১৫৫ বল ‘ডট’ দিয়েও স্কোর নিয়ে সন্তুষ্ট মিরাজ, বললেন শেখার কথা
ওয়ার্নার পার্কে আগে ব্যাট করে ৫০ ওভার খেলে ২৯৪ তুলেছিল বাংলাদেশ। স্কোরটা এক সময় ৩২০ এর আশপাশে থাকবে মনে হচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত তা হলেও দলীয় স্কোর নিয়ে সন্তুষ্ট বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ।
যদিও ওয়েস্ট ইন্ডিজ এই রান তাড়া করে ৫ উইকেটে জিতেছে ১৪ বল হাতে রেখে। আর বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানেরা নিজেদের ইনিংসে ১৫৫টি বল ডট খেলেছেন। দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান করা মিরাজ নিজে ৭৩.২৬ স্ট্রাইক রেটে ১০১ বলে ৭৪ রান করেছেন। স্কোরটা তিন শ এর ওপাশে নিতে পারলে ম্যাচটা শেষ দিকে নিশ্চয়ই এত সহজ হয়ে আসত না ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য। কারণ বাংলাদেশের বোলারদের শুরুটা ভালো ছিল। ৮.১ ওভারে ২৭ রান তুলতে ২ উইকেট হারিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
মিরাজ অব্শ্য নিজেদের স্কোরে সন্তুষ্ট। হারের পর পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে বলেছেন সে কথাই, ‘(স্কোর নিয়ে) হ্যাঁ, আমরা সন্তুষ্ট। এমন পিচে ২৯৪ খুব ভালো স্কোর। হোপ ও রাদারফোর্ডকে কৃতিত্ব দিতেই হবে। তারা জুটি গড়েছে। বোলাদের জন্য দিনটা কঠিন ছিল।’
উইকেট হারিয়ে একটু ঢিমেতালে শুরুর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ গা ঝাড়া দিয়ে উঠেছে মাঝের ওভারগুলোয়। ৮৮ বলে ৮৬ করেন হোপ। তবে ম্যাচ জেতানো ইনিংসটি শেরফান রাদারফোর্ডের। ৮ ছক্কা ও ৭ চারে খেলেছেন ৮০ বলে ১১৩ রানের ইনিংস। হোপ ও রাদারফোর্ড মিলে গড়েছেন ৯৯ রানের জুটি, যেটা ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়ের ভিতও। এরপর রাদারফোর্ড ও জাস্টিন গ্রিভস মিলে ৫৭ বলে ৯৫ রানের জুটিতে জয়ের সুবাস এনে দেন। ওয়ার্নার পার্কে ওয়ানডেতে এটাই সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ে রেকর্ড।
মিরাজের কথায় বোঝা গেল, এই জুটিটি সময়মতো ভাঙতে না পারাই হারের কারণ, ‘আমরা ভালো শুরু করেছিলাম। বিশেষ করে নাহিদ, তাসকিন ও তানজিম। ওরা খুব ভালো বোলিং করেছে। কিন্তু এরপর মাঝের ওভারগুলোয় আমরা ভালো বোলিং করতে পারিনি। উইকেট পাইনি। এটা হতেই পারে। পিচে এখনো দেখে ভালো মনে হচ্ছে এবং ওরা ভালো খেলেছে।’
মিরাজ এরপর ভুল থেকে শেখার কথা জানিয়ে বলেছেন, ‘আমরা অনেক কিছু থেকেই শিখব। আমরা কিছু ভুলও করেছি। পরের ম্যাচে কীভাবে ভালো করা যায় সেদিকে মনোযোগী হবো। এখনো দুটি ম্যাচ বাকি, তাই আমার মনে হয় ভালো সুযোগ আছে।’
তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দ্বিতীয় ম্যাচ মঙ্গলবার ওয়ার্নার পার্কেই।র