফিকও
ছবি: আইসিসি

অন্যদিকে পাকিস্তানের বাজে বোলিং নিয়ে খোঁচা দিয়েছেন সাবেক ভারতীয় ওপেনার আকাশ চোপড়া। ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনার যখন ঝড়ের গতিতে রান তুলছিলেন, তখন মোহাম্মদ নাঈম নামের পাকিস্তান ক্রিকেটের এক ভক্ত টুইট করেন এভাবে, ‘ভারতীয়রা স্ক্রিনশট নিয়ে রাখো। আমরা ৪০০ রান তাড়া করে এক শ ভাগ বিশ্ব রেকর্ড গড়ব।’

আরও পড়ুন

এই টুইট শেয়ার করে আকাশ লিখেছেন, ‘তাহলে আমরা কি অবিশ্বাস্য এক ম্যাচের সাক্ষী হতে যাচ্ছি। শুধু নিজের পোস্টটা মুছে দিয়ো না। ৪০০ রান তাড়া করার মিষ্টি আমিই পাঠাব।’