৯ ছক্কায় ৬৩ বলে ১১০, সেঞ্চুরি এবার মাহমুদুলের

সেঞ্চুরির পর মাহমুদুল হাসানএনসিএল

সাদমান ইসলামের পর এবার মাহমুদুল হাসান!

এনসিএল টি-টোয়েন্টির এবারের আসরে গতকাল প্রথম সেঞ্চুরি করেছিলেন টেস্ট ওপেনার সাদমান। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান সেঞ্চুরি করেছিলেন ৫৯ বলে।

আজ সেঞ্চুরি পেলেন আরেক টেস্ট ওপেনার মাহমুদুলও। তিনিও সাদমানের মতো তিন অঙ্ক ছুঁতে খেলেছেন ৫৯ বল। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আজ চট্টগ্রামের হয়ে সিলেটের বিপক্ষে ৯ ছক্কা আর ৫ চারে ৬৩ বলে ১১০ রানের ইনিংস খেলেছেন মাহমুদুল। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে এটি মাহমুদুলের প্রথম সেঞ্চুরি।

সাদমানের মতো মাহমুদুলের গায়ে টেস্ট বিশেষজ্ঞের তকমা লাগেনি। তবে তাঁর ব্যাটিংও ঠিক টি-টোয়েন্টিসুলভ হিসেবে বিবেচনা করা হয় না। ২০২০ সালে স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে পা রাখা মাহমুদুল আজকের আগে ৬৪ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন।

৯টি ছক্কা মেরেছেন মাহমুদুল
এনসিএল

তাতে ফিফটি ৭টি। সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ছিল অপরাজিত ৮৫। ২০২১ সালে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে ওল্ড ডিওএইচএসের হয়ে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে ৫৫ বলে অপরাজিত ইনিংসটি খেলেছিলেন মাহমুদুল।

আরও পড়ুন

সেই ইনিংসের ৪ বছরেরও বেশি সময় পর টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরির দেখা পেলেন আজ। সিলেটের বিপক্ষে মাহমুদুল প্রথম ৫০ রান করতে খেলেন ৪০ বলে। ফিফটির পরই দ্রুত রান তোলার চেষ্টায় ঝোড়ো ব্যাটিং শুরু করেন।

৪১ রানে অপরাজিত ছিলেন ইরফান
এনসিএল

পেসার আবু জায়েদের করা ইনিংসের ১৫তম ওভারে মারেন তিন ছক্কা। সেঞ্চুরি করার পথে এর আগে-পরে মেরেছেন আরও ৫টি। ১৭৪.৬০ স্ট্রাইকরেটে ১১০ রান করে তিনি আউট হন ইনিংসের শেষ ওভারে, তোফায়েল আহমেদের বলে খালিদ হাসানের ক্যাচ হয়ে। ততক্ষণে চট্টগ্রামের দলীয় সংগ্রহ দাঁড়ায় ২০৬।

শুধু মাহমুদুল নন, মুমিনুল হক, ইরফান শুক্কুরও এদিন ঝোড়ো ইনিংস খেলেছেন। ওপেনিংয়ে নেমে মুমিনুল করেছেন ১৯ বলে ৩২ রান। ইরফান অপরাজিত ছিলেন ২২ বলে ৪১ রানে। তাতেই চট্টগ্রাম টসে হেরে ব্যাটিং করতে নেমে তুলেছে ২১৪ রান। জবাবে ১১৫ রানে গুটিয়ে গেছে সিলেট। চট্টগ্রাম জিতেছে ৯৯ রানে।

আরও পড়ুন