কোহলি, রোহিত না গিল: অধিনায়কত্বের শুরুতে কে বেশি ভালো
বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মার পর শুবমান গিল। ভারতের সর্বশেষ তিন টেস্ট অধিনায়ক। সর্বশেষ ইংল্যান্ড সিরিজে ভারতের টেস্ট দলের অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক হয়েছে গিলের। অনেকটা নতুন দল নিয়েই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চোখে চোখ রেখে খেলেছে গিলের ভারত। নাটকীয়ভাবে শেষ ম্যাচটি জিতে ৫ ম্যাচের সিরিজে ২-২-এ ড্র করেছে।
শুধু নেতৃত্বই নয়, ব্যাট হাতেও তিনি যা করেছেন, তাতে অনেক দিন ধরেই তিনি আলোচনায় থাকবেন। সিরিজে ১০ ইনিংসে রান করেছেন ৭৫৪, যা এক সিরিজে ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। করেছেন চারটি সেঞ্চুরি। সুনীল গাভাস্কারের রেকর্ড ভাঙতে পারেননি। কোনো টেস্ট সিরিজে ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গাভাস্কারের।
১৯৭১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৫ ম্যাচের সিরিজে ৭৭৪ রান করেছিলেন গাভাস্কার। তবে কোনো সফরকারী অধিনায়কের টেস্ট সিরিজে সর্বাধিক রানের রেকর্ড নিয়েই বাড়ি ফিরছেন গিল। অধিনায়ক হিসেবে এক সিরিজে এর চেয়ে বেশি রান আছে শুধু ডন ব্র্যাডম্যানের, ৮১০। ছুঁয়েছেন অধিনায়ক হিসেবে এক সিরিজে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির রেকর্ডও।
কোহলি ও রোহিতের সঙ্গে তুলনা করলে প্রথম সিরিজে গিলের পারফরম্যান্স কোথায় থাকবে? পরিসংখ্যান বলছে, অভিষেক সিরিজের তুলনায় গিল এগিয়ে থাকবেন অনেক ব্যবধানে। অবশ্য এমন মঞ্চ কোহলি আর রোহিত পাননি।
২০১৪ সালের অ্যাডিলেড টেস্টে মহেন্দ্র সিং ধোনির চোটের কারণে প্রথমবার ভারতের টেস্ট অধিনায়কের দায়িত্ব পান বিরাট কোহলি। ম্যাচটি ৪৮ রানে হেরেছিল ভারত, তবে ব্যাট হাতে উজ্জ্বল ছিলেন কোহলি। করেছিলেন দুর্দান্ত জোড়া সেঞ্চুরি—প্রথম ইনিংসে ১১৫, দ্বিতীয় ইনিংসে ১৪১ রান।
৪ ম্যাচের সিরিজটিতেও ভারত হারে ২-০ ব্যবধানে। তবে ৪ ম্যাচে ৮ ইনিংসে ৬৯২ রান করে হয়েছিলেন সিরিজের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক। তবে ওই সিরিজে শুধু একটি ম্যাচেই অধিনায়কত্ব করেছিলেন তিনি। তাঁর প্রথম পূর্ণাঙ্গ সিরিজ টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে আসে ২০১৫ সালের শ্রীলঙ্কা সফরে। সেখানে ভারত জয় পায় ২-১ ব্যবধানে। ছয় ইনিংসে ২৩৩ রান করেছিলেন কোহলি, যার মধ্যে ছিল একটি সেঞ্চুরি ও একটি ফিফটি ছিল তাঁর।
রোহিত শর্মার টেস্ট অধ্যায় শুরু হয় ২০২২ সালে। তাঁর শুরুটাও হয়েছিল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। অভিষেক ইনিংসে তিনি করেন ২৯ রান। পুরো সিরিজে ৩ ইনিংসে রান করেছেন মাত্র ৯০। যদিও ঘরের মাঠে তাঁর দল জিতেছে ২-০ ব্যবধানে।